পটুয়াখালীর দুমকিতে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকায় পায়রা নদীতে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর জোয়ার-ভাটার তীব্র স্রোতের চাপে ভাঙনে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন কবলিত অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে কেউ কেউ ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেলেও অধিকাংশ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
বাহের চরের বাসিন্দা জকিার হাওলাদার বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বহু কষ্টে কোনোমতে দিন কাটাচ্ছি।
আঙ্গারিয়ার ইউপি সদস্য রাজ্জাক হাওলাদা রবলেন, বাহেরচর গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো অসংখ্য ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় ভাঙন রোধ করা না গেলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ওই ইউনিয়নের বহু ঘরবাড়ি ও আবাদি জমির ফসল নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ভিটেমাটি নদী ভাঙনের মুখে থাকা জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা ত্রাণ কিংবা আর্থিক সহযোগিতা চাই না। সরকারের কাছে একটাই দাবি-নদী শাসন করে আমাদের ভিটেমাটি রক্ষা করা হোক। এছাড়াও ভাঙন রোধকল্পে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তরা।
আংগারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুলতান আহম্মেদ হাওলাদার বলেন, গত এক সপ্তাহে বাহেরচর গ্রামের শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, নদী ভাঙনে বাহেরচরের প্রায় শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে আংগারিয়া ইউনিয়ন উপজেলার মানচিত্র থেকে অচিরেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তিনি ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, ভাঙনের বিষটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে আশা করি খুব শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট মহল ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিবেন।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, বাহেরচরের ভাঙন পরিদর্শনে লোক পাঠিয়েছি এবং খুব শীগগিরই ভাঙন ঠেকাতে তীর রক্ষা বাঁধ তৈরির আশ্বাস দেন তিনি।