• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব

রাজনৈতিক নেতৃত্ব

প্রতীকি

মতামত

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব

  • শাহ আহমদ রেজা
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক অঙ্গনের আলোচনায় প্রাধান্যে রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তিনি। সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়াসহ তার দীর্ঘ অতীত রয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি, দু’বার বিরোধীদলীয় নেত্রীর ভূমিকাও পালন করেছেন। এরপর ২০০৯ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অব্যাহত সাফল্য শেখ হাসিনাকে ইতোমধ্যে বসিয়েছে বিশ্বনেতার আসনে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার ভূমিকা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত। মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে তাকে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আশা ও বিশ্বাস, শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী হবেন।

এদিকে সম্পূর্ণ বিপরীত কারণে হলেও মানুষের মুখে মুখে এখনো বেগম খালেদা জিয়ার নাম উচ্চারিত হচ্ছে। আগামী দিনের রাজনীতি ও সম্ভাব্য সংসদ নির্বাচনসহ সব আলোচনাতেও তিনি প্রাধান্যে থাকছেন। এটাই অবশ্য স্বাভাবিক। তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। দুবার বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। বড় কথা, ১৯৮০-এর দশকে সামরিক শাসনবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে রাজনীতিতে তার প্রতিষ্ঠা ঘটেছিল। বর্তমান সরকারের আমলেও সে অবস্থানে দৃশ্যত কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়েছে, আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। সর্বশেষ এক মামলায় পাঁচ বছরের জন্য দণ্ডিত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন তিনি। প্যারোলে বা নির্বাহী আদেশে মুক্তি নেননি। এগিয়ে চলেছেন আইনি প্রক্রিয়ায়। সব আলোচনাও তাই তাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে।

দেশের প্রধান দুই দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিযোগিতা, এমনকি বিরুদ্ধ সম্পর্ক থাকলেও জনগণের সমর্থন ও শ্রদ্ধা কিন্তু শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়াই পেয়েছেন। এখনো সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে তাদের নামেই। দুই নেত্রীর প্রতি জনগণের এই শ্রদ্ধা ও সমর্থনের মধ্যে তাদের জন্য শিক্ষণীয় রয়েছে— ক্ষমতার দাপটে যারা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে চান এবং তাদের পেছনে জনগণ থাকে না। পাকিস্তানের ‘লৌহ মানব’ আইয়ুব খান থেকে বাংলাদেশের স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ পর্যন্ত অনেকেই বিভিন্ন সময়ে জনগণের মধ্যে রাজনীতিকদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরির চেষ্টা করেছেন। তারা রাজনৈতিক নেতাদের অনেককে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছেন, তাদের কেউ কেউ আবার অসৎ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ও ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এই ক্ষমতাদর্পী শাসকরা নিজেরাই পরে রাজনীতিতে এসেছেন, রাজনীতিও করেছেন প্রচলিত ধারাতেই। এসবের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলকে দোষারোপ করা অনুচিত। দোষ করেন আসলে রাজনীতিকদের মধ্যে কেউ কেউ, এমনকি অনেকেও। তাই বলে সবাই নন।

একই কারণে সর্বময় ক্ষমতাসহ প্রধান নেতা হওয়ার ‘অপরাধে’ কারো বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে ওঠারও কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। কারণ ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যাবে, বাংলাদেশের শুধু নয়, ভারত ও পাকিস্তানসহ এ উপমহাদেশের রাজনীতিরই এটা প্রধান বৈশিষ্ট্য। ব্রিটিশ আমলে বিকশিত এ বৈশিষ্ট্যের মূলকথা হলো, ‘একজন’ প্রধান নেতা বা নেত্রীকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলের বিকাশ ঘটে এবং দলের সর্বময় ক্ষমতা চলে যায় ওই নেতা বা নেত্রীর হাতে। তার বক্তব্যই দলের বক্তব্য হয় এবং তার ইচ্ছায় দলের ভেতরে পরিবর্তন ঘটে।

ব্রিটিশ ভারতে এ বৈশিষ্ট্যের সূচনা ও বিকাশ ঘটেছিল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে সামনে রেখে। স্বাধীন ভারতে নেতৃত্বের সে ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। ভারতে এখনো নেতানির্ভর দলীয় বিকাশের বৈশিষ্ট্য সক্রিয় রয়েছে। এজন্যই সোনিয়া গান্ধীর মতো একজন অরাজনীতিক গৃহিণী ও বিদেশিনী ভারতের সবচেয়ে পুরনো ও বড় দল কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। এটা ঘটেছে, কারণ সোনিয়া গান্ধী জওহরলাল নেহরুর নাতি ও ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে রাজীব গান্ধীর স্ত্রী। পণ্ডিত নেহরুর মেয়ে হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ও দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তার পর এসেছে রাজীব গান্ধীর পালা। রাজীব নিহত হওয়ার (১৯৯১) পর কিছুদিন পর্যন্ত সম্মত না হলেও ১৯৯৮ সালে এসে সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের হাল ধরেছেন। ভবিষ্যতে নেতৃত্ব ধরে রাখার উদ্দেশ্য থেকে সোনিয়া আবার তার নিজের ও রাজীব গান্ধীর একমাত্র ছেলে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্তি দিয়েছেন। সবশেষে মাস কয়েক আগে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টও করা হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রাধান্যে থেকেছেন বেনজীর ভুট্টো। ১৯৭৭ সালে সামরিক শাসনে অপসারিত ও পরে ফাঁসিতে নিহত প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে হিসেবে পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন তিনি। দু’বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বেনজীরের জনপ্রিয়তার কারণেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে পিপিপি সরকার গঠন করতে পেরেছে। তার নাম ব্যবহার করেই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বেনজীরের স্বামী আসিফ আলী জারদারি।

এখানে রাজনৈতিক নেতৃত্বের যে বৈশিষ্ট্য ও প্রবণতার কথা বলা হচ্ছে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো, নেতানির্ভর বিকাশের ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। পরিণতিতে প্রধান নেতার মৃত্যু ঘটলে দলগুলোকে বিপন্ন হতে হয়। তখন এমন কাউকে প্রধান নেতার আসনে বসাতে হয়, যার সঙ্গে আগের প্রধান নেতার কোনো সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার দৃষ্টান্ত লক্ষ করলে এ সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হবে। বাংলাদেশে নেতানির্ভর দলীয় বিকাশের এ বৈশিষ্ট্য প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে। ১৯৬৯ সালে জনপ্রিয় শীর্ষ নেতার অবস্থানে পৌঁছানোর পর থেকে ১৯৭৫ সালে নিহত হওয়ার সময় পর্যন্ত কোনো পর্যায়েই দলে যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। যৌথ নেতৃত্ব না থাকার কারণে বিশেষ করে স্বাধীনতা যুদ্ধের দিনগুলোতে আওয়ামী লীগকে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হতে হয়েছিল। কিন্তু এসব ঘটনা জানা সত্ত্বেও দলে যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বই বরং নিরঙ্কুশ হয়েছিল।

শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর (আগস্ট, ১৯৭৫) নতুন পর্যায়ের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগে যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চমৎকার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু সে সুযোগ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। দল অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় একাধিক ধারা-উপধারা। এই অবস্থায় দলের বৃহত্তর ঐক্য ধরে রাখার স্বার্থে সভানেত্রী বানানো হয়েছিল শেখ হাসিনাকে (মে, ১৯৮১)। শেখ হাসিনা অবশ্য প্রথম থেকেই একশ ভাগ যোগ্যতা দেখিয়ে এসেছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর তিনি এককালের তুখোড় মুজিববিরোধী নেতা আ স ম আবদুর রবকে পর্যন্ত মন্ত্রী বানিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননের মতো এককালের মুজিববিরোধীরা। ক্ষমতায় ও বিরোধী দলে থাকার কোনো পর্যায়েই কারো পক্ষে শেখ হাসিনার নির্দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এখনো হচ্ছে না। কারণ দলীয় লোকজনের সমর্থনেই আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের উদাহরণ দেওয়া হলেও একই বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলোতেও রয়েছে। বিএনপি গঠনকালে (সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮) প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের তথা দলীয় চেয়ারম্যানের হাতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। চেয়ারম্যানের এই ক্ষমতা কমানোর বা যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। জিয়ার মৃত্যুর পর (মে, ১৯৮১) বিচারপতি আবদুস সাত্তারের স্বল্প সময়ে দলের গঠনতন্ত্রই বেগম খালেদা জিয়াকে সর্বময় ক্ষমতা জুগিয়েছিল (জানুয়ারি, ১৯৮৪)। ১৯৮৯ সালে দলের প্রথম কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই চারবার তিনি মহাসচিব পদে রদবদল করেছিলেন। এর পাশাপাশি ১৯৯২ সালের কাউন্সিল অধিবেশনে চেয়ারপারসন হিসেবে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করার এবং কমিটির সদস্য পদে যে কাউকে নিযুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। অর্থাৎ দলের গঠনতন্ত্রই চেয়ারপারসনের হাতে সব বিষয়ে প্রশ্নাতীত ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। সে ক্ষমতার বলেই তিনি নিজের ছেলে তারেক রহমানকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান করেছেন। খালেদার অনুপস্থিতিতে তারেকই হবেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

সামরিক অভ্যুত্থানের পথে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও নেতানির্ভরতার এ বৈশিষ্ট্যের বাইরে যাননি। জনদল (নভেম্বর, ১৯৮৩) ও জাতীয় পার্টি (জানুয়ারি, ১৯৮৬) গঠন পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়ায় তো বটেই, পরবর্তীকালেও প্রতিটি পর্যায়ে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা থেকেছে জেনারেল এরশাদের হাতে। তার ইচ্ছায় পার্টি নেতৃত্বে ও মন্ত্রিসভায় বহুবার পরিবর্তন ঘটেছে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কারাগারের ভেতরে থেকেও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন তিনি। এখনো এরশাদই সর্বময় ক্ষমতাসহ জাতীয় পার্টির প্রধান নেতার অবস্থানে রয়েছেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (রাশেদ খান মেনন) থেকে জামায়াতে ইসলামী (অধ্যাপক গোলাম আযম) পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্য সব দলেও নেতানির্ভরতার বৈশিষ্ট্য উপস্থিত ও সক্রিয় রয়েছে। এ বৈশিষ্ট্যের কারণেই জেনারেল মইন ও ফখরুদ্দীন আহমদের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও দুই নেত্রীকে ‘মাইনাস’ করা যেমন সম্ভব হয়নি, প্রধান দলগুলোকে দিয়েও তেমনি ‘সংস্কার’ করানো যায়নি। এটা আসলে হুকুম দিয়ে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। সংস্কার বা যৌথ নেতৃত্বের জন্য যথেষ্ট সময় নিয়ে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে পা বাড়ানো দরকার। এ ব্যাপারে বুঝতে ও সিদ্ধান্ত নিতে হলে শুধু বাংলাদেশের নয়, উপমহাদেশের রাজনৈতিক দল ও সংগ্রামের ইতিহাসকেও বিবেচনায় নিতে হবে। দেখা যাবে, নেহরু-জিন্নাহ থেকে হাসিনা-খালেদা বা অন্য যিনিই হোন না কেন, রাজনৈতিক দল ও জোটের সবসময় ‘একজন’ নেতা বা নেত্রীর প্রয়োজন থাকে। যেমন ২০০৮ সালে ‘একজন’ আবদুল মান্নান ভূঁইয়াই বিএনপির নাম নিয়ে বিএনপিতে ভাঙন ঘটানোর অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সঙ্গে আরো কয়েকজন থাকলেও নাম এসেছিল ‘একজন’ নেতারই। কেন শুধু ‘একজন’ নেতারই নাম আসে— এ প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই রয়েছে রাজনৈতিক দলের সংস্কার সংক্রান্ত সঠিক দিকনির্দেশনা। ২০০৭-০৮ সময়কালে বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনাকে কেন মাইনাস করা সম্ভব হয়নি এবং কেন এই দুই নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য এখনো হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকের ‘ঢল’ নামে, সে প্রশ্নের উত্তরও বিবেচনায় রাখা দরকার।

লেখক : সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads