বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও চলছে টানা বর্ষণ। যা আগামী কয়েকদিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল, ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের। সবক’টি সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার ট্রলারকে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে আজ সকাল থেকে রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। একই চিত্র ছিলো দেশের বিভিন্ন স্থানে। কোথাও আবার টানা বর্ষণ হয়েছে। পরে দিনশেষে সাগরের লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা বিভাগের পাশাপাশি খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
খুলনায় গত দু’দিন ধরেই মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার রূপসা, ভৈরব, কাছিবাছা, পশুর, ঢাকী, চুনকুড়ি ও ভদ্রা নদীর পানি বইছে স্বাভাবিক উচ্চতার ৫-৬ ফুট উপর দিয়ে।
মাগুরায় টানা বৃষ্টি চলছে। একই কারণে নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার।
বৃষ্টিতে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা সদরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। হুঁমকির মুখে পড়েছে কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের।
পটুয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলজট দেখা দিয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকশ’ মাছের ঘের।
এদিকে গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোয় ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপক‚লের কাছাকাছি নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।