• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

মতামত

ওভাবে যদি ছুড়ে ফেলা যেত

  • প্রকাশিত ০৪ আগস্ট ২০১৮

সম্প্রতি একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, স্যুট-টাই পরা এক ব্যক্তিকে বেশ কয়েকজন মিলে চ্যাংদোলা করে রাস্তার পাশে রক্ষিত ডাস্টবিনে ঢুকিয়ে দিল। ক্লিপটি যিনি শেয়ার করেছেন তিনি লিখেছেন, ইউক্রেনের একজন দুর্নীতিবাজ পার্লামেন্ট মেম্বারকে সে দেশের জনগণ ধরে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক লাখ মানুষ ভিডিও ক্লিপের ওই পোস্টটিতে লাইক দিয়েছে এবং নানা ধরনের মন্তব্য করেছে। ওইসব মন্তব্যে দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজদের প্রতি তাদের প্রচণ্ড ঘৃণা ফুটে উঠেছে। দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের বহু মানুষ তাতে মন্তব্য করেছে। কেউ কেউ লিখেছে, সর্বগ্রাসী দুর্নীতির বিনাশের জন্য আমাদের দেশেও এ ধরনের ঘটনা ঘটানো উচিত। আবার কেউ লিখেছে, সাবধান! বাংলাদেশেও অচিরেই শুরু হয়ে যেতে পারে।

এ ধরনের ঘটনা আমাদের দেশে কখনো ঘটবে কি-না কেউ জানে না। তবে ঘটুক আর না ঘটুক, দুর্নীতির প্রতি যে এদেশের সাধারণ মানুষের প্রবল ঘৃণা ও ক্ষোভ রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে হতাশার কথা হলো, দুর্নীতির প্রতি মানুষের প্রচণ্ড ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও এর পরিধি ও প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।

কেউ হয়তো বলতে পারেন, দুর্নীতির জগতে কি শুধু বাংলাদেশ আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ কি আছে যেখানে দুর্নীতি নেই? যেসব দেশকে আমরা উন্নত দেশ বলে থাকি এবং ‘মডেল’ মনে করি, সেসব দেশও কি দুর্নীতিমুক্ত? যদি তা-ই হতো, তাহলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবছর দুর্নীতির যে সূচক প্রকাশ করে, তাতে শুধু বাংলাদেশের নামই থাকত। অন্য কোনো দেশের নাম থাকত না। যুক্তি হিসেবে মন্দ নয় কথাটি। তবে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত দিয়ে আরেকটি খারাপ কাজকে জাস্টিফাই করা কি যুক্তিসঙ্গত? পৃথিবীর অন্য দেশে দুর্নীতি হয় বলে আমাদেরকেও সেই একই পঙ্কে নিমজ্জিত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং আমরা দুর্নীতিমুক্ত থেকে যদি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি, সেটাই হবে গর্বের বিষয়।

পেছনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, দুর্নীতির দায়ে পৃথিবীর অনেক দেশের মন্ত্রী-এমপিদের ভাগ্য বিপর্যয়ের নজিরের অভাব নেই। পৃথিবীর অন্যতম পরিশ্রমী জাতির দেশ হিসেবে পরিচিত জাপানের এক প্রধানমন্ত্রীকেও দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার পতনের কারণও দুর্নীতি। সরকারপ্রধানের পদে থেকে নামে-বেনামে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পদ হারিয়েছেন, দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন, এমনকি দেশে ফিরে যে আবার রাজনীতি করবেন, আপাতত সে সুযোগও হারিয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের অবস্থা দেখুন। পানামা পেপারসে নাম আসার পর বেচারার কপালটাই পুড়ে ছাই! গদি তো হারালেনই, রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হয়ে এখন কন্যা-জামাতাসহ কারাগারে দিনযাপন করছেন। বেনজির ভুট্টো যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তার স্বামী (পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট) আসিফ আলী জারদারি পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘মি. টেন পার্সেন্ট’ হিসেবে। মালয়েশিয়ার দিকে চোখ ফেরাই। সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে আজ কারাগারে। ক্রোক করা হয়েছে তার সব সম্পদ। সৌদি আরব, যে দেশটিকে আমরা পুণ্যভূমি হিসেবে অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখি এবং সে দেশটির শাসকদের সৎ ও ন্যায়পরায়ণ মনে করে থাকি, তারাও যে দুর্নীতির ডোবায় ডুব দিয়েছেন, তাও এখন আর কারো অজানা নেই। সম্প্রতি সে দেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান এবং খোদ রাজপরিবারের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতারের খবর বিশ্বব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। প্রতিবেশী ভারতের কথাই ধরুন। সেখানেও দুর্নীতি ও নৈতিকস্খলনজনিত কারণে অনেক রাজনৈতিক নেতার পপাৎ ধরণীতল হওয়ার নজির রয়েছে। তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা জয়ারাম এক্ষেত্রে উদাহরণ হতেই পারেন। এমনকি দেশটির প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধেও বোফোর্স কামান ক্রয় কেলেংকারির কথা শোনা গিয়েছিল।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের দুর্নীতির ফিরিস্তি দেখে কেউ হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারেন, তাহলে আমাদের দেশের দুর্নীতি নিয়ে এত হৈচৈ কেন? আমরা কি পৃথিবী নামের এই গ্রহটির বাইরের? না, তা অবশ্যই নয়। উদাহরণগুলো টানা হয়েছে এজন্য যে, ওইসব দেশে দুর্নীতি করে কেউ রেহাই পায় না। সেসব দেশের আইনের হাত খুবই শক্ত ও লম্বা। সে হাত যে কোনো সময় যে কাউকে টেনে ধরতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে দুর্নীতিবিরোধী কথাবার্তা এত বেশি শোনা যায়, মনে হয় দুর্নীতি বোধকরি ঝাড়ে-বংশে নির্মূল হবে। কিন্তু ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’ প্রবাদটিকে অভ্রান্ত প্রমাণ করার জন্যই কি-না জানি না, অনেক হম্বিতম্বি হাঁকডাকের পরেও দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজরা থাকছে বহাল তবিয়তে।

দুর্নীতির রাহুগ্রাস আমাদের জাতীয় অগ্রগতিকে স্থবির করে দিচ্ছে- এ কথার সঙ্গে কেউ ভিন্নমত পোষণ করবেন বলে মনে হয় না। স্বাধীনতার পর এতদিনে আমাদের যতটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, আমরা তা যেতে পারিনি দুর্নীতি নামক ব্যাধিটির কারণে। এ সর্বনাশা ব্যাধি আমাদের রাষ্ট্র নামক দেহটিকে কুরে কুরে খাচ্ছে। চারদিকে চোখ মেলে তাকালেই এর সত্যতা ধরা পড়বে। সর্বত্র যেন দুর্নীতির মহোৎসব। কোথায় নেই এ সংক্রামক ব্যাধির আক্রমণ? সরকারি অফিসগুলো একেকটা এখন দুর্নীতির আখড়া। ঘুষ ছাড়া সেখানে ফাইল নড়ে না, কলম চলে না, কম্পিউটারের মাউসে ক্লিক হয় না। আর ওইসব জায়গায় যারা কাজ করে, তারা যাপন করে বিলাসবহুল জীবন।

মাঝে-মধ্যে ওইসব দুর্নীতির খবর পত্র-পত্রিকায় বেরোয়। তদন্ত কমিটি হয়, পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়, চায়ের টেবিলে হয়তো আলোচনার ঝড়ও ওঠে। তারপর সব নীরব, সুনসান। এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ। এখানে পিডিবি, ওয়াসা, ডেসা, ডেসকো, তিতাস গ্যাসের মিটার রিডাররা রাজধানীতে বহুতল অট্টালিকার মালিক। এখানে দিনদুপুরে শেয়ার মার্কেট লুট হয়ে যায়, ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে যায় হাজার হাজার কোটি টাকা। যারা এসব অপকর্ম করে, তাদের কেশাগ্রও কেউ স্পর্শ করতে পারে না। তারা সমাজে ভিআইপি হিসেবে পরিচিত। মিজানুর রহমান নামের একজন ডিআইজির কীর্তিকলাপ কিছুদিন আগে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছিল। একজন নারী সাংবাদিককে নিয়ে তিনি যা করেছেন, তা একদিকে যেমন অবিশ্বাস্য, তেমনি নৈতিকতার চরম লঙ্ঘনও বটে। অভিযোগটি ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বরখাস্ত করা উচিত ছিল; কিন্তু তা করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে নাকি তদন্ত চলছে। এ তদন্ত কতদিন চলবে, আদৌ শেষ হবে কি-না আল্লাহ মালুম।

দুর্নীতির সর্বশেষ ঘটনাটি উদঘাটিত হয়েছে অতিসম্প্রতি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে। দুর্নীতির বিশালতা দেখে ওটাকে চোরের খনি বললেও ভুল হবে না। চোখের সামনে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা! কোথায় গেল এ বিপুল পরিমাণ কয়লা? অভিযুক্তরা মিনমিনে গলায় কৈফিয়তের সুরে সেই পুরনো ‘সিস্টেম লস’ তত্ত্বকে সামনে আনার চেষ্টা করছে। সদ্য বরখাস্ত হওয়া এমডি বলছেন, এ কয়লা বাতাসে উড়ে গেছে, বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে আর মাটিতে মিশে গেছে। সত্য ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা আর কাকে বলে! এ কয়লা চুরির তদন্ত শুরু হয়েছে। দেখা যাক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় কয়লা চোরদের বিরুদ্ধে।

উপরে যে বর্ণনা দেওয়া হলো, তাকে আমাদের দেশের দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের কিয়দংশই বলা যায়। শুনতে খারাপ শোনা গেলেও বলতেই হচ্ছে, দুর্নীতির এ ব্যাপক বিস্তারের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। এ কথার সঙ্গে কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করতে পারেন, আপত্তি তুলতে পারেন। প্রশ্ন করতে পারেন, সেটা কীভাবে? ‘মাছের পচন শুরু হয় মাথা থেকে’- চীনা এ প্রবাদটি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমাদের সবার উপরে আছে রাষ্ট্র। আর সে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন রাজনীতিকরা। এ কথা এখন প্রমাণিত যে, দেশে সংঘটিত দুর্নীতির সিংহভাগের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা রাজনীতিকদের একটি অংশ। তারা নিজেরা যেমন দুর্নীতিতে লিপ্ত, তেমনি দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকও বটে। তাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দুর্নীতিবাজরা হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। রাজনৈতিক দলগুলোও এক্ষেত্রে কম দায়ী নয়।

দেখা যায়, জাতীয় সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের সময় দলগুলো প্রার্থীর সততা, যোগ্যতা বা দেশ ও দলের প্রতি আনুগত্যকে বিবেচনায় আনে না। তারা অগ্রাধিকার দেয় প্রার্থীর ব্যাংক ব্যালেন্সকে। ফলে চোরাকারবারি, মুনাফাখোর, ব্যাংক লোপাটকারী, দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারী, টেন্ডারবাজরা মনোনয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। সৎ, নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীরা পিছিয়ে পড়েন। এভাবেই আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গন দুর্নীতিবাজদের দখলে চলে গেছে। এখানে আমরা, মানে জনসাধারণের দায়কে ছোট করে দেখার উপায় নেই। আমরা ওই চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের পেছনে মিছিল করি, জিন্দাবাদ দিই, ভোটের সময় ভোট দিয়ে বাক্স ভরে ফেলি। আমরা ওদের বয়কট করি না কখনোই।

মুখে আমরা দুর্নীতি আর দুর্নীতিবাজদের ‘তীব্র সমালোচনা’ করি, নিন্দার খৈ ফোটাই। যে লোকটিকে দুর্নীতিবাজ বলে সারাক্ষণ নিন্দা করি, সে যখন ফিনফিনে সাদা পাঞ্জাবি পরিধান করে, মুখে একটা ‘চিনিমাখা’ হাসি দিয়ে হাত বাড়িয়ে দেয়, তখন আমরা বিগলিত হয়ে ‘জ্বি ভাই, জ্বি ভাই’ বলে তার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ি। পাড়া-মহল্লার ক্লাব-সংগঠনে কিছু আর্থিক অনুদান, দরিদ্রদের মধ্যে জাকাতের নামে অতি নিম্নমানের কাপড় বিতরণ করে এরা নাম কেনে ‘দানবীর’ হিসেবে। এদের আবার স্তাবক ও তল্পিবাহকের অভাব হয় না। এসব কীর্তিমানদের মাথায় ছাতা ধরে আগেপিছে বরযাত্রীর মতো হেঁটে চলার লোকেরও অভাব হয় না। অর্থের ক্যারিশম্যাটিক ক্ষমতার জোরে বনে যায় জাতীয় সংসদ সদস্য! এমনকি কারো কারো ভাগ্যে জুটে যায় জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি! আর তখনই সে নিজেকে নিয়োজিত করে বিনিয়োগকৃত অর্থ সুদ-আসলে আদায়ের কাজে। আর এটা করতে গিয়ে তাকে প্রশ্রয় দিতে হয় রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরের দুর্নীতিবাজদের।

আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে দুর্নীতির ব্যাপকতা সচেতন ব্যক্তিদের ভাবিত না করে পারে না। তারা উদ্বিগ্ন এ জন্য যে, এ সংক্রামক ব্যাধিকে যদি এখনই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনতার প্রয়োজন বলে মনে করেন সমাজ চিন্তাবিদরা।

ইউক্রেনের মানুষ একজন দুর্নীতিবাজ এমপিকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এটা যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সে দেশের মানুষের চরম ক্ষোভ ও ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ঘটনাকে রূপক অর্থেও ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ দুর্নীতিবাজরা ময়লা-আবর্জনা। আর তাদের উপযুক্ত স্থান ডাস্টবিন। মানুষ তাদের প্রাত্যহিক বর্জ্য ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করে থাকে পরিবেশকে সুন্দর ও দূষণমুক্ত রাখার জন্য। তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবেশকে সুস্থ ও নিষ্কলুষ রাখতে দুর্নীতিবাজদেরও ছুড়ে ফেলা দরকার বর্জনের ডাস্টবিনে।

 

ম হি উ দ্দি ন  খা ন  মো হ ন

লেখক : সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads