• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

সংগৃহীত ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ‘ফণী’

  • বাসস
  • প্রকাশিত ০৪ মে ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে বংলাদেশ এখন অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত। একই সাথে সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। ঘূর্ণিঝড় ফনী’র সর্বশেষ অবস্থা জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বংলাদেশ এখন অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। ’

তিনি জানান, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া কয়েক লাখ মানুষের বিপদ কেটে যাওয়ার তাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শ্হা কামাল বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকা ১৬ লাখের বেশি মানুষ বিকাল নাগাদ তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে।

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে বরগুনা ২ জন, ভোলা ও নোয়াখালীতে ১ জন করে মোট চারজনের মৃত্যু এবং বিভিন্ন জেলায় ৬৩ জন আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, প্রধান তথ্য অফিসার জয়নাল আবেদিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন মোটামুটি ভাবে সঙ্কা মুক্ত। সকলের প্রচেষ্টায় সফল ভাবে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি ভাল ছিল যে কারনেই আমরা সফল ভাবে এই ঘূণিঝড়কে মোকাবেলা করতে পেরেছি।

নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দিতে জেলাপ্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে মেডিকেল টিমগুলো গিয়ে চিকিৎসা দেবে। এছাড়াও ঝড়ের কারণে যাদের বাড়ি ঘর নষ্ট হয়ে গেছে তাদের প্রত্যেক পরিবারকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads