• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ত্রাণের আশায় বানভাসিরা

খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পশুখাদ্যের চরম সঙ্কটে রয়েছে দুর্গতরা

সংগৃহীত ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

ত্রাণের আশায় বানভাসিরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৪ জুন ২০১৮

সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের নিচু এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি এসব এলাকার মানুষের। খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পশুখাদ্যের চরম সঙ্কটে রয়েছে দুর্গতরা। এর পাশাপাশি রয়েছে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।  বানভাসি মানুষের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে তারা পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছে না। তবে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং দেশ ও প্রবাসে থাকা অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। তারা রান্না করা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন, মোমবাতি, ম্যাচ ও শুকনো খাবার বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করছেন। এসব অবশ্য চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। তারা ত্রাণের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। 

মৌলভীবাজারের বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখনো অনেক বাড়ি পানির নিচে। যারা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে তারা রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট আর স্যানিটেশনের বিদ্যমান দুরবস্থায় রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। মৌলভীবাজার শহরের বন্যাকবলিত এলাকার অনেক বাড়িতে পৌরসভা থেকে দেওয়া বিশুদ্ধ পানির রিজার্ভার এখনো পানির নিচে। তাই খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানির যেমন চরম সঙ্কট চলছে, তেমনি গোসল, রান্নাবান্না ও প্রয়োজনীয় কাজের ব্যবহারের জন্যও মিলছে না পানি। বড়হাটের শহর রক্ষা বাঁধে আশ্রয় নেওয়া সালেহা বেগম জানান, ‘এ পর্যন্ত একদিন পাঁচ কেজি চাল পাইছি। এখন সমস্যা টয়লেট ও পানির। একটি টিউবওয়েল থেকে বাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া প্রায় চারশত মানুষ পানি খাচ্ছে।’

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান জানান, এবারের বন্যা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ১৯৮৪ সালে ভয়াবহ বন্যার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে এবারের প্লাবন। পৌর এলাকার বাসাবাড়িতে অনেকের ঘরে খাবারের উপকরণ থাকার পরও পানি ও রান্নার ব্যবস্থা না থাকায় তারা অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করছে।

মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবু জাহের জানিয়েছেন, জেলাজুড়ে ৭৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তারা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইনসহ প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ দিচ্ছে।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক জানান, এ পর্যন্ত নগদ ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ৭৪৩ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। মজুত আছে ১ হাজার ৩৭ টন চাল। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরো ৫০০ টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মৌলভীবাজারে ৪৯ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ করা হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর ধানক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads