টানা বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটির ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে একটি বড় অংশ ধসে পড়ছে। এখন ঝুঁকি নিয়ে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল করছে।এটি রক্ষা করা না গেলে রাঙ্গামাটির সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এটি রক্ষার জন্য কাজ করছে সড়ক বিভাগের কর্মীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে সড়কটি রক্ষার চেষ্টা করছেন সড়ক বিভাগের কর্মীরা। ধসে পড়া অংশে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে বৃষ্টি মোকাবেলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাঙ্গমাটি জেলা প্রসাশক একে এম মামুনুর রশিদ ভাঙ্গন স্থানে পরির্দশন করেছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে যেকোনো মূল্যে সড়ক সচল রাখতে ও প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শতরূপা তালুকদার জানান, প্রবল পাহাড়ী ঢলের তোড়ে মহাসড়কটি ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশী যে সড়কটি যে কোনো মুহুর্তে বিলিন হয়ে যেতে পারে।
তিনি জানান, সড়কটির ভাঙ্গনের অবস্থা এতোই নাজুক বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই সড়কের ভাঙ্গন প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই।
এ বিষয়ে সওজের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু মুছা বলেন, সড়কের পাশ দিয়ে তীব্র ছড়ার স্রোতের কারণে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ৩০ মিটার ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে গাছের খুঁটি ও বস্তা ফেলে এ স্রোত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। তবে বৃষ্টি না থামায় তীব্র স্রোতে কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বৃষ্টি থামলে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ফলে এই সড়কের ভাঙ্গন দেখা দেয়। জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ জুন পাহাড় ধসে রাঙ্গামাটির ঘাগড়া-সাপছড়ি এলাকায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এ সড়কের প্রায় ১৫০ মিটার। এতে সারা দেশের সঙ্গে রাঙ্গামাটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।