• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
দুমকিতে কাঁচা ঘরবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত

ঘূর্ণীঝড় দুমকিতে ঘূণীঝড় তাণ্ডবে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছ অধিকাংশ ফসলের ক্ষেত

ছবি : বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

ঘূর্ণীঝড় বুলবুলের তাণ্ডব

দুমকিতে কাঁচা ঘরবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত

আমন ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

  • দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০১৯

সুপার সাইক্লোন ‘বুলবুলের’ আঘাতে পটুয়াখালীর দুমকিতে অন্তত: অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত, অসংখ্যে গাছপালা, আমন ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

গত শনিবার গভীর রাতে ও রবিবার দুপুরে উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অতিপ্রবল ঘূর্ণীঝড় বুলবুলের তান্ডবে উপজেলা শহরের পীরতলা বাজার সংলগ্ন মৃধা বাড়িতে বিশাল কড়াই গাছ উপড়ে পড়ে ঘরচাঁপায় গৃহকর্তৃ রেহেনা বেগম, কন্যা পারুল বেগম ও নাতনি মিতাসহ অন্তত: ৩জন গুরুতর আহত হয়।

একই সময় উপজেলার চরগরবদিদ গ্রামের সোহরাব আলী খান, পাংগাশিয়া ইউনিয়নের বাকের মাওলানা, সুলতান মল্লিক, কাঞ্চনসহ অন্তত: অর্ধশতাধিক পরিবারের বসত:ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূর্ণীঝড়ে পাংগাশিয়া এবিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির আধাপাকা ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টির আধাপাকা ভবন বিধ্বস্ত হওয়ায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের তান্ডবে উপজেলার শ্রীরামপুর, লেবুখালী, পাংগাশিয়া, মুরাদিয়া, আংগারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ও পল্লীবিদ্যুতের খুটি উপড়ে, হেলে পড়ায় অন্তত: ৩৭টি স্পটে তার ছিড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া চলতি মৌসুমের আমন ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকার দেয়া সরকারী হিসেবে আমনের সম্পূর্ণ ক্ষতির পরিমান ৩৪ হেক্টর, আংশিক ক্ষতি ১হাজার ৭শ’ ৬২ হেক্টর এবং রবি শষ্যের ক্ষতির পরিমান ১৫ হেক্টর ও আংশিক ক্ষতির পরিমান ২৩ হেক্টর। তিনি আরও বলেন, আমনের ক্ষেত এখনও পনিতে ডুবে আছে। দু’চারদিন পরে পানি শুকিয়ে গেলে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসেব পাওয়া যাবে।

পল্লী বিদ্যুতের দুমকি এরিয়া ইনচার্জ সহপ্রকৌশলী মো: জামাল হোসেন জানান, ঘূর্ণীঝড় বুলবুলের তান্ডবে দুমকিতে পল্লীবিদ্যুত সরবরাহ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অন্তত: ৭/৮টি পয়েন্টে খুটি ভেঙ্গে ও হেলে বিদ্যুত সরবরাহের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া গাছ উপড়ে ও ডালপালা ভেঙ্গে পড়ায় ৩৭টি স্পটে বিদ্যুত লাইন ছিড়েছে। গত ৩দিন ধরে দুমকিসহ দক্ষিনাঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত পারি বিদ্যুত সরবরাহ চালু করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads