• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

বদলে যাচ্ছে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ এপ্রিল ২০১৮

আর মাত্র দু’বছর— তারপরই বদলে যাচ্ছে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। আসছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। গত সোমবার এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট বেরিয়েছে দৈনিক দিনপরিবর্তনে। প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ২০২০ সালেই চালু হয়ে যাবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে এই অত্যাধুনিক উড়াল সেতুটি এসে নামবে ঢাকা-চটগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পয়েন্টে। মাঝখানে সড়কটি ছুঁয়ে যাবে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী। এই পয়েন্টগুলোতে ওঠানামার ব্যবস্থা থাকবে। ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তায় বোধগম্য কারণেই কোনো ট্রাফিক জ্যামের সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে সকাল আটটার পরে রাত পর্যন্ত যেকোনো সময় উত্তরা থেকে মতিঝিল আসতে কম করে হলেও দুই ঘণ্টা লেগে যায়। এক্সপ্রেসওয়েতে কুড়ি মিনিটের বেশি লাগবে না।

অন্যদিকে মেট্রোরেলের কাজ চলছে পুরোদমে। ২০১৯ সালের মধ্যে এই রেলপথের কাজ শেষ হওয়ার কথা। সেটা সম্ভব না হলেও ২০২০ সালের মধ্যে আশা করা যায় আমরা মেট্রোরেলের সুবিধা ভোগ করতে পারব। মেট্রোরেল পথের দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। মতিঝিল হয়ে এই পথ চলে যাওয়ার কথা সায়েদাবাদ পর্যন্ত। মেট্রোরেলে চলাচল করবে ৫৬টি ট্রেন। প্রতিটি গাড়ি ১৮০০ যাত্রী বহনে সক্ষম। ট্রেন পাওয়া যাবে প্রতি চার মিনিট অন্তর। সে হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করবেন এই রুটে। ট্রেনগুলো চলবে ১০০ কিলোমিটার গতিতে। খুব কম সময় লাগবে পুরো ২০ কিলোমিটার পথ আসা-যাওয়ায়।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রোরেল হয়ে যাওয়ার পরও  রাজধানী ঢাকায় যানজট থাকবে, এমন চিন্তার সুযোগ খুবই কম। দেশের অর্থনীতিতেও তার ইতিবাচক অভিঘাত সঞ্চারিত হবে। নির্বিঘ্নে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হবে, এই আমাদের আন্তরিক কামনা।    

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads