• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জাতীয়

শুরু হলো স্বাধীনতার মাস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ মার্চ ২০২১

উত্তাল মার্চ শুরু আজ। একাত্তরে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। শাসক গোষ্ঠীর স্বৈরাচার আচরণে ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ বাঙালিরা ভেতরে ভেতরে প্রস্তুত হচ্ছিল রুখে দাঁড়ানোর। সংঘাত ছিল তাই অবশ্যম্ভাবী।

একাত্তরের মার্চের প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত ছিল ঢাকাসহ সারা দেশ। হঠাৎ করেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণা পূর্ব পাকিস্তানের সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বেতারে ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নেমে আসে। কোনো রাজনৈতিক দলের ঘোষিত কর্মসূচি ছাড়াই ব্যাপক ও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায় মানুষের মধ্যে। তবে বাঙালি জনগোষ্ঠীর এই বিক্ষুব্ধ মনোভাবকে পাত্তা দিতে চায়নি পাকিস্তানি শাসক শ্রেণি।

ইয়াহিয়ার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় হোটেল পূর্বাণীতে জরুরি ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির এক অনির্ধারিত বৈঠক বসে। সেখানে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। বৈঠক-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, একটি সংখ্যালঘু দলের আবদার রাখতে গিয়ে জাতীয় সংসদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীদেরই জয় হয়েছে। তবে অবশেষে জয় আমাদের। দেশে সামরিক আইন বহাল থাকা সত্ত্বেও পিপিপির চেয়ারম্যান জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগদানে ইচ্ছুক পশ্চিম পাকিস্তানি সাংসদদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সামরিক আইন শুধু বাঙালিদের জন্য। কিন্তু আমরা যেকোনো প্রতিকূল অবস্থার জন্য তৈরি রয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনেই প্রতিবাদস্বরূপ দেশব্যাপী অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয়। ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ থেকে ৬ মার্চ সারা দেশে হরতালের ডাক দেওয়া হয়। এ কর্মসূচি ছিল পাঁচ দিনের। এরপর ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জনসভা। সেই জনসভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads