• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
কেন ছিন্ন হলো ঐতিহ্যের ধারা   

নানা নৈরাজ্যের ঘূর্ণিপাকে ঐতিহ্য ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে প্রজন্মের সামনে

আর্ট : রাকিব

মতামত

কেন ছিন্ন হলো ঐতিহ্যের ধারা   

  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৮

প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস থেকে তিনটি ছবি প্রথমে উপস্থাপন করছি। পাশ্চাত্যের ইতিহাস বইতে গর্বের সঙ্গে বলা হয়, মধ্যযুগে ইউরোপে সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। প্রাচীন ধ্রুপদী সভ্যতার পতনের পর পাঁচ শতকের শেষ দিকে নতুনভাবে বিশ্বসভ্যতার উত্থান ঘটে। এবার সভ্যতা উদ্ভবের প্রাণকেন্দ্র ইউরোপ। তবে মধ্যযুগের এই সভ্যতা প্রাচীনকালের নগর সভ্যতার অনুরূপ নয়। ইউরোপের সভ্যতা ছিল সামন্ততান্ত্রিক গ্রামীণ সভ্যতা। এ পর্যায়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে ইউরোপে। নয় শতকে গল অর্থাৎ আধুনিক ফ্রান্সে শক্তিশালী রাজা শার্লামেন সিংহাসনে বসেন। শিক্ষার আলোহীন মধ্যযুগের ইউরোপে তিনি প্রথম গির্জাকেন্দ্রিক প্রাথমিক শিক্ষার সূচনা করেন। এর ধারাবাহিকতায় বারো ও তেরো শতকে ইউরোপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। অথচ আমরা অনেকেই ইতিহাস চর্চার দুর্বলতার কারণে খোঁজ রাখি না এরও হাজার বছর আগে শিক্ষার আলো জ্বলেছিল বাংলায়। আট শতক থেকে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠতে থাকে এ ভূখণ্ডে। শালবন বিহার, আনন্দ বিহার, সোমপুর মহাবিহার, বাসুবিহার, সীতাকোট বিহার সে সাক্ষ্য বহন করছে। প্রাচীন বাংলায় আসা চৈনিক পর্যটক হিউয়েন সাঙ পরিসংখ্যান দিয়ে বিহারগুলোর ছাত্র-শিক্ষক সংখ্যা, পাঠক্রম ইত্যাদি নানা তথ্য দিয়েছেন। বিদেশি ছাত্রদের বাংলার এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসাটা আরাধ্য ছিল।

দ্বিতীয় ছবিটি এগারো শতকের। বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ধর্মচর্চায় বাংলা তখন উপমহাদেশে নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছেছে। এ সময় নেপাল, তিব্বত, চীন প্রভৃতি দেশে বৌদ্ধ ধর্ম ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল। এসব দেশের পণ্ডিত সমাজ সিদ্ধান্তে এলেন বাংলার বৌদ্ধ পণ্ডিত শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করকে একবার তাদের দেশে আনতে পারলে আবার বৌদ্ধ ধর্ম ও দর্শনচর্চা প্রাণ ফিরে পেত। এই অনুরোধ রেখে চীনের রাজা বাংলার পণ্ডিত সমাজের কাছে পত্র দিয়ে প্রতিনিধি দল পাঠালেন। অনুরোধ করলেন অতীশকে কিছুদিনের জন্য যেন ধার দেওয়া হয়। অনেক ভাবনা-চিন্তার পর অতীশ দীপঙ্কর চীন রাজার আহ্বানে সাড়া দেন। পথে প্রথমে নেপাল পরে তিব্বত ও সবশেষে চীনে যান তিনি। অতীশের পরিচর্যায় এসব দেশে বৌদ্ধ ধর্ম আবার জীবনীশক্তি ফিরে পায়। অতীশ আর ফিরতে পারেননি। চীনেই মৃত্যুবরণ করেন। কয়েক বছর আগে তার দেহভস্ম কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারকে দান করে চীন সরকার।

শেষ ছবিটি সুলতানি বাংলার। চৌদ্দ শতকে সুলতানগণ বাংলায় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। ধন, সম্পদ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে বাংলার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল চারপাশে। বস্ত্রশিল্প, বাণিজ্য ও শিল্পকলার সকল ক্ষেত্রে বাংলার অবস্থান অনেক বেশি উজ্জ্বল ছিল। এ সময় আরব দেশগুলোতে তেল শক্তির খোঁজ মেলেনি। অর্থনৈতিকভাবে দীনহীন অবস্থা এসব দেশের মানুষের। চৌদ্দ শতকে সোনারগাঁওয়ের সিংহাসনে আসীন ছিলেন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ। প্রতিবছর বাংলার সুলতান জাহাজ বোঝাই রিলিফ পাঠাতেন আরবে। আরব ঐতিহাসিক ইবন-ই-হুজর তার ‘ইবনা উল গুমর’ গ্রন্থে স্পষ্টই দেখিয়েছেন বাংলার সুলতানের পাঠানো অর্থের ভাগ মক্কা-মদিনার সকল মানুষ পেত।

প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলার এমন অনেক মণিকাঞ্চনের সন্ধান দেওয়া যায় ইতিহাসের পাতা থেকে। ইতিহাস এভাবেই প্রাণিত করে নতুন প্রজন্মকে। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর আজ আমরা এসে দাঁড়িয়েছি এক কঠিন বাস্তবতায়। নানা নৈরাজ্যের ঘূর্ণিপাকে ঐতিহ্য ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে প্রজন্মের সামনে। অথচ বাংলার মানুষ ঐতিহ্যিক প্রণোদনা বিচ্ছিন্ন হয়নি কোনোদিন। স্বার্থপরতা ও গোষ্ঠীপ্রিয়তার চেয়ে দেশপ্রেমকে সবার ওপরে স্থান দিয়েছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। না হলে ঔপনিবেশিক যুগে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার শক্তি পেয়েছিলেন কোথা থেকে! ভাষা আন্দোলনের গৌরবগাঁথা রচনা করার সাহস এসেছিল কীভাবে! আর মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার উদ্দীপনাই বা পেয়েছিলেন কেমন করে! এতসব ঐতিহ্যের শক্তি স্বাধীন বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে পারত অন্য এক উচ্চতায়। কিন্তু উল্টে গেল সব হিসেব-নিকেশ। যেখানে টগবগে ঘোড়ার শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে কোনো এক অশুভ শক্তি বাংলাদেশের পায়ে যেন ভূতের পা লাগিয়ে দিল। মালয়েশিয়া যা পেরেছে তার চেয়ে অনেক বেশি পরার কথা ছিল বাংলাদেশের। সাড়ে সাত কোটি জনসম্পদ নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সে সম্পদ বেড়ে এখন ষোলো কোটি পেরিয়ে গেছে। তাই খুব কষ্টের সঙ্গে ভাবতে হয় কী হতে পারত এ দেশ আর কী হচ্ছে এখন চারপাশে!

অবশ্য অতি সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তায় এবং আত্মপ্রত্যয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাফল্য আসছে। কিন্তু পোড়খাওয়া মানুষ এরপরও খুব আশাবাদী হতে পারছে না। নষ্ট রাজনীতির ঘুণপোকা সকল সম্ভাবনাকে যেন কুরে কুরে খাচ্ছে। আমাদের দেশের রাজনীতি যেভাবে ক্রমে দেশপ্রেম নির্বাসন দিয়ে গোষ্ঠীপ্রেমকে সামনে নিয়ে আসছে তাতে অগ্রগতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়। দেখে মনে হয়, দেশের উজ্জ্বল ঐতিহ্য ও ইতিহাস পাঠ বিমুখ আমাদের রাজনীতি অঞ্চলের মানুষেরা। তাই এ দেশের সরকারি ও বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের কোনো পক্ষই ঐতিহ্য থেকে প্রাণিত হন না।

ইংরেজি ‘ডন’ (Don) শব্দটির বহুমাত্রিক অর্থ রয়েছে। ইতিবাচক অর্থে ‘জ্ঞানী’, ‘পণ্ডিত’, ‘যুদ্ধ বিজেতা’ ইত্যাদি, আর নেতিবাচক অর্থে সন্ত্রাসীদের গডফাদার অর্থাৎ ‘মাফিয়া ডন’। রাজনীতিবিদগণ সম্মানীয়। আমাদের ভূত-ভবিষ্যৎ তাদের হাতে। তাই রাজনীতিকদের বিপরীতে ‘ডন’ শব্দ ইতিবাচক অর্থে ব্যবহূত হলেই আমরা স্বস্তি পাই। পাঠক কোন অর্থে গ্রহণ করবেন তা পাঠকের স্বাধীনতা। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া বা থাকায় অভিলাষী রাজনীতিবিদগণ মানুষের চোখে রহস্যময়। তাদের আচার-আচরণ ও কর্মভূমিকা দেখে সাধারণ মানুষ ঠিক নিশ্চিত হতে পারে না তারা কাদের কল্যাণে রাজনীতি করেন। স্বয়ং নিজেদের অর্থাৎ ব্যক্তির? দলের? নাকি বিশেষ গোষ্ঠীর? তবে একটি ব্যাপারে মানুষ নিশ্চিত- সাধারণ দেশবাসীর কল্যাণচিন্তায় তাদের রাজনীতি নয়।

মানুষের এমন ভাবনার কিছু বাস্তব যুক্তি আছে। তারা যখন দেখে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে যিনি মোটামুটি নেতা বনে যান শুরুতে তার আঙুল স্বাভাবিকই থাকে (অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদে)। দল রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দিনে দিনে সেই আঙুল ফুলে ছোট্ট থেকে অল্প সময়ে মস্ত কলাগাছ হয়ে যায়। ব্যবসায়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও রাজনীতির দাপট আর প্রভাবে প্রকাণ্ড ব্যবসায়ী হয়ে পড়েন। গরিব দেশে বিত্তশালী হওয়ার চেরাগ পেয়ে যান তিনি। ব্যক্তিস্বার্থে ব্যস্ত থাকেন বলে এসব রাজনীতির নেতারা সংসদ সদস্য হয়ে সংসদে আসেন না। যারা আসেন তারা আবার জনগণের জন্য কথা কম বলেন। দলের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত যতই অমানবিক আর অগণতান্ত্রিক মনে হোক না কেন তারা তা মানতে ও বাস্তবায়নে বাধ্য থাকেন। দলীয় স্বার্থে মিথ্যাচার করেন অবলীলায়। মিডিয়ার সামনে একেক দিন একেক কথা বলেও লজ্জিত হন না। দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে আফিমে চুর কর্মী-সমর্থকদের লেলিয়ে দেন মানবতার টুঁটি চেপে ধরতে। তারা গোষ্ঠীসুবিধা অর্জনে রাজনীতি করেন এ জন্য যে, প্রায়শ নেতারা আন্তঃদলীয় কোন্দলে নিজেদের জড়িত করেন। এভাবে অন্তর্ঘাত বাড়তে থাকে। এর ভুক্তভোগী হয় সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে জিম্মি করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করেন।

তাদের এমন মনোভাব বিভক্ত করে ফেলছে দেশের মানুষকে। বিভ্রান্ত করে ফেলছে তরুণ প্রজন্মকে। না হলে পাঁচ-ছয় দশক আগেও যে দেশের তরুণ সমস্ত প্রলোভনকে পায়ে মাড়িয়ে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে প্রাণশক্তির সঞ্চার করত আজ তাদেরই উত্তরপুরুষ চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, সন্ত্রাসী ও খুনি পরিচয়ে পরিচিত হচ্ছে। নষ্ট রাজনীতি সকলের শুভ চিন্তা ও চেতনাকে গ্রাস করছে। তারুণ্য নির্লোভ শক্তিকে সাথে নিয়ে উচ্চকণ্ঠ হচ্ছে না।

রাজনীতিকদের সমালোচনা করলে তারা অস্বস্তিতে ভোগেন। বলেন, সমাজের অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষ অনাচার করে দেশকে কি পিছিয়ে দিচ্ছে না? কথা সত্য। তবে তার চেয়ে বড় সত্য অধিকাংশ অনাচারকারীর শক্তির খুঁটি সেই রাজনীতি অঞ্চলই। 

সাংস্কৃতিক অঞ্চলের মানুষদের প্রতি এক ধরনের আস্থা ছিল বহুকাল ধরে। একটি নির্লোভ অবস্থানে থেকে তারা দেশের মানুষের মনোভূমিতে সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনে নিবেদিত থাকেন। কিন্তু এসব অঞ্চলের ক্ষমতাবানরাও এখন নানা রাজনৈতিক অঞ্চলে বিভক্ত। দলীয় তল্পিবাহকের ভূমিকা তাদের আত্মশক্তি বিকাশের সম্ভাবনা ক্রমে নিষ্প্রভ করে দিচ্ছে।

পাকিস্তান আমল থেকে ইতিহাস দেখে এসেছে যেকোনো অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মুক্ত বিবেক হিসেবে আবির্ভূত হতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি তারা ছিলেন আন্দোলনকারীদের গাইড-ফিলোসফার। কিন্তু এখন পাল্টে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দু’ ধরনের শিক্ষকের বাস। ক্ষমতাশালী দলটি শিক্ষক-রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন। আর অন্য দলটি শিক্ষক-রাজনীতির বলয় বিচ্ছিন্ন। তাদের পরিচয় ‘সাধারণ শিক্ষক’ নামে। সাধারণ শিক্ষকরা মুক্ত ভাবনায় কণ্ঠ চড়ালেও তা ঢাকা পড়ে যায় রাজনীতির শিক্ষকদের দাপটে। তারা নিজেদের চিহ্নিত করেন নানা রঙে। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে তারাও অনেক সময় অন্যায়-অনাচারের বৃত্তে নিজেদের যুক্ত রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নের চিন্তার বদলে নিজেদের স্বার্থচিন্তা এবং নিজ দলীয় জাতীয় নেতা-নেত্রীদের আজ্ঞা বহনেই তাদের অধিকাংশ ব্যস্ত থাকেন।

এভাবে নষ্ট রাজনীতির ঘুণপোকা সমাজের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ঝাঁজরা করে দিচ্ছে। হতাশা বাড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে। তারপরও আশাবাদী মানুষ ইতিহাসের অমোঘ নিয়মের সূত্রে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খোঁজে। তবে ভরসা এই যে, প্রয়োজনীয় সময়ে ইতিহাস ঠিকই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করবে। জয় হবে মুক্তচিন্তার মানুষের এবং দেশপ্রেমিক নতুন প্রজন্মের। উন্নয়নের পথযাত্রা নষ্ট রাজনীতির অপচ্ছায়া ব্যাহত করতে পারবে না। আজ যারা রাজনীতির স্বার্থচর্চা করতে গিয়ে জাতিকে চরম অনিশ্চয়তা ও সঙ্ঘাতের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, হয় তারা আত্মচৈতন্যে ফিরে এসে মানবিক হবেন এবং দেশপ্রেমের টান অনুভব করবেন বুকের ভেতরে- দলের চেয়ে সত্যিই দেশকে বড় ভাববেন নয়তো দেশপ্রেমিক মানুষের ইচ্ছেশক্তির জোয়ারে দিশাহারা হয়ে পায়ের নিচের মাটি হারাবেন। প্রত্যাশা করি, রাজনীতির মাঠে সকল পক্ষের যত আস্ফাালনই থাকুক, শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের সত্যকে অস্বীকার করার মতো মূর্খতা কেউ দেখাবেন না।

এ কে এম শাহনাওয়াজ

অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

shahnawaz7b@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads