উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বাড়তে শুরু করেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সব নদীর পানি। এই দিকে সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে সোমেশ্বরীর পানি। নদীর দুই তীর ভরে ফুলে ফেঁপে উঠে সোমেশ্বরী। স্থানীয়রা বলছে, ভারতের মেঘালয়ের টানা বৃষ্টি কারণে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে নদীর পানি। উজানে আবহাওয়া এখনো খারাপ থাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, টানা কয়েক দিন বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে সোমেশ্বরী পানি। উজানে ভারী বৃষ্টি কারণে সকাল থেকেই নতুন করে সোমেশ্বরীতে পানি বৃদ্ধি অবহৃত আছে । আর দুপুরের পর থেকে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপদসীমা ১২.৪৩ সেন্টিমিটার পাড় হয়ে ০.৬৮ সেন্টিমিটার ও বিজয়পুর পয়েন্টে ১৫.৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজানে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে নদীর পানিও কমতে পারে।
নদীতে পানি বাড়ায় দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ, বিরিশিরি-শিবগঞ্জ, ফারাংপাড়া-কামারখালী, চৈতাটি- গাঁওকান্দিয়া ঘাটে নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নৌকা চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হতে দেখা গেছে।
তাছাড়া পৌরসভার শিবগঞ্জ-ডাকুমারা, কুলাউড়া ইউনিয়নের কামারখালী এলাকায় নদীতে বেরিবাঁধ না থাকায় কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙ্গনের আতঙ্ক রয়েছে স্থানীয়রা।
নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানায়, নদীতে যেভাবে পানি বাড়ছে এর ফলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের এখনো বাড়ী ঘরে পানি না উঠে নাই। তবে যেভাবে পানি বাড়ছ এতে বাড়িতে পানি উঠতে বেশি সময় লাগবে না।
এদিকে দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ মহাসড়কের ঝুকিপূর্ণ অংশ ইন্দ্রপুরের সরু কালভার্টের নিচ দিয়ে বেড়েছে পানি প্রবাহের বেগ। ফলে নতুন করে আবারো সড়ক ভাঙ্গনের আশঙ্কা রয়েছে। তবে ভাঙ্গন রোধে বালুর বস্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, ঢলের পানি মোকাবেলায় উপজেলার সকল দপ্তরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোও চিন্তিত করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
