• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
কলমাকান্দায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

কলমাকান্দায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

  • কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ জুলাই ২০২০

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বন্যা কবলিত এলাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত উব্দাখালী নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ প্রতিবেদন তৈরি করার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপজেলার খাল-বিল, ছড়া ও জলাশয়সমূহ পানিতে ভরে গ্রামীণ রাস্তা ও বাড়ী ঘরের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

আজ রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত তিন দিনের টানা ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলের ও পার্শ্ববর্তী জেলার সুনামগঞ্জের বন্যার পানি উব্দাভাবে আসায় উপজেলার উব্দাখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কলমাকান্দা, নাজিরপুর,পোগলা, বড়খাপন, খারনৈ, রংছাতি, লেংগুড়া ও কৈলাটী ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ম আয়ের লোকজন।

এ বন্যায় কলমাকান্দার নেত্রকোণার (সওজ) সড়কসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তা-ঘাট তলিয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানির মধ্যে আটকে পড়া মানুষগুলোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি গো খাদ্য এর  সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া আউশ বীজতলা, কাঁচা রাস্তা-ঘাট, পুকুর ও ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষেরা বলেছেন, পানিবন্দি হয়ে অনাহারে থাকলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি তেমন কোন সাহায্য সহযোগিতা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা প্রতিবেদককে  জানান, ২০ টন জিআর চাল ও দুইশ শুঁকনো খাবার জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ পেয়েছি। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রতিবেদককে বলেন বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য সবার সহযোগীতা চাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads