• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
বন্যায় শঙ্কায় উত্তরের ৫ জেলা

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ইতোমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি নদী অববাহিকা

সংরক্ষিত ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

বন্যায় শঙ্কায় উত্তরের ৫ জেলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ জুলাই ২০১৮

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ইতোমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি নদী অববাহিকা প্লাবিত হয়েছে। তিন-চার দিনের স্বল্পমেয়াদি এই বন্যার পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, যা মঙ্গলবার পর্যন্ত একই অবস্থায় থাকতে পারে। ফলে নতুন করে বন্যায় প্লাবিত হতে পারে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল।

অন্যদিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গতকাল শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা ও পুরাতন সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনার পানি ২৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। আর পুরাতন সুরমা নদীর পানি ৩ মিলিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে তা বিপদসীমা থেকে ৬৬ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। কানাইঘাট, সিলেট ও সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি যথাক্রমে ৪০, ১৭ ও ১৯ সেন্টিমিটার করে কমলেও তা এখনো বিপদসীমা থেকে ৩৮, ১৮ ও ৪৭ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। কুশিয়ারা ও সোমেশ্বরী নদীর পানি ৬ ও ৯ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপদসীমার ৮ ও ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বাংলাদেশের খবরকে বলেন, গতকাল শনিবার বিকাল পর্যন্ত যমুনা ও পুরাতন সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। কিন্তু অনেক নদীর পানিই কমতে শুরু করেছে। নতুন করে পদ্মা, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে পারে। এতে উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদফতরের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী জানা যায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এর একটি ঘূর্ণি প্রবাহ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ দশমিক ৬ কিলোমিটার ঊর্ধ্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ুর বিচরণ কম থাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে। আজ রোববার রংপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি মাত্রার বর্ষণ হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads