• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি

শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি

সংরক্ষিত ছবি

মতামত

শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি

  • প্রকাশিত ০৬ জুলাই ২০১৮

ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে ভারত কেশরী ড. মুখার্জিও বলা হয়ে থাকে। ১৯০১ সালের ৬ জুলাই কলকাতায় তার জন্ম। ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন মাত্র ৫১ বছর বয়সে কাশ্মীরে মারা যান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই নেতা। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় পণ্ডিত ও জাতীয়তাবাদী নেতা। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি প্রথম হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ‘ভারতীয় জনসংঘ’ গঠন করেন। এ ছাড়া হিন্দু মহাসভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার মন্ত্রীও ছিলেন।

কলকাতার এক উচ্চবংশীয় ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই নেতা। তার পিতা স্যার আশুতোষ মুখার্জি ও মাতা শ্রীমতী যোগমায়া দেবী। তারা তাকে পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন-যাপনে অনুপ্রাণিতও করেন। ১৯২১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে সম্মান পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান দখল করার পর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ভারতীয় ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ১৯২৪ সালে বিএল পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ স্থান লাভ করেন। ছাত্র থাকাকালীন শ্যামাপ্রসাদ তার ভাইস চ্যান্সেলর পিতাকে শিক্ষা পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করেন।

ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রাজনৈতিক জীবনে ভারত বিভাজনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। ১৯৪১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেছিলেন, মুসলিমরা যদি ভারতবর্ষের বিভাজন চান, তাহলে ভারতের সব মুসলিমদের উচিত তাদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে পাকিস্তান চলে যাওয়া। নেহরু সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকাকালীন জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত ৩৭০ নং ধারা নিয়ে তার সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি দক্ষিণপন্থি প্রজা পরিষদ গঠন করে এক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে আরেকটি প্রজাতন্ত্র থাকতে পারে না এই দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৫৩ সালের ১১ মে শ্যামাপ্রসাদকে গ্রেফতার করে জেলবন্দি করা হলে তিনি বন্দি থাকা অবস্থায় কাশ্মীরের জেলেই মৃত্যুবরণ করেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads