• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ভাষা ও প্রাণবৈচিত্র্য যমজ বোন

ভাষা কোনো একপক্ষীয় গোঁজামিলের কায়দাকানুন নয়

আর্ট : রাকিব

মতামত

ভাষা ও প্রাণবৈচিত্র্য যমজ বোন

  • প্রকাশিত ২০ জুলাই ২০১৮

অভিন্ন যমজেরা যেমন হয়। একজন চোট পেলে আরেকজন কঁকিয়ে ওঠে। কারো বুকে ব্যথা হলে আরেকজন তড়পায়। ভাষা ও প্রাণবৈচিত্র্যও তেমনি অভিন্ন যমজ। একজন আরেকজনের লগে জড়াজড়ি করে, পালককুসুম মেলে বিকশিত করে যোগাযোগের ময়দান। ভাষা তাই কোনোভাবেই একপাক্ষিক, একসূত্রীয় কোনো মাধ্যম নয়। আমাদের কাছে ভাষার একধরনের চলতি দৃশ্যমানতা এর প্রকাশভঙ্গি, বিরাজমানতা এবং পরিসরসহ। যতভাবে ভাষা বর্ণিত ও অবর্ণিত হয়, তার সব খোলনলচেই অধিপতি ক্ষমতার তাবৎ বাহাদুরির কড়া শাসনে বন্দি। বনপাহাড় থেকে জন্ম নিয়ে উজান থেকে ভাটিতে সংসার সাজায় নদী। নদীসংসারের চারধার জুড়ে অববাহিকা থেকে অববাহিকায় সেই নদী ঘিরে নিম্নবর্গের জীবনে তৈরি হয় নদীভাষার এক অবিস্মরণীয় ব্যাকরণ। লুটতরাজ রাষ্ট্র কী উন্নয়নের বাণিজ্যদম্ভ যখন সেই নদীকে ফালি ফালি করে হত্যা করে, গুম করে, দখল করে তখন কিন্তু নদী অববাহিকার নদীভাষা বদলে যেতে বাধ্য হয়। নদী অববাহিকার আপন ভাষা তখন আর যোগাযোগের আপন ‘ঠাহর’ হিসেবে বিরাজিত থাকে না। ভাষা এমনি এক নিরন্তর বিকশিত জটিল প্রণালী, যেখানে ভাষা টিকে থাকার শর্ত ও কারিগরিগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ভাষার এ অনিবার্য ব্যাকরণকে অস্বীকার করে কোনোভাবেই ‘মাতৃভাষা’র মায়াকান্না চলে না। সাঁওতালি ভাষায় ‘বীর’ মানে অরণ্য-জঙ্গল। একটা সময় দেশের উত্তরাঞ্চলজুড়ে গহিন শালঅরণ্য আর সাঁওতাল জনগণের অরণ্য-সভ্যতা বিকশিত হয়েছিল। যে কারণে দিনাজপুর অঞ্চলের অনেক জায়গার নাম বীরগঞ্জ, বিরল, বীরটোলা, শারশা বীর। উল্লিখিত স্থাননামে ‘বীর’ শব্দটি থাকলেও শালবন ও সাঁওতালি সভ্যতা এখান থেকে উচ্ছেদ হয়েছে। এই নিদারুণ অরণ্যহীনতা এ অঞ্চলের সাঁওতালি ভাষায় কোনো স্থাননামের ক্ষেত্রে আর কোনোদিনও ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহূত হবে না। দিনাজপুরের বীরগঞ্জের একটি সাঁওতাল গ্রামের নাম ছিল ‘রাটেনআতো’। সাঁওতালি ভাষায় রাটেনআতো মানে গভীর অরণ্যের গ্রাম। বহিরাগত বাঙালিরা বন বিনাশ করে সাঁওতাল গ্রামটি দখল করে বর্তমানে এর নাম রেখেছে ‘মাটিয়াকুড়া’। চলতি সময়ে সাঁওতালি ভাষায় ‘রাটেনআতো’ কেবল এক বহুদূরের স্মৃতি। নতুন প্রজন্মের সাঁওতালি ভাষায় এ শব্দধারণাটি একেবারেই অপ্রচলিত। বলা হয় ‘ভাষা’ যোগাযোগ বহাল রাখে। ভাষা বলতে যদি কেউ কিছু ‘অক্ষর’ আর কেবলি মুখের বুলিকে বোঝাতে চায়, তাহলে আমাদের আজকের আলাপের ‘ভাষার’ সঙ্গে তার মেলা ফারাক রয়ে যাবে। ভাষা আমাদের চারপাশের প্রতিবেশ ও  প্রাণবৈচিত্র্যকে ধরেই বিরাজিত হয়। মেঘকণা, রোদ্দুর, পাথর, অবিরাম জলরাশি, হাজারো ধানের জাত, পাখি, পতঙ্গ, বাঘ কি কুমির, সাপ ও সরীসৃপ, বৃক্ষগুল্মলতা, মাটি, কেঁচো, মানুষ, ব্যাঙের ছাতা কি উঁইঢিবি প্রাণের এমনতর শতকোটি বিন্যাসই তৈরি করেছে মানুষের ভাষাপরিসর। এটি বিজ্ঞান, একে অস্বীকার করা যায় না, এটি প্রামাণিক দলিল দস্তাবেজ নিয়েই বিকশিত হয়ে চলে। প্রাণবৈচিত্র্যের এই একটি প্রাণের অদলবদল কি নিরুদ্দেশ সরাসরি ভাষাপরিসরকেই আহত করে! প্রাণবৈচিত্র্যের একটি প্রাণের বিলুপ্তি মানে ভাষা থেকে তার সব আমেজ ও অস্তিত্ব মুছে যাওয়া। আমন মৌসুমের এক ছোট্ট আকারের ধান ‘পিঁপড়ারচোখ’। ধানের খোসায় পিঁপড়ার চোখের মতো কালো বিন্দু আছে বলেই এই ধানের এমন নাম। ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা অঞ্চল এ ধানের আদিবসত। পিঁপড়ারচোখ ধানটি হারিয়ে গেছে। অধিকাংশ সময়ই এসব ঘটনাকে কেবল প্রাণবৈচিত্র্যের বিলুপ্তি, পরিবেশ বিপর্যয়, উৎপাদন জটিলতা, কৃষি ঐতিহ্য এসব দিয়েই ব্যাখ্যা করা হয়। কিন্তু একটি ধান হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো ভাষায় ওই ধানসম্পর্কিত রূপকল্প ও শব্দবিন্যাসের যে পরিবর্তন ঘটে, আমরা ‘ভাষা পরিসরের’ আলাপে কখনোই তা দেখতে পাই না। এখন পিঁপড়ারচোখ বলতে ধান নয়, কেবল পিঁপড়া নামক এক ক্ষুদে পতঙ্গের চোখকেই আন্দাজ করতে হবে। একটা সময় বাংলাদেশে বিশ হাজার ধানজাত ছিল, এখন তা হাজারখানেকে নেমেছে। তার মানে বাংলাদেশের ধানঅভিধান থেকে প্রায় আঠারো হাজার শব্দ নিরুদ্দেশ হয়েছে। প্রাণবৈচিত্র্যের লগে ভাষার, ভাষার লগে প্রাণবৈচিত্র্যের এই যে গলাগলি সম্পর্ক, আজকের আলাপে আমরা সেটাই তুলতে চাই। পুরুষতান্ত্রিক করপোরেট বিশ্বায়িত দুনিয়ায় প্রাণ ও প্রকৃতি যে ভোগবিলাসী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু, ভাষার আপন পরিসরও তা-ই। তাই ভাষা ও প্রাণের এ বৈচিত্র্য অভিন্ন যমজ বোন। পুরুষতান্ত্রিক বাহাদুরির কবলে রুদ্ধ, ক্ষতবিক্ষত ও রক্তাক্ত।

একটি পাখি হারিয়ে গেলে কী হয়

কোনো এলাকা থেকে একটি পাখি হারিয়ে গেলে ওই এলাকার মানুষের ভাষা থেকেও ওই পাখিটি হারিয়ে যায়। ওই পাখি সম্পর্কিত সব বিশ্বাস-আচার-রীতি হারিয়ে যায়। এভাবেই একটি ভাষা তার পাখি নিয়ে গড়ে ওঠা শরীরে জখমপ্রাপ্ত হয়। বাহাস উঠতেই পারে আরেকটি নতুন পাখি এসে সেই পাখিটির জায়গা দখল করে যদি। কিন্তু নয়া পাখি কি আগের পাখির অস্তিত্ব ও পরিসর পূরণ করতে পারে? ভাষার আপন অস্তিত্বের জখম সারাতে পারে? আর এভাবেই দেখা যায়, দেশজুড়ে প্রাণবৈচিত্র্যের নৃশংস নিরুদ্দেশ আমাদের আপন ভাষা পরিসরকে বারবার উল্টেপাল্টে দিচ্ছে। এর প্রমাণ হিসেবে মাত্র একটি উদাহরণই যথেষ্ট— ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন করপোরেট অক্সিডেন্টাল কোম্পানির মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটে লাউয়াছড়া বর্ষারণ্যে, পুড়ে যায় বনভূমির এক বিশাল অংশ। নিশ্চিহ্ন হয় বর্ষারণ্যের প্রতিবেশ ভারসাম্য। লিবাং, পেইচি বদুক, কেইচি বসুক, মসুয়া ফাই, সকসুমা, আবিথি- এই গাছগুলো গ্যাসক্ষেত্রের আগুনে নিশ্চিহ্ন হওয়ায় ত্রিপুরাদের নয়া প্রজন্মের ভাষা থেকে এসব গাছের নাম উধাও হয়ে যাচ্ছে। ঠিক একইভাবে নয়া প্রজন্মের খাসি ভাষায় আর পরিচিত শব্দ নয় ক্রাপেরদা, ক্রাসেয়া, তিয়ারমেন, ক্রাক্রিং, চিরাসের মতো গাছের নাম।

ভাষার রূপ প্রাণের রূপ

দেশের মঙ্গোলয়েড মহাজাতির অংশ খাসি, মান্দি, ম্রো ও মারমা ভাষায় এক বহুল ব্যবহূত শব্দ ‘চি’। খাসি ভাষায় এর মানে ভাত, মান্দি ভাষায় জল, ম্রো ভাষায় গাছ আর মারমা ভাষায় এর মানে ঔষধ। একই শব্দ, একই উচ্চারণ ব্যবঞ্জনা নানা জাতির নানা ভাষায় নানা অর্থ নিয়ে দাঁড়ায়। এটিই ভাষার রূপ আর ভাষার এই রূপশরীর গড়ে তুলেছে চারধারের প্রাণের অবারিত রূপঐশ্বর্য। সাঁওতালি ভাষায় ‘কুল’ মানে সিংহ। নয়া প্রজন্মের সাঁওতালি ভাষায় এখন এটি এক স্বল্প পরিচিত শব্দ। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের শারশাবীরে জন্ম কবিরাজ ফগা হাঁসদার। যিনি এখনো এক টুকরো সিংহের হাড় নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন পূর্বসূরিদের স্মৃতি হিসেবে। জীবিত সাঁওতাল প্রবীণদের ভাষ্য, দিনাজপুর অঞ্চলের শালবনে একসময় সিংহের বিচরণ ছিল, যা আজ হয়তো এক অবিশ্বাস্য কাহিনীর মতো শোনায়। নয়া প্রজন্মের সাঁওতাল শিশুরা বইপুস্তক, টেলিভিশন, ছবি, দুর্গাপূজার সময় সিংহ দেখেছে কেউ কেউ, কেউ চিড়িয়াখানায়। শেরপুরের ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া শালবনে মারগান কোচ ভাষায় গাছের খোঁড়লে থাকা এক সবুজ ব্যাঙের নাম লুয়া সাকরাং, সাঁওতালি ভাষায় বিষাক্ত এক গাছ-ব্যাঙের নাম কাঠ-রটে। দুঃখজনকভাবে বর্তমান প্রজন্মের মারগান কোচ ও সাঁওতালি ভাষায় এ শব্দ দুটি বহুকাল ধরে অব্যবহূত। কারণ ব্যাঙ দুটির আর কোনো হদিস নেই। গাকগিল গাছের বিগিল (ছাল বাকল) থেকে আগে লাল রঙ বের করা হতো মান্দি সমাজে। এই লাল রঙ ব্যবহূত হতো কাপড় রাঙানোর কাজে। মান্দিদের ‘সালজং দুবকনিয়া আমুয়া’য় (পূজা) লাল টকটকা ‘দো’ (মুরগি) লাগে, ‘অলিবক আমুয়া’য় সাদা রঙের এক জোড়া কবুতর লাগে। ‘ওয়ান্না’য় (জুম ফসল তোলার পরের বড় আয়োজনের উৎসব) ঘর-দরজায় ওয়ানছি-থক্কার সময় সাদা রঙের ‘ওয়ানছি’ (জুম ধানের চালের গুঁড়া পানিতে গুলে তৈরি করা এক পবিত্র প্রলেপ) ব্যবহূত হয়। এই যে রঙের নানা ধারণা ও ব্যবহার, এ সবকিছু মিলেই তো ভাষার পরিসর। এই পরিসর বিপন্ন হয় বারবার রঙের মানে ও ব্যবহার যদি পাল্টে যায় বা নিখোঁজ হয়ে যায়। এই যে ভাষার নানা আমেজ ও বিস্তার, নানা ভঙ্গি ও প্রকাশ- এসবই তো স্থানীয় প্রাণবৈচিত্র্যকে ঘিরেই। স্থানীয় প্রাণবৈচিত্র্যই যদি নিরুদ্দেশ আর খুনজখম হয়ে যায়, তখন ভাষার আর থাকে কী?

বাহাদুরি বনাম যমজের আহাজারি

ইংরেজিসহ ভাষিক বাহাদুরি প্রতিদিন নিম্নবর্গের ভাষাগুলোকে গলা টিপে হত্যা করছে। পণ্যদুনিয়ার ভাষিক-বাহাদুরিতে দুনিয়ার ৬ হাজারের বেশি ভাষার ৩০০টি মাতৃভাষাও আর টিকে থাকবে কি-না সন্দেহ। প্রতি দু’সপ্তাহে একটি করে ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। গত ১০০ বছরে প্রায় ৪ হাজার ভাষা হারিয়ে গেছে। ভাষা পালক মেলে প্রাণের যে বৈচিত্র্য ঘিরে, সেই প্রাণের বিস্তারও আজ করপোরেট উন্নয়ন বাহাদুরির অনিবার্য নিশানা। প্রতিদিন ভাষা ও প্রাণসম্পদ প্রশ্নহীন কায়দায় খুন হচ্ছে, নিরুদ্দেশ হচ্ছে। যখন একজন কড়া কি লালেং আদিবাসী তার জন্মমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়, তখন কিন্তু তার বিকশিত মাতৃভাষাও উচ্ছেদ হয়। ভাষা টিকে থাকার শর্ত ও কারিগরি এখানেই। ভূমি, প্রতিবেশ, উৎপাদনসম্পর্ক, প্রাণবৈচিত্র্যের মতো ভাষা টিকে থাকার ও বিকশিত হওয়ার শর্তগুলোকে অস্বীকার করে কোনোভাবেই মাতৃভাষার ন্যায়বিচার সম্ভব নয়। আজ তাই অধিপতি রাষ্ট্র, করপোরেট কোম্পানি, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, বহুপাক্ষিক দাতা সংস্থা, ক্ষুদ্রঋণ, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা ও অসম বাজার ব্যবস্থা সবই নিম্নবর্গের ভাষিক ময়দান ও প্রাণবৈচিত্র্যের সুরক্ষা প্রশ্নে এক প্রবল হুমকি। দেশে অঞ্চলগত ভিন্নতাসহ রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলাও আজ অরক্ষিত, ক্ষতবিক্ষত। বাংলা বাদে দেশের অপরাপর ৪৫ কি তার কমবেশি আদিবাসী জাতির মাতৃভাষার ময়দান আরো বেশি ঝুঁকি ও নৃশংসতা সহ্য করে টিকে থাকার লড়াই করছে। আমরা আলাপের প্রথম থেকেই বলছি, ভাষা কোনো একপক্ষীয় গোঁজামিলের কায়দাকানুন নয়। এটি জীবনের বিজ্ঞান, যাপিত জীবনের গণিত। বলা হয়ে থাকে, চর্চাকারীর সংখ্যার উপরে কোনো ভাষা টিকে থাকার শর্ত জড়িত। দেশে কড়া আদিবাসীর মোট সংখ্যা ১০০। মারগান কোচদের প্রায় তিরিশটি পরিবার টিকে আছে। লুসাইদের সংখ্যা ৫০০। চাক, খিয়াং ও লালেংদের সংখ্যা পাঁচ হাজারের কম। ভাষা বিজ্ঞানের সূত্রমতে, এসব ভাষা কি তাহলে দুনিয়া থেকে হারিয়ে যাবে? যদি একটি পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, এসব মানুষও কি দুনিয়া থেকে হারিয়ে যাবে? হয়তো মানুষ থাকবে, নিজ ভাষা হারিয়ে অন্য কোনো ভাষায় যোগাযোগ করতে বাধ্য হবে। তার মানে শুধু মানুষ বা কোনো জাতি থাকলেই চলে না, তার মাতৃভাষা টিকে থাকার শর্ত ও কারিগরিগুলোও টিকে থাকতে হয়। ভাষা গড়ে ওঠা ও বিকশিত হওয়ার উপাদানগুলোর নিশ্চিত সুরক্ষা না হলে সেই ভাষা অবশ্যই বদলে দুমড়ে অন্য কোনো যোগাযোগ কায়দা হিসেবে অচিন রূপে দাঁড়াবে। দাঁড়াচ্ছেও তা-ই, প্রতিনিয়ত। রাষ্ট্র ও ক্ষমতার অধিপতি মারদাঙ্গার ভেতর। ভাষা ও প্রাণবৈচিত্র্যের যমজ আহাজারি বুঝতে, শুনতে, মানতে, জানতে রাষ্ট্রকে ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। ভাষা ও প্রাণবৈচিত্র্য এই যমজ বোনদের টিকে থাকা ও বিকশিত হওয়ার ওপর নির্ভর করে আমাদের সভ্যতার ঠিকুজি।

পাভেল পার্থ

গবেষক

animistbangla@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads