• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যেতে মরিয়া রোহিঙ্গারা

সংগৃহীত ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যেতে মরিয়া রোহিঙ্গারা

  • উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ জুন ২০১৯

উখিয়ার ২২টি ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ পাওয়া সত্ত্বেও সন্তুষ্ট নয় তারা। তারা নাগরিকত্ব নিয়ে স্বদেশে ফিরে যেতে চায়। তা নাহলে স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য তারা মালয়েশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে চলে যেতে চায়। 

সম্প্রতি অবৈধভাবে ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে আটক হয়েছে বেশ কিছু রোহিঙ্গা। তারা জানান, খাবার-দাবার পর্যাপ্ত পরিমাণ পেলেও এখানে গরমের সময় জীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। বর্ষায় পাহাড়ধসের আশঙ্কায় হারাম হয়ে যায় রাতের ঘুম। এভাবে জীবনযাপন করা সত্যিই দুরূহ। এ ছাড়া ক্যাম্পে সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুমের মতো ঘটনায় আমরা অতিষ্ঠ। তাই তারা ক্যাম্প ছেড়ে যেকোনো নিরাপদ স্থানে চলে যেতে চায়।

রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ত্যাগের ঘটনা ও সাগরপথে অনিশ্চিত মালয়েশিয়া যাত্রা নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ভারপ্রাপ্ত ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফখরুল ইসলাম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সভার প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গারা এখানে ত্রাণ পাওয়ার পাশাপাশি নিজেরাই ইচ্ছামতো ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবনযাপন করছে। তবে আগে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে কিছু দালাল রয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করছে। এসব চিহ্নিত দালালকে আইনের আওতায় আনা না হলে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পালানো রোধ করা সম্ভব হবে না।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের জানান, সম্প্রতি জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বরিপাড়া থেকে নারী-পুরুষ শিশুসহ ২৭ জন, উপকূলের সোনারপাড়া, ডেইলপাড়া থেকে ২৩ জন, হিমছড়ি থেকে ১৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এ ছাড়া ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে বিমানে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য একটি বাড়িতে অপেক্ষমাণ ১৭ জন নারী, ২ জন পুরুষ ও ৪ জন শিশুকে ঢাকা খিলগাঁও থানা পুলিশ আটক করে উখিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের পালিয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। এটা যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করতে হবে। এ জন্য  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধি ও ক্যাম্পের চারদিকে সিসিটিভি বসানোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads