• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
রাজনীতি কি পথ হারিয়েছে

এখন নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা চলে অর্থ খরচের মাধ্যমে

আর্ট : রাকিব

মতামত

রাজনীতি কি পথ হারিয়েছে

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০১৮

দুই অক্ষরের শব্দ পথ। ছোট্ট হলেও এর ব্যাপ্তি বিশাল। এ পৃথিবীতে পথের গুরুত্ব অপরিসীম। মানবজীবনেও কি এর গুরুত্ব কম? মোটেই না। বরং গোটা মানবজীবনই একটি নাতিদীর্ঘ পথ পরিভ্রমণ। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষকে অতিক্রম করতে হয় আঁকাবাঁকা, চড়াই-উতরাই পথ।

পথ আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। মানুষকে একটি জীবন পার করতে অবিরাম পথ চলতে হয়। প্রতিটি স্তরে, প্রতিক্ষণে এ পথচলা। জীবন যতদিন থাকে, পথচলাও থাকে। জীবন থেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পথচলারও সমাপ্তি ঘটে। পথ মানুষকে পৌঁছে দেয় গন্তব্যে। পথ যদি সঠিক হয়, তাহলে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানো যায় সহজেই। আর যদি ভুল পথে পা বাড়ান কেউ, তাহলে পড়তে হয় গোলকধাঁধার চক্করে। তাতে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানো শুধু অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় তা-ই নয়, নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জীবন হয়ে উঠতে পারে বিষময়।

পথের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায় আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের সৃষ্টি এই সৌরজগতের দিকে তাকালেই। সৌরমণ্ডলের সবকিছুকেই একটি নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। এর প্রতিটি নক্ষত্র, গ্রহ-উপগ্রহকে নিজের কক্ষপথেই পরিভ্রমণ করতে হয়। এর বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। একটি গ্রহ বা উপগ্রহ যদি নিজ কক্ষচ্যুত হয়, তাহলে এই সৌরমণ্ডলে ঘটে যাবে মহাপ্রলয়। ধ্বংস হয়ে যাবে এ সাজানো গোছানো সৌরজগৎ!

আমাদের ব্যক্তি, সামাজিক বা জাতীয় জীবনেও এর ব্যত্যয় ঘটার কোনো সুযোগ নেই। মানুষকেও একটি নির্দিষ্ট নিয়মে, নির্দিষ্ট পথে চলতে হয়। এর ব্যত্যয় হলেই ঘটে যত অনাসৃষ্টি। যেমন রেলগাড়ি যদি তার জন্য নির্দিষ্ট পথ, অর্থাৎ রেললাইনচ্যুত হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটে মহাবিপর্যয়। এতে একই সঙ্গে জীবন ও সম্পদের বিনাশ ঘটে থাকে। এজন্য সবকিছুকে একটি নিয়ম মেনে চলতে হয়, নিয়ম মানাটা একরকম বাধ্যতামূলক। আর এই নিয়মটাই হলো পথ। নিয়ম মানা মানেই নির্দিষ্ট পথে চলা।

আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতেও কিন্তু ‘পথ’ বেশ ভালোভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। পথ নিয়ে কবিরা কবিতা লিখেছেন, গীতিকার গান লিখেছেন, লেখক তার লেখায় পথকে টেনে এনেছেন প্রাসঙ্গিকভাবেই। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গান- ‘পথহারা পাখি কেঁদে ফিরি একা...।’ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা নাটক-সিনেমায় এ গানটি ব্যবহূত হয়েছে। নজরুলের আরেকটি গানে পথ এসেছে এভাবে- ‘পথ চলিতে, যদি চকিতে, কভু দেখা হয় পরান প্রিয়...’। এখানে হারানো প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে হূদয় নিংড়ানো করুণ আকুতি ফুটে উঠেছে। ভারতীয় বাংলা গান ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব মাগো বলো কবে শীতল হবো’ কার না হূদয় ছুঁয়ে যায়! আবার ‘এ পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বল তো...’ গানটি যে কোনো প্রেমিক হূদয়কে নাড়া দেয়। অন্যদিকে ‘পথের দিশা দাও গো মুর্শিদ, পথের দিশা দাও’— আধ্যাত্মিক গানটিতে ভক্তের দয়াল মুর্শিদের কাছে মুক্তির পথপ্রার্থনাই বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে কথাসাহিত্যেও পথের উল্লেখ আছে বেশ ভালোভাবেই। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের নায়ক নবকুমার যখন কাপালিকের হাত থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য রাতের অন্ধকারে দৌড়ে পালাচ্ছিল, তখনই হঠাৎ কপালকুণ্ডলা সামনে এসে বলল— ‘পথিক, তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’ কপালকুণ্ডলা নবকুমারকে পথ দেখিয়েছিল। আর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তো বিখ্যাত হয়ে আছেন তাঁর ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের জন্য।

পথ নিয়ে এত কথা বলা হচ্ছে কেন— এ প্রশ্ন পাঠকের মনে জাগতেই পারে। একটা উদ্দেশ্য তো অবশ্যই আছে। যেহেতু পথে নেমেছি, পথ কোথায় নিয়ে যায় দেখা যাক। আমাদের দেশে দু-চারজন লোক একত্র হলেই এ-কথা সে-কথার পর অবধারিতভাবে আলোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায় রাজনীতি। এটা গণপরিবহনে চলতি পথে হোক, কারো ড্রয়িং রুমে হোক কিংবা হোক না কেন কোনো চায়ের দোকানে, একই চিত্র দেখা যায়। তেমনি আমরা যারা রাজনীতি সম্পর্কে মাথায় কিছু না থাকা সত্ত্বেও তা নিয়ে মাথা ঘামাই, তারা কিছু বলতে বা লিখতে গেলেই রাজনীতি এসে ভর করে মগজে। এটা রাজনীতির দোষ নয়। দোষ আমাদের মস্তিষ্কের। আমরা এত বেশি রাজনীতিমনস্ক জাতি যে, বাজারে কাঁচামরিচের দাম বাড়লেও তাতে রাজনীতির গন্ধ আবিষ্কার করতে মাথার ঘামে একেবারে গোসল সেরে ফেলি। তো পথ নিয়ে লিখতে বসার পর রাজনীতি  এসে বার বার টোকা দিচ্ছে মনের জানালায়।

প্রশ্নটি অনেকেই করেন আমাকে। আমাদের রাজনীতি কি পথ হারাতে বসেছে? এ প্রশ্নের জুতসই উত্তর আমার জানা নেই। চোখ মেলে, চোখ বুজে অনেক ভেবেছি; কিন্তু সঠিক উত্তর পাইনি। আমাদের রাজনীতি কি সঠিক পথে আছে, নাকি দলীয় স্বার্থ আর সংকীর্ণতার গহীন অরণ্যে পথ হারিয়ে ফেলেছে? উত্তর পাওয়া যাক বা না যাক, প্রশ্নটি যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্ববহ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা চলমান রাজনৈতিক ঘটনাবলির দিকে একটু গভীর দৃষ্টিতে তাকালেই যে কারো কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে ধরা দেবে যে, আমাদের রাজনীতি সঠিক পথে নেই। যেভাবে রাজনীতি চলার কথা, ঠিক যেন সেভাবে চলছে না। অন্তত জনগণ যে রাজনীতি প্রত্যাশা করে, তা বহুলাংশে অনুপস্থিত। অনেকটাই এলোমেলো। আর যেহেতু রাজনীতি আমাদের জনজীবনকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে, তাই এর পথভ্রষ্ট হওয়াকে সচেতন মানুষ অশনিসংকেত হিসেবেই দেখছেন।

রাজনীতি কেন সঠিক পথে চলছে না বা কেন এর কক্ষচ্যুতি- এ প্রশ্নও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। রাজনীতি তো হাত-পাওয়ালা কোনো জীব বা প্রাণী নয় যে, সে স্ব-ইচ্ছায় চলাফেরা করতে পারে। রাজনীতি সচল বিষয় হলেও এর চালিকাশক্তি হচ্ছে মানুষ। তাও আবার সব মানুষ নয়, যারা এর চর্চার সঙ্গে জড়িত তারা। চর্চা শব্দটি ব্যবহার করা কতটা যুক্তিযুক্ত হলো জানি না; অন্তত আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে। এখানে এখন আর কাউকে রাজনীতি চর্চা করতে দেখা যায় না। এখন সবাই রাজনীতি করে, চর্চা করে না। ডাক্তারি পেশা, আইন পেশায় যেমন সারা জীবন চর্চা বা প্র্যাকটিসের মধ্যে থাকতে হয়, রাজনীতিও কিন্তু তেমনই একটি কাজ। এক্ষেত্রেও প্রতিনিয়ত শিখতে হয়, চর্চা করতে হয়। কিন্তু আমাদের বর্তমান রাজনীতির দিকপালরা কি সে চর্চার ধার ধারেন? ডাক্তারি পেশায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে হলে রোগ এবং চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। আর সেজন্য নিয়মিত মেডিকেল জার্নাল পড়তে হয়। অনেকের মতে, রাজনীতি সঠিকভাবে করতে হলে অতীত এবং বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা দরকার। আর সেজন্য প্রয়োজন পড়াশোনা। শুনতে খারাপ শোনা গেলেও বলতে দ্বিধা নেই যে, আমাদের বর্তমান রাজনীতিকদের অধিকাংশ পড়াশোনার ঝামেলা সযত্নেই এড়িয়ে চলেন। তারা রাজনীতি নিয়ে এতটাই ব্যস্ত যে, বইয়ের মলাট উল্টে দেখার সময়  কোথায়! 

একটা সময় রাজনীতিকদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল উঁচু। রাজনীতিকরা দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করেন, সাধারণ মানুষ এটাই মনে করত। বাস্তবেও ছিল তা-ই। আমাদের এ দেশের অনেক বরেণ্য রাজনীতিকের নাম করা যায়, যারা সারা জীবন দেশ ও জাতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন, নিজের বা স্বজনের স্বার্থের দিকে ফিরেও তাকাননি। মানুষ তাদের সম্মান করত, শ্রদ্ধা করত। এখনো মানুষ তাদের নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। কেন মানুষ তাদের শ্রদ্ধা করে? এমনি এমনি? না, তারা তাদের কর্মের দ্বারাই মানুষের ভক্তি শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।

কিন্তু আজ পরিস্থিতি উল্টো। আমাদের রাজনীতিকদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যাদের দেখলে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়। চারদিকে নেতার ছড়াছড়ি। শহরের ল্যাম্পপোস্ট আর গ্রামের গাছের ডালে নেতাদের রঙ-বেরঙের ফেস্টুন ঝুলতে দেখা যায়। রাজনীতি বা মানবসেবা দিয়ে নয়, এখন নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা চলে অর্থ খরচের মাধ্যমে। কে কত বড় গাড়ির বহর নিয়ে চলাফেরা করেন, কী পরিমাণ টাকাকড়ি খরচ করেন, নেতার শ্রেণিবিন্যাসে এসব এখন বড় বিবেচ্য বিষয়। দেশ-জাতির প্রতি কে কতটা নিবেদিতপ্রাণ, তা এখন আর কেউ বিবেচনায় নেন না। ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে, স্মাগলিং করে, ঘুষ-দুর্নীতি করে যে লোক দেশের ক্ষতি করে চলেছে ক্রমাগত, সে-ই সমাদৃত হয় ‘মাননীয় নেতা’ হিসেবে। এ ধরনের নেতারা কখনোই জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকেন না। কারণ তারা মনে করেন, তাদের অর্থ আছে। আর তা দিয়ে তারা সবাইকে কিনে নিতে পারবেন। বাস্তবে হচ্ছেও তা-ই। রাজনীতিতে এখন অর্থ-বিত্তই হয়ে উঠেছে যোগ্যতার প্রধান মাপকাঠি।

নির্বাচন এলে দেশের বড় দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয় আর প্রভাবশালী নেতাদের বাসাবাড়িতে ভিড় লেগে যায় বিত্তশালী লোকজনের। সারা জীবন ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে সময় পার করেছেন যিনি, ব্যবসায়ের মুনাফা বাড়াতে আইনকে ফাঁকি দিয়ে আয়কর থেকে শুরু করে সব ধরনের কর ফাঁকি দিতে বিবেকে বাঁধেনি যার, তিনি-ই পাগল হয়ে যান আইনপ্রণেতা হওয়ার জন্য। ট্র্যাজিক ব্যাপার হলো, এদের সমর্থকেরও অভাব হয় না। একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতা তাদের পক্ষে তদবির করেন মনোনয়ন পেতে। এই তদবিরের পেছনে নিয়ামকের কাজ করে মোটা অঙ্কের অর্থ। সবচেয়ে অবাক কাণ্ড হলো, এরা মনোনয়ন পেয়েও যান। সারা জীবন দল আর রাজনীতির পেছনে সময় ব্যয় করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন যিনি, তার ভাগ্যের শিকে আর ছিঁড়ে না।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রাধান্য ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, এ কথা প্রায়ই শোনা যায়। দেশ ও রাজনীতি নিয়ে যারা ভাবেন, তারা এ নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও প্রকাশ করে থাকেন। আমাদের রাজনীতি থেকে নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে— এমন কথাও অনেকে বলে থাকেন। রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই, এমন মন্তব্যও শোনা যায়। রাজনীতি এখন একটি ভালো ব্যবসা- এমন কথাও বলেন কেউ কেউ। এসব কথা অমূলক নয়। আমাদের বর্তমান রাজনীতির হালহকিকত সম্পর্কে যারা খোঁজখবর রাখেন, তাদেরকে এ বিষয়ে নতুন করে বলা দরকার পড়ে না।

আমাদের দেশে বর্তমানে দুর্নীতির যে ব্যাপকতা, তার জন্য অনেকে রাজনীতিকে দায়ী করে থাকেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দুর্নীতিবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে— এমন অভিযোগও অনেকে করেন। এ অভিযোগ অস্বীকার করা যাবে না। শেয়ার মার্কেটে লুটপাট, ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ছোট-বড় অনেক দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগের পক্ষে প্রমাণও পাওয়া গেছে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি রাষ্ট্র। সেটাও রাজনীতির কারণেই।

এটা নিশ্চয়ই অস্বীকার করা যাবে না, রাজনীতি যেভাবে চলা উচিত, আমাদের দেশে সেভাবে চলছে না। কেন চলছে না, তার যৎকিঞ্চিত কারণ এ নিবন্ধে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে লেখকের সঙ্গে অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে। আর সেটাই স্বাভাবিক। সবার দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিচার-বিশ্লেষণ ক্ষমতা এক নয়। তবে এটা তো অস্বীকার করা যাবে না যে, আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সততা, নীতিবোধ এবং দেশপ্রেম অনেকাংশেই হারিয়ে গেছে। আর সেজন্যই দেশ আজ অনিয়ম-দুর্নীতি, হানাহানি, সংঘাত-সংঘর্ষ, বিশৃঙ্খলা আর অরাজকতার করালগ্রাসে নিপতিত। আর এ অবস্থাকে আমাদের রাজনীতির কক্ষচ্যুতি বা পথ হারানো বললে কি খুব একটা ভুল হবে?

বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের নায়িকা কপালকুণ্ডলা পথ হারানো নবকুমারকে পথ দেখিয়েছিল। আমাদের পথহারা রাজনীতিকে পথ দেখাবেন কোন কপালকুণ্ডলা? কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তার জন্য?

লেখক : সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads