এবারের বৈশাখের মধ্যভাগ থেকে বজ্রপাতে প্রাণহানি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার পাঁচ জেলায় এ দুর্যোগে আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সাতজন। সুনামগঞ্জে পাঁচজন, হবিগঞ্জে দুজন, নেত্রকোনা, বরিশাল ও কিশোরগঞ্জের প্রতি জেলায় একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিরা ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির সময় ঘটা এসব হতাহতের সংবাদ পাঠিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ : জেলার পৃথকস্থানে বজ্রপাতে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হন আরো চারজন। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সময়ে এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন তাহিরপুরের সদর ইউনিয়নের ভাটিতাহিরপুর গ্রামের মুকতুল হোসেনের ছেলে নূর হোসেন (২২), বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের মৃত হজরত আলীর স্ত্রী শাহান বানু (৩৫), একই উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের শিদ্ধিরপুর গ্রামের সুরমা বেগম (২২), দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ডুমবন্ধ গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে ফেরদৌস আহমেদ (১২) এবং দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংঘর গ্রামের মৃত ফজর মোহাম্মদের ছেলে মোছলিম উদ্দিন (৭৫)।
হবিগঞ্জ : জেলার দুই উপজেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নে বজ্রপাতে কৃষক জুবাইল মিয়া (২৫) মারা যান। এ ছাড়া ওই ইউনিয়নের আলতাব হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম আহত হন। অন্যদিকে নবীগঞ্জ উপজেলার একটি হাওরে সকালে ধান কাটতে গিয়ে সুজন মোড়া (২৭) নামে এক চা শ্রমিক বজ্রপাতে আহত হওয়ার পর বিকালে জেলা সদর হাসপাতালে মারা যান। সুজন চুনারুঘাটের জোয়ালভাঙ্গা চা বাগানের কানাই মোড়ার ছেলে।
নেত্রকোনা : খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর গ্রামের কৃষক ইসলাম উদ্দিনের (৬০) বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই গ্রামের পাশের বারহারা হাওরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি নিজ জমির ধান কাটছিলেন।
কিশোরগঞ্জ : বাজিতপুর উপজেলায় বজ্রপাতে ফাহিম হোসেন (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফাহিম ওই গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
বরিশাল : আগৈলঝাড়া উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামে সকালে বজ্রপাতে কৃষিশ্রমিক খোকন প্রামাণিক (২৮) প্রাণ হারান। এ সময় অন্য তিন শ্রমিক আহত হলে তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় তারা জমিতে ধান কাটছিলেন। খোকন কুষ্টিয়ার খোকসা থানার গফরগাঁও গ্রামের আলতাফ প্রামাণিকে ছেলে।
