• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
রাজা রামমোহন রায় 

রাজা রামমোহন রায় 

সংরক্ষিত ছবি

মতামত

স্মরণ

রাজা রামমোহন রায় 

  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৮

ভারতীয় বাঙালি সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় ১৭৭২ সালের ২২ মে পশ্চিম বাংলার রাধানগর গ্রামে এক রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রাচ্যভাষা, যেমন সংস্কৃত, আরবি ও ফারসিতে তিনি উল্লেখযোগ্য ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। হিন্দু ধর্ম সংস্কারক রামমোহন রায় হিন্দুশাস্ত্র ছাড়াও ইসলামী ধর্মতত্ত্ব ও আইনশাস্ত্রে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা। তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বাঙালি এই দার্শনিক উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পেরেছিলেন।

ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার হিতৈষী প্রচেষ্টার জন্য তিনি স্মরণীয় ও পূজনীয় হয়ে আছেন। তখন হিন্দু বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে যেতে বা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করা হতো। তার প্রচেষ্টায় ১৯২৯ সালে সতীদাহ প্রথা আইন করে বিলুপ্ত করা হয়। তরুণ বয়সে রামমোহন কলকাতায় মহাজনের কাজ করতেন। ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ কোম্পানির অধীনে দেওয়ানরূপে রংপুরে কাজ করেন ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত। ১৮১৫ থেকে ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রকাশিত হয় বেদান্তগ্রন্থসমূহ, যেগুলো ব্রাহ্ম্য সমাজ থেকে প্রকাশিত হতো। হিন্দু সমাজের চিরায়ত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলায় প্রথম দিকে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন। পরে অবশ্য তার যুক্তি ও দর্শনের আলোকে হিন্দু ধর্মের সংস্কার তথা আধুনিকায়ন করা হয়।

দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় আকবর তাকে ‘রাজা’ উপাধি দেন এবং ব্রিটিশ রাজদরবারে বাদশাহের ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করার জন্য তাকে নিয়োগ করেন। রামমোহন রায় একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করতেন। এই বিশ্বাস থেকে তিনি ব্রাহ্মসমাজ ও ব্রাহ্মধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। রামমোহন রায় ১৮৩১ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের দূত হিসেবে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন। তিনি ফ্রান্সও পরিদর্শন করেছিলেন। ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ব্রিস্টলে মৃত্যুবরণ করেন। ব্রিস্টলের আর্নস ভ্যাল সমাধিস্থলে তাকে কবর দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads