• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
চির নিদ্রায় বঙ্গবন্ধুর সহচর এড.আহমেদ আলী

বঙ্গবন্ধুর সহচর এড.আহমেদ আলী

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

শোক সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর শোক

চির নিদ্রায় বঙ্গবন্ধুর সহচর এড.আহমেদ আলী

  • কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জানুয়ারি ২০২০

বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বাদ আছর কুমিল্লা টাউনহল মাঠে নামাজের জানাযা শেষে তাকে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ভাষা সৈনিক অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত ১.৪৭ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হসপিটালে ইন্তেকাল করেন। শনিবার সকালে ঢাকা থেকে তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাজলিয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামের বাড়িতে সকাল ১০টায় প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৯৭ বছর বয়সী এই ভাষা সৈনিকের মরদেহ দ্বিতীয় জানাযা ও শেষ শ্রদ্ধা জানানো জন্য কুমিল্লা টাউনহল মাঠে আনা হয়।

সেখানে আহমেদ আলীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা কমিল্লা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আইনজীবী সমিতি এবং নগরের সর্বস্তরের নাগরিক।

জানাযার নামাজের আগে তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোকবার্তা পাঠ করা হয়।

জানাযার নামাজে আহমেদ আলীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন, সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক এমপি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল বাসেত মজুমদার, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) কাইজার মো. ফারাবী।

বক্তব্যে সাবেক রেলমন্ত্রী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক এমপি বলেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী ছিলেন আমাদের অভিভাবক। তিনি আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। আহমেদ আলীর মৃত্যুতে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। তাকে ঘিরে আজ অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যা বলে শেষ করা যাবে না। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এড. আমিনুল ইসলাম টুটুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং কুমিল্লার আইনজীবী সমিতির সদস্যরাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে বৃহত্তর কুমিল্লা-৫ আসনের (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) এমএলএ নির্বাচিত হন। যেটা ১৯৭১ সালে এমসিএতে রূপান্তরিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এ সহচর ১৯৫৩ সালে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আইনজীবী সমিতির প্রথম নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads