• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
কঠোর লকডাউন শুরু

ফাইল ছবি

জাতীয়

# জরুরি সেবা, ব্যাংক, শিল্পকারখানা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ

কঠোর লকডাউন শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে সাত দিনের ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জরুরি সেবা, ব্যাংক, শিল্পকারখানা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে।

লকডাউনের খবরে একদিকে যেমন ছিল রাজধানী ছাড়ার হিড়িক অন্যদিকে রোজার প্রস্তুতিতে কেনাকাটার জন্য দোকানে দোকানে ভিড়। লকডাউন সফল করতে প্রশাসনও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল সময়ে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও গণপরিবহন বন্ধ  থাকবে। তবে খোলা থাকবে গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা। সেই সাথে ব্যাংকও। এ ছাড়া নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য নয়। কঠোর লকডাউনের সময়ে শপিংমল ও সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচামালের বাজার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। লকডাউনের খবরে গতকাল মঙ্গলবার থেকে লাখো মানুষ তাদের গ্রামের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। আর এ কারণে রাস্তায় বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হওয়ারও খবর পাওয়া যায়।

দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার প্রতিটি প্রান্তে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে। কেউ কাজে, কেউ প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় কিংবা সাত দিনের ‘ছুটি’ মনে করেই রওনা হন বাড়ির পথে। আবার শেষ মুহূর্তে ব্যাংকেও দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মানুষ ব্যস্ত ছিলেন নিজের প্রয়োজন মেটাতে। তাই মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় এবং কানায় কানায় পূর্ণ থাকতে গেছে। সাত দিন মার্কেট বন্ধের ঘোষণায় এমন উপচে পড়া ভিড় বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া রাজধানী থেকে বাইরে বের হওয়ার রাস্তাগুলো মানুষে পরিপূর্ণ ছিল। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় নিজস্ব উদ্যোগে গাড়ি ভাড়া করে কিংবা ট্রাক, পিকআপ কিংবা মিনি বাসে করেই অনেকে রওনা হন গন্তব্যে। তাই টার্মিনালগুলোর সামনেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। তা ছাড়া ফেরিঘাটগুলোতেও মানুষের জনসমাগম ছিল। আবার অনেকেই যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই রওনা হন নিজ গন্তব্যে।

ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে এদিন। লেনদেনের সময় মাত্র ৩ ঘণ্টা থাকায় বিপাকে পড়েন অনেকেই। কেউ বিল দিতে, কেউ টাকা জমা দিতে কিংবা কেউ টাকা ওঠাতে ব্যাংকের সামনে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেন।

অন্যদিকে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সাইট সুপারভিশন থেকে জারি করা সার্কুলার দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর এ পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। তবে অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। গত ৪ এপ্রিল ডিওএসের জারি কারা সার্কুলারের ১১-এর নির্দেশ অপরিবর্তিত থাকবে।

অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

লকডাউন সফল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লকডাউন সফল করতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads