• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
উন্নয়ন এবং দায়িত্বহীনতা

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষক সেই মেরুদণ্ডের নির্মাতা

ইন্টারনেট

মতামত

উন্নয়ন এবং দায়িত্বহীনতা

  • ইউসুফ শরীফ
  • প্রকাশিত ৩০ মে ২০১৮

দায়িত্বহীনতা এক মারাত্মক অসুখ। এই অসুখ থেকে মুক্ত থাকার জন্যই জনকল্যাণে দায়িত্বশীলতার চর্চা মানব সভ্যতার যাত্রাপথে এত গুরুত্ব পেয়ে আসছে। সদিচ্ছা, সুষ্ঠু পরিকল্পনা, উপযুক্ত উদ্যোগ-আয়োজন থাকা সত্ত্বেও শুধু দায়িত্বহীনতার কারণে সবকিছু ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে— হয়ে যায়। এ জন্যই পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র সকল ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার বিকল্প নেই। তারপরও অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মাঝেমধ্যেই এমন সব দায়িত্বহীনতার কথা শোনা যায়— যার দংশনে মানবিকতা আহত, উন্নয়ন পঙ্গু এবং মানুষকে স্তম্ভিত ও হতবাক হয়ে পড়তে হয়। নানা পর্যায়ে, নানাজনের গুরুতর সব অনাকাঙ্ক্ষিত দায়িত্বহীনতার কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে স্তম্ভিত ও হতবাক হতে হয়। যারা এসব দায়িত্বহীনতার শিকার, তাদের যে ক্ষতি হয়ে থাকে, তা কে পোষাবে এবং কীভাবে পোষাবে— কেউ জানেন না, জানার কথাও নয়। কারণ সাধারণ মানুষের সাধারণ বা স্বাভাবিক চিন্তায় এরকম ধরে নেওয়াটাই সঙ্গত যে, দায়িত্ব পালনে কারো কোনোই শৈথিল্য থাকবে না— সকল পর্যায়ে দায়িত্বশীলরা সমভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে, যত্নসহকারে দায়িত্ব পালন করবেন এবং জনগণ তার কল্যাণ-স্পর্শ লাভ করবে— তাদের জীবন-মানের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ঘটবে— জীবনধারণ সহজতর হয়ে উঠবে।

দায়িত্বহীনতার খবর আমাদের শুধু স্তম্ভিত ও হতবাকই করে না, বরং বিবেককেও দংশিত করে। এই দংশন এ কারণে যে, আজো আমরা সমাজে ন্যূনতম দায়িত্বশীলতার চর্চা নিশ্চিত করতে পারিনি এবং এ কারণে উন্নয়নে-উৎপাদনে সিস্টেম লস কমানো যাচ্ছে না। তদুপরি যথাসময়ে প্রকল্প-কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় বার বার ব্যয় সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি স্বাভাবিক প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে উৎপাদন ব্যবস্থায় যোগ্যতা, দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার অভাবে রফতানিপণ্যের মান উন্নয়ন ও সংরক্ষণ যথাযথ হচ্ছে না। এতে করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং উৎপাদন ব্যবস্থা ও রফতানি প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। অথচ উন্নয়ন-অগ্রগতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত খাতগুলোতে বর্তমান সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে বহুমাত্রিক উদ্যোগ-আয়োজন গ্রহণ করা হচ্ছে। বহুমুখী না হলেও বিশেষ করে তৈরি পোশাক এবং জনশক্তি রফতানি খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এসব উদ্যোগ-আয়োজনের সর্বোচ্চ সাফল্যের জন্য মাঠপর্যায়ে দায়িত্বশীলতার চর্চা অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন মহলের দায়িত্বশীলতার প্রসঙ্গও সঙ্গত কারণেই আসতে পারে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, উপরে দায়িত্বশীলতা বহাল থাকলে নিচে দায়িত্বহীনতা কোনোভাবেই শিকড় গেড়ে বসতে পারে না।

একুশ শতকের বিশ্বে উন্নয়ন-অগ্রগতি যা কিছুই বলা হোক না কেন, সবকিছুর শক্তির জোগান আসে শিক্ষা থেকে। আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উৎকর্ষ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে ইউরোপ-আমেরিকার একচ্ছত্র আধিপত্যে ইতোমধ্যে চিড় ধরেছে। বিশ্ব-ব্যবস্থার এই নব্য প্রবণতা যেসব দেশের উৎপাদন-উদ্যোগ বা অর্থনৈতিক বিকাশে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, সেসব দেশে উৎপাদন-প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় বড় ধরনের উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। চীন, ভারত, ব্রাজিলের মতো দেশ যে উৎপাদন ও অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় দ্রুত সামনে এগিয়ে এসেছে, তার শক্তির উৎস ওই শিক্ষা ব্যবস্থায়। এই শিক্ষা যেমন আধুনিক উৎপাদন-প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির, তেমনি যোগ্যতা-দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার। এসব ক্ষেত্রে ন্যূনতম শৈথিল্যও অর্থনীতিতে, উন্নয়নে পিছিয়ে পড়ার বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষক সেই মেরুদণ্ডের নির্মাতা। শিক্ষক যদি দায়িত্বশীল না হন, তাহলে যে প্রকারের মেরুদণ্ড তৈরি হবে, তা কি জাতির দেহের ভার বহন করতে সক্ষম হবে? শিক্ষককে সমাজে সবচেয়ে জ্ঞানী ও দায়িত্বশীল বলে সম্মান করা হয়ে থাকে। শিক্ষকদের ন্যূনতম কোনো দায়িত্বহীনতার খবর তো আজ থেকে ৪০-৫০ বছর আগে কালে-ভদ্রে শোনা গেছে। বরং তখন দেখা গেছে, মেধাবী দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের প্রতি শিক্ষকদের কী অপরিসীম মমতা! দরিদ্র অভিভাবকরা যাতে মেধাবী ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে না দেন, সে জন্য শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বুঝিয়েছেন। স্কুলে বিনা বেতনে বা অর্ধেক বেতনে তাদের পড়বার জন্য ফ্রি বা হাফ-ফ্রি করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ শিক্ষকরাই নিয়েছেন। এ ধরনের ছাত্রছাত্রীর বইপত্র জোগাড় করা থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকাও স্কুল ফান্ড থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা অধিকাংশ সময়ে করেছেন শিক্ষকরা। শুধু তাই নয়, মেধাবী ছাত্রদের বিনা ফিতে বিশেষ কোচিংও দিয়েছেন শিক্ষকরাই। আজ এ দেশে জীবনে যারা প্রতিষ্ঠিত ও সফল, তাদের অনেকের ছাত্রজীবনেই শিক্ষকদের এরকম মমত্বের পরশমাখা স্মৃতি কমবেশি রয়েছে। সেদিন শিক্ষকরা যদি মেধাবী দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পথ কণ্টকমুক্ত রাখার জন্য এ দায়িত্ব পালন না করতেন, তাহলে পরবর্তীতে জাতিকে অনেক মেধা-মনন থেকে বঞ্চিত হতে হতো। এ কাজগুলো তারা করতেন, কারণ এগুলোকে সমাজে শিক্ষক হিসেবে তাদের দায়িত্বের অংশ মনে করতেন এবং ব্যক্তিগতভাবে বাস্তবক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট দায়িত্বশীল ছিলেন। ক্ষুদ্র-হীন ব্যক্তিস্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে কোনো বেনিয়া মনোবৃত্তি তাদের কখনো কাবু করতে পারত না।

আজকাল এই দায়িত্বশীলতা না থাকায় কোনো বছরই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে উপরের দিকে গ্রাম বা মফঃস্বল থেকে আসা পরীক্ষার্থীর দেখা কিংবা কোনো দরিদ্র মেধাবী ছাত্রের অস্তিত্ব আগেকার মতো দেখা যায় না। ভালো শিক্ষা, ভালো ফল— এইসবই এখন যেন চড়া দামে ক্রয় করার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। টাকা থাকলে ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া যায়, ভালো শিক্ষক রেখে ভালো পড়াশোনা করা যায় এবং পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা যায়। দরিদ্র, নিম্নবিত্ত এবং এমনকি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা আজ এ ক্ষেত্রে অনিবার্যভাবে পিছিয়ে পড়েছে। তারা কি পিছিয়েই থাকবে এবং যারা যেকোনো উপায়ে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা করায়ত্ত করতে পারছে, তাদের সন্তানরাই কি শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে? শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যাবার অর্থ তো কর্মক্ষেত্রেও এগিয়ে যাওয়া। তাহলে, দরিদ্র ও নিম্নবিত্তরা তাদের ভাগ্যোন্নয়নের সুযোগ কীভাবে পাবে? তারা কি কোনো সুযোগই পাবে না? তদুপরি দেশে নানারকমের শিক্ষার প্রচলন রয়েছে। শিল্পপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির বিশেষায়িত শিক্ষার ব্যাপক প্রচলন এখনো অপেক্ষমান। সর্বোপরি দায়িত্বশীল শিক্ষার জন্য শিক্ষার যে মান অপরিহার্য, তা নিশ্চিত করার প্রতি মনোযোগের অভাবও কম নয়।

উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তের একটা বড় অংশের উৎসেই দেখা যাবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সুযোগসন্ধানী তৎপরতা এবং সেহেতু অনিয়ম-দুর্নীতি সক্রিয় ছিল। বহুজনকে বঞ্চিত করে অল্প কয়েকজনের বিত্তের পাহাড় গড়ে ওঠে— এটা তো সবার জানা। আর এই অল্প কয়েকজনের সংখ্যা এমনভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, এখনো বিশ্বের মাঝারি আয়ের দেশ না হওয়া সত্ত্বেও এ দেশে ধনী লোকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। ঢাকা শহরের রাস্তায় যত বিলাসবহুল দামি প্রাইভেট কার চলে, বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি ধনী বহু দেশ রয়েছে, যেখানে এত বেশিসংখ্যক দামি বিলাসবহুল গাড়ি চলে না। ঢাকা শহরে যত বেশিসংখ্যক বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে, ততসংখ্যক এরূপ বাড়িও সেসব দেশে নেই। বিলাসিতা প্রয়োজনের অতিরিক্ত বলেই বিলাসিতার পেছনে সৎ উপার্জন কমই থাকে। দরিদ্র দেশগুলোতে ধনী লোকের সংখ্যা বেশি— বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর অভিজ্ঞতা থেকেই এই প্রবাদবাক্যটির যথার্থতা প্রমাণিত হতে পারে।

দুর্নীতির সূচক নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে যত প্রশ্নই তোলা হোক না কেন, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে প্রায় সকল ক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে উচ্চমহল পর্যন্ত দুর্নীতি নতুন করে আর প্রমাণের কথা কেউ বলবেন বলে মনে হয় না। দুর্নীতির কারণ নানাভাবেই ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। তবে কোনো দেশে বা কোনো সমাজে যখন স্বাভাবিকভাবে মৌলিক অধিকারগুলো অর্জন করা যায় না, তখন মানুষ বিকল্প পথে অগ্রসর হতে পারেন। সর্বোপরি, যে দেশে অনিয়ম-দুর্নীতিই জীবনে চলার পথকে মসৃণ করে, সে দেশে দুর্বলচিত্তের অধিকাংশ মানুষ এই গর্হিত পথে নিজেদের সঁপে দেবেন এবং দুর্নীতি সংখ্যায়-মাত্রায় বেড়েই চলবে— এটা অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও স্বাভাবিকভাবেই ঘটে চলে। অস্বাভাবিক বিষয় যখন কোনো সমাজে স্বাভাবিক  হয়ে ওঠে, তখন বুঝতে হবে, এর উৎসে রয়েছে চরম দায়িত্বহীনতা। যে যেখানে আছেন, সেখানে স্বীয় কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট দায়িত্বশীল থাকলে কোনোভাবেই কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশ্রয় পেতে পারে না। কত তাগিদ, কত অঙ্গীকার আর কত সময় পার হয়ে যাচ্ছে, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সকল ক্ষেত্রে এই দায়িত্বশীল কর্তব্যপরায়ণতার সত্যিকার চর্চা কি আদৌ শুরু করা গেছে?

খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা— এই মৌলিক বিষয় বা সেবা সমভাবে পাওয়ার অধিকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের। এ দেশে শিক্ষালাভের ক্ষেত্রে কি আদৌ কোনো সমতা রক্ষা করা যাচ্ছে? সমতা প্রতিষ্ঠা করা কি সম্ভব হয়েছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও? এসব প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব দিতে পারলে, তা হতো আনন্দময়-সুুখকর। শিক্ষার কথাটাই যদি বলা যায়, তাহলে বলতে হবে, শিক্ষাক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। পরীক্ষায় নকল বা অসদুপায় অবলম্বন অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে, মেয়েদের শিক্ষা একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পর্যন্ত অবৈতনিক করায় নারীশিক্ষা উদ্দীপ্ত হয়েছে, উপবৃত্তি চালু করায় ড্রপআউট সমস্যাও কিছুটা দূর করা গেছে। এসবই ঠিক এবং প্রয়োজনীয়ও বটে। তবে, এরপরও বাকি রয়ে গেছে শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়কে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত রাখা এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে সত্যিকারভাবে আধুনিক করে তোলা এবং মান উন্নত করা।

শিক্ষা বিভাগে দুর্নীতি একসময় অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে অনিয়ম-দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটতে থাকে এবং এই বিভাগটি অন্য সকল বিভাগকে টেক্কা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। কোনো জাতির শিক্ষাক্ষেত্র দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় আর কিছু থাকতে পারে না। শিক্ষা হলো জাতির নৈতিকতা, মূল্যবোধ, চারিত্রিক দৃঢ়তা— এসবকে ধারণ করার অনুশীলনের ক্ষেত্র। এখানে দুর্নীতি অনুপ্রবেশের কোনো অবকাশই থাকার কারণ নেই। দ্বিতীয়ত, জাতীয় আবেগ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে একুশ শতকের আধুনিক জীবন-বাস্তবতার দৃষ্টিকোণ থেকে শিক্ষাসূচি-শিক্ষাক্রম সংস্কার করার প্রক্রিয়াটি এখনো অপেক্ষমান রয়ে গেছে। আধুনিক মানের ও বাস্তব জীবনে কার্যকর শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য, দক্ষ, অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগসহ দায়িত্বশীল শিক্ষার নিরবচ্ছিন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করাও অপরিহার্য। কোনো সরকার যদি শুধু দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এভাবে ঢেলে সাজিয়ে মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তাহলে এ জাতির ইতিহাসে তাদের এই দায়িত্বশীল ভূমিকা হবে চিরদিনের জন্য গৌরবময়।

লেখক : সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads