• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ০৩ মার্চ ২০২১

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভুইয়া ঘটনার সত‌্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাসির সমর্থিত গ্রুপের সঙ্গে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সমর্থিত ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলেন আতাউল্লা বোখারী, তৌফিকুর রহমান ইয়ন, আরিফ হাসান এবং শাওন দত্ত। সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

চকবাজার থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করছেন।

কলেজ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চমেক হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরের অনুসারীদের দখলে ছিল। শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সম্প্রতি সেখানে নিজেদের শক্ত অবস্থান করতে চাইছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গত এক বছরে বেশ কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরেও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ছাত্রাবাসের বেশ কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

এক পক্ষের নেতা অভিজিৎ দাশ বলেন, পরীক্ষা থাকায় সবাই পড়ালেখা করছিল। হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় আমাদের ১০-১২টি কক্ষ ভাঙচুর করে এবং বই খাতা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। 

তবে কক্ষগুলো নিজেদের দাবি করে অন্য পক্ষের নেতা ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আনন্দ র্যালিতে যাওয়ার কথা ছিল আমাদের সবার। কিন্তু কিছু ছাত্রের পরীক্ষা থাকায় তারা ছাত্রাবাসে অবস্থান করছিল। তিনি বলেন, এই সময় কয়েকজন ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী হলে ঢুকে বেশ কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর করে এবং ছাত্রদের বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads