• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মেহেদী হাসান

গজল গায়ক মেহেদী হাসান

সংরক্ষিত ছবি

মতামত

স্মরণ

মেহেদী হাসান

  • প্রকাশিত ১৩ জুন ২০১৮

মেহেদী হাসান পাকিস্তানের গজল গায়ক ও বলিউডের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। গজল সম্রাট মেহেদী হাসান নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। উপমহাদেশের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম গায়ক ও সুরস্রষ্টা ছিলেন তিনি। অবিভক্ত ভারতের রাজস্থানে মেহেদী হাসানের জন্ম হয়েছিল একটি সঙ্গীত পরিবারে। তিনি দাবি করেছিলেন, তাদের ষোলো পূর্বপুরুষরা সঙ্গীতে আসক্ত ছিলেন। তার পিতা ওস্তাদ আজিম খান একজন গায়ক ছিলেন। চাচা ওস্তাদ ইসমাইল খান ও পিতা আজিম খানের কাছ থেকে তার সঙ্গীতে হাতেখড়ি। তারা উভয়েই সনাতন ঘরানার ধ্রুপদী সঙ্গীতে দক্ষ ছিলেন। ভারত বিভাজনের পর ২০ বছর বয়সী মেহেদী হাসান এবং তার পরিবার পাকিস্তানে চলে আসে। সেখানে তাকে ব্যাপক অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগতে হয়। চিচাওয়ান্তি এলাকার একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করতে থাকেন। সেখানে তিনি গাড়ি এবং ডিজেল ট্রাক্টর মেকানিক হিসেবে ছিলেন। আর্থিক অসচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও সঙ্গীত চর্চা করতে থাকেন তিনি।

১৯৫২ সালে মেহেদী হাসান প্রথমবারের মতো রেডিও পাকিস্তানে গান করার সুযোগ পান। প্রাথমিকভাবে সেখানে তিনি ঠুমরি গায়ক ছিলেন। এতে তিনি সঙ্গীতবোদ্ধাদের মন জয় করেন। উর্দু ভাষায় রচিত কবিতায় তার আগ্রহ ছিল অনেক। ২০১০ সালে এইচএমভি থেকে ‘সারা দিন’ শিরোনামে মেহেদী হাসানের একটি দ্বৈত গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। ধারণা করা হয়, এটি ছিল তার প্রথম এবং শেষ দ্বৈত গানের অ্যালবাম। এতে ‘তেরে মিলনা’ গানে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কণ্ঠ দেন মেহেদী হাসান। গানটির সুরকার ছিলেন তিনি স্বয়ং। বেশ কয়েকটি বাংলা গানেও কণ্ঠ দেন মেহেদী হাসান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— ঢাকো যত না নয়ন দুহাতে; হারানো দিনের কথা এবং তুমি যে আমার। মেহেদী হাসানের অসংখ্য জনপ্রিয় গজলের মধ্যে রয়েছে— আব কি বিচরে; ম্যায় হোস ম্যায় থা তো ফির; জিন্দেগি ম্যায় তো সাভি ইত্যাদি।

আশির দশকের শেষার্ধ থেকে মেহেদী হাসান বিভিন্ন ধরনের অসুখে আক্রান্ত হতে থাকেন। ক্রমবর্ধমান অসুখের পীড়ায় অবশেষে একান্ত বাধ্য হয়েই তিনি সঙ্গীত জীবন ত্যাগ করেন। ২০১২ সালের আজকের দিনে তথা ১৩ জুন সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে মেহেদী হাসান ইন্তেকাল করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads