• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
টঙ্গীবাড়িতে পদ্মার রুদ্রমুর্তি

পদ্মার ভাঙ্গনের কবলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে টঙ্গীবাড়ির শতাধীক ঘরবাড়ী

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

টঙ্গীবাড়িতে পদ্মার রুদ্রমুর্তি

  • টঙ্গীবাড়ি (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ অক্টোবর ২০১৯

মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ীতে পদ্মা রুদ্রমুর্তি ধারণ করেছে। স্বাধীনতার পরে পদ্মার ক্রমাগত ভাঙ্গনে উপজেলার হাসাইল বানারী, কামারখাড়া,দিঘিরপাড়, পাচঁগাও ইউনিয়নের বড়াইল, গারুগাও, চৌসার,বাগবাড়ী, জুসিষার বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। দিনে দিনে ভাঙ্গনে একের পর এক বিলীন হয়ে যাচ্ছে শতাধীক ঘরবাড়ী, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পাল্টে গেছে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানচিত্র। প্রতি বছরই পদ্মার ভাঙ্গনের কবলে পরে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায়, ভাঙন কবলিত মানুষ রাস্তার পাশে উন্মুক্ত আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। পদ্মার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছেন কামার খাড়া ইউনিয়নের হাইয়ারপাড়ের সুজ্জত আলী, সায়েদ হালদার, আ. খালেক শেখ, ইদ্রিস হালদার, করিম হালদার সহ বেশ কয়েকটি পরিবার। হাইয়ারপারের জামে মসজিদটিও পার পাচ্ছেনা এ পদ্মার ভাঙ্গনের কবল থেকে। যে কোন মুহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে মসজিদটি।

কামারখাড়া হাইয়ারপাড় বাসিন্দা খালেক সভ্যতার আলোকে জানান, বসত ঘরটি ইতিমধ্যে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। পাশে থাকা আরেকটি ঘরে বসবাস করছেন পরিবার নিয়ে। তিনি আরও জানান, পদ্মা নদী হতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার ফলে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সভ্যতার আলোকে বলেন, পদ্মা নদীতে বেশ কিছু বসত বাড়ি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলিন হয়েগেছে। আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কামারখাড়া দিঘিরপার অঞ্চলে স্থায়ীভাবে কোন বাধ নির্মাণ না হওয়ায় ওই অঞ্চলে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। হাইয়ারপারের পাড়ের জামে মসজিদটি পদ্মায় ভাঙ্গনের কবলের মুখে। যেকোন সময় নদীতে বিলিন হয়ে যেতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার সভ্যতার আলোকে জানান, পদ্মার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে সহযোগীতা চেয়েছি। ভাঙ্গন এলাকায় শুকনো খাবার সহ আর্থিক সহায়তা করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads