• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
প্রতিপ্রাপ্য

প্রকল্প ব্যয় ওপরের দিকে রিভাইস বা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে

সংরক্ষিত ছবি

মতামত

প্রতিপ্রাপ্য

  • আবদুল মতিন খান
  • প্রকাশিত ০৫ জুলাই ২০১৮

পেতে গেলে আগে দিতে হয়। বিনিয়োগ ব্যাপারটা তো তা-ই। এজন্য দরকার সাবধানতা। ভাবনা-চিন্তা না করে হুট করে দিয়ে বসলে ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা হয় ক্ষীণ। বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুতি দরকার। ব্যবসায় অথবা শিল্প স্থাপনের জন্য করা হয় ফিজিবিলিটি স্টাডি। সম্ভাব্যতা বিচার। বিশেষজ্ঞরা এ কাজটি করেন। বড় প্রকল্পের অনেক দিক থাকে। প্রত্যেকটি দিকের জন্য লাগানো হয় একাধিক উপবিশেষজ্ঞ। সকলের স্টাডি হয়ে গেলে উদ্যোক্তা সেগুলোর চুলচেরা বিচারের জন্য তার পরিকল্পনা সহযোগীদের নিয়ে বসেন। পরীক্ষা শেষে ভুলত্রুটি পাওয়া গেলে সংশোধনের জন্য ফের বিশেষজ্ঞদের কাছে ফেরত পাঠানো হয়। তারা ঠিক করে দিলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত ঠিকাদারের সন্ধান করা হয়। ঠিকাদার নির্বাচনও একটি কঠিন কাজ। ভালো ঠিকাদারের ওপর নির্ভর করে কাজটি ঠিকমতো শেষ হবে কি না। ঠিকাদারদের অনেকে যথেষ্ট বজ্জাত। সস্তায় ভালোভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অথবা আগে কাজ শেষ করে দিতে পারবে বুঝিয়ে কাজ শুরু করে দেয়। খানিকটা কাজ ভালোভাবে করে। ভালোভাবে করাটুকুর নজির দেখিয়ে বলে যে টাকায় কাজ নিয়েছে তাতে হবে না। সব নির্মাণসামগ্রীর দর বেড়ে গেছে। বেশি দরে এগুলো এখন কিনতে হবে। অতএব প্রকল্প ব্যয় ওপরের দিকে রিভাইস বা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। নইলে কাজ বন্ধ থাকবে।

কন্ট্রাক্টরদের বা কন্ট্রাক্টরের এ হুমকি সম্বন্ধে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ কাজ শুরুর সময় থেকে থাকে সজাগ। তিনি কী করে সেটা সামলাবেন মনে মনে তার ছক তৈরি করেন। ব্যক্তির প্রকল্প মূল্যবৃদ্ধির কারণে থেমে গেলে তিনি ঠিকাদারের সঙ্গে বসে তার সুরাহা করেন। সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেশি-বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সরকারের বিশেষজ্ঞদের তাদের নিয়ে বসতে হয় এবং ব্যয়বৃদ্ধি বিবেচনা চুলচেরা হিসেবের পর বাড়ানো হয়। যে মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প তাদের বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়ার বা শোনার পর পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয় একত্রে বসে সর্বশেষ রায় দেয়। তখন বর্ধিত ব্যয়ের অর্থ ছাড় করা হয়।

বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সামর্থ্য দেশি কন্ট্রাক্টরদের থাকে না। বিশাল প্রকল্পগুলো সাধারণত বিদেশি ঋণদাতা সংস্থা যথা আইএমএফ, এডিবি, বিশ্বব্যাংক প্রভৃতি সাম্রাজ্যবাদী ঋণদান সংস্থাগুলোর অর্থায়নে করতে হয়। এই ঋণের টাকার এক পাইও দেশের কারো কপালে জোটে না। যারা ঋণ (বলে সাহায্য!) দেয় তাদের সদস্য দেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোগে সব চলে যায়। যে টাকায় শেষ করবে বলে ঋণ দেয় বছর না ঘুরতেই বলে মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঋণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তাতে তাদের সমস্যা থাকে না যেহেতু ঋণদাতা তারাই। বর্ধিত ঋণ সুদে-আসলে তাদের ফেরত দিতে হবে। এসব ঋণ হয় কম করে তিরিশ বছর মেয়াদি আবার কোনোটা পঞ্চাশ-একশ বছর মেয়াদি। অর্থাৎ এসব ঋণ নিলে গ্রহীতা দেশের আগামীর দু-চার-দশ প্রজন্ম খাতক বা দেনাদার হয়ে যায়। সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা থেকে যারা ঋণ নিয়েছে তাদের আগামীর অনেক প্রজন্ম ঋণ না করেও এভাবে ঋণী হয়ে যায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে চার্চিল (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী) আর রুজভেল্ট (মার্কিন প্রেসিডেন্ট) আটলান্টিক চার্টার নামে যে ঘোষণাটি দিয়েছিলেন (১৯৪৩) তাতে বলা হয়েছিল যুদ্ধজয়ের পর পৃথিবীর যাবতীয় উপনিবেশ স্বাধীন করে দেওয়া হবে। ঘোষণা মতো তা হয়েও ছিল। তবে যুদ্ধ শেষ হলেও পুঁজিবাদ তো থেকে গেল। পুঁজিবাদী দেশগুলোর নেতৃত্ব পেয়ে গেল বিশ্বযুদ্ধে অক্ষত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। তারা সদ্য স্বাধীন হতদরিদ্র উপনিবেশগুলোকে দ্রুত ‘উন্নত’ করার মহান ব্রত নিয়ে খুলে বসল স্বল্পসুদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণদান সংস্থা যেমন বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকা প্রভৃতি। এরা দরিদ্র সাবেক উপনিবেশের সরকারকে সহজে হাত করে তাদের ঋণ গছিয়ে তাদের খাতক করে ফেলল। তারা হয়ে পড়ল বংশানুক্রমে ধনী ঋণদাতা দেশগুলোর দাস। ঋণের এই দাসত্বকে বলা হয় নয়া উপনিবেশবাদ। সাবেক সবগুলো উপনিবেশ ‘উন্নয়নের জন্য ঋণ’ নিয়ে নয়া উপনিবেশে পরিণত হলো।

নয়া উপনিবেশে রূপান্তরিত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপারটা বুঝতে স্বাধীন হতে যে দেশগুলো ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করেছিল যেমন ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো তারা ফের নয়া সাম্রাজ্যবাদবিরোধী যুদ্ধ শুরু করল। এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র মিত্র হিসেবে টেনে নিল সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তির দেশগুলোর সঙ্গে সাবেক উপনিবেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের, যারা তুলনামূলকভাবে তাদের সাধারণ দেশবাসীর চেয়ে ঢের উন্নত জীবনযাপন করত। রাজনীতিবিদরা সমাজ ও রাজনীতিসচেতন হওয়ায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো তাদের এড়িয়ে যোগাযোগ করত সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে। উন্নত সমরাস্ত্র দেবে লোভ দেখিয়ে তাদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যেত তাদের দেশে। নিয়ে সব থেকে ভালো হোটেলে তাদের জামাই আদরে রাখত। জামাই ষষ্ঠীর দিন হিন্দু সম্প্রদায় জামাইকে যেমন উৎকৃষ্টতম আহার্য দিয়ে আপ্যায়ন করে এবং উৎকৃষ্ট পোশাক-পরিচ্ছদ দেয়, দরিদ্র নয়া উপনিবেশের সেনাপ্রধানদের ঠিক তেমনি আদরযত্নে রেখে নানা উপহারসামগ্রী দিয়ে তুষ্ট করে বলে দিত দেশে ফিরে রাজনীতিবিদদের ‘দুর্নীতির’ অপবাদ দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা গ্রহণ করতে। গ্রহণের পর বছর কয়েক সামরিক আইন দিয়ে দেশ চালিয়ে অর্থাৎ দেশবাসীর ওপর তাণ্ডব চালিয়ে তাদের ভীতসন্ত্রস্ত রেখে দেশ শাসন করলে তোমাদের রাজত্ব স্থায়ী হবে।

দেশবাসী এভাবে সামরিক বাহিনীর সামনে ন্যুব্জ হয়ে পড়ার পর তারা ‘আসল’ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে প্রথমে সামরিক শাসকের জনপ্রিয়তার বৈধতা বিশ্ববাসীর চেয়ে দেশবাসীকে দেখাতে ‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোটের আয়োজন করত। দিন শেষে ভোট গণনার পর ঘোষণা করা হতো সামরিক শাসক ৯৯.৯০ ভাগ হ্যাঁ ভোট পেয়েছেন।

হ্যাঁ ভোটের পর তিনি একটি সংবিধান তৈরি করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সরস একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রফেসর এই সংবিধান তৈরি করে দিতেন। ওই সংবিধানে বর্ণিত বিধি অনুযায়ী নির্বাচন হতো। নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হতো তার পছন্দের ক্যান্ডিডেটদের, যাদের অধিকাংশ হতেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। নির্বাচনের পর পার্লামেন্ট বসত এবং এই পার্লামেন্টে আইন তৈরির চেয়ে সময় ব্যয় করা হতো সদস্যদের দ্বারা সামরিক শাসকের ও তার চৌদ্দগুষ্টির মহিমা কীর্তনে।

যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় সামরিক শাসকদের গদিনশিন করতে এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেয়। নেওয়ার কারণ হলো সে দেশের জাতির শ্রেষ্ঠ নেতা সুকর্ণ। তিনি সশস্ত্র যুদ্ধ করে দেশকে ডাচদের তিনশ বছরের কুশাসন থেকে মুক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর তখনকার চিফ জেনারেল সুহার্তকে দিয়ে রাজনীতিবিদদের সরিয়ে তাকে ক্ষমতায় বসায়। সুহার্তকে দিয়ে তারা যে কর্মটি বিসমিল্লাতে করায় সেটা হলো কমিউনিস্টদের কচুকাটা করা। এক সপ্তাহের মধ্যে সারা ইন্দোনেশিয়ার সব কমিউনিস্টকে সপরিবারে খুন করানো হয়। রক্তের বন্যা বয়ে যায়, আক্ষরিক অর্থে। সুহার্ত কমিউনিস্টদের হত্যা করলেও সুকর্ণকে বাঁচিয়ে রাখে গৃহবন্দি করে। সুহার্ত যুক্তরাষ্ট্রের নয়া উপনিবেশ শাসনের মডেল হয়ে যায়।

ইন্দোনেশিয়ার দেখাদেখি যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়ুব খানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ শুরু করে। তাকে যুক্তরাষ্ট্রে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে বিপুল সমরাস্ত্র দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। বলে দেওয়া হয় তিনি যেন যথাসময়ে ক্ষমতা দখল করে অ্যাবসলিউট শাসক হন। তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জেনারেল ইসকান্দার মির্জা। ক্ষমতা দখলের সঙ্গে সঙ্গে তিনি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে গুলি করে মারার ঘোষণা দেন। শান্তি সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করতে ভাসানী তখন ইউরোপ ছিলেন। মির্জা নিজেকে গর্বের সঙ্গে মীর জাফরের বংশধর বলে দাবি করতেন।

আইয়ুব আর কতদিন উপেক্ষা করবেন। মাস না যেতেই তিনি ইসকান্দারকে গৃহবন্দি করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট আর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বলে ঘোষণা করলেন। ইসকান্দারকে এরপর লন্ডনগামী একটি বিমানে তুলে দেওয়া হয়। ব্রিটিশের ‘বন্ধু’ মীর জাফরের বংশধর ইসকান্দার মির্জাকে ব্রিটিশ সরকার ব্রিটেনে বসবাসের সুযোগ দেয় কিন্তু তার জীবিকার ব্যবস্থা করে না। ভাতা না পাওয়ায় মির্জাকে একটি হোটেলের ম্যানেজারের চাকরি নিতে হয়। তবে মনোকষ্টে ভোগায় তিনি কিছুদিনের মধ্যে ইহধাম ত্যাগ করেন।

ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে স্বাধীন হওয়ার পর ভারত সরকার দ্রুত একটি সংবিধান তৈরি করে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করে। পাকিস্তানে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের মধ্যে বাদানুবাদ চলতে থাকায় সংবিধান তৈরি করতে সময় লাগে। ১৯৫৭ সালের দিকে অবশেষে একটি সংবিধান তৈরি হয়। গণতান্ত্রিক এই সংবিধানের অধীনে সাধারণ নির্বাচন হবে বলে দেশবাসী বিশেষ করে পূর্ববঙ্গবাসী তখন অধীর আগ্রহে দিন গুনছিল ঠিক তখন জেনারেল আইয়ুব ক্ষমতা গ্রহণ করেন (১৯৫৮)। গ্রহণের পর কারো সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও নিজেকে তিনি ‘ফিল্ড মার্শাল’ বলে ঘোষণা করেন।

স্বঘোষিত এই ফিল্ড মার্শাল এক দশক পরম বিক্রমে পাকিস্তান শাসন করেন। এ সময় পূর্বব ঙ্গের সকল নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। আটকের পর জেলে কমিউনিস্টদের ওপর বেত্রাঘাতসহ ভয়ানক নির্যাতন চালানো হয়। চাবুক মারার আগে ভিকটিমকে উলঙ্গ করে একটি ফ্রেমের সঙ্গে তার হাত-পা বাঁধা হতো যাতে সে নড়তে না পারে। চাবুক মারার পর বন্দির কাঁধ থেকে পাছা পর্যন্ত চামড়া কেটে রক্ত ঝরত। দুটো মারার পর অনেকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলত। জ্ঞান ফেরার পর আবার মারা হতো। সাজায় পাঁচটা পর্যন্ত মারার আদেশ থাকত। এতে অনেকে মানসিক ভারসাম্য চিরতরে হারিয়ে ফেলেন।

দেশবাসীর বা পূর্ববঙ্গবাসীর ওপর যত বীরত্বই ফলাক যুক্তরাষ্ট্রের এ সময়ের আচরণে মার্শাল আইয়ুব হাড়ে হাড়ে টের পান যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধু নয়, প্রভু। যুক্তরাষ্ট্র তাকে প্রতিশ্রুত অস্ত্রও দেয়নি। কাশ্মির নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে নেমে তিনি যখন লাহোর হারাতে বসেন তখন তাকে বিড়ম্বনা থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসে সোভিয়েত ইউনিয়ন। রুশ নেতা ব্রেজনেভ তাকে ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে তাসখন্দে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে যুদ্ধ থামান। তাসখন্দে হঠাৎ শাস্ত্রীজি মারা গেলে আইয়ুব তার মরদেহ দিল্লির শ্মশানঘাট পর্যন্ত নিয়ে যান এবং দাহ পর্যন্ত থাকেন।

দিল্লি থেকে ফেরার পর তার বোধোদয় হয়। তিনি তার আত্মজীবনী লেখেন। তাতে তিনি লেখেন ছোটবেলা থেকে তিনি প্রতিবাদ করতে মুখের চেয়ে হাত ব্যবহারে অভ্যস্ত। চার বছর বয়সে তিনি তার গৃহশিক্ষকের গালে চড় মেরেছিলেন। এই প্রতিবাদী বীর বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছাড়ার পর বুঝতে পারেন যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধু নয়, প্রভু। এই হলো যুক্তরাষ্ট্রের তাঁবেদারদের যুক্তরাষ্ট্রকে নির্ভেজাল আনুগত্যদানের প্রতিপ্রাপ্য।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads