• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বলা এবং

স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ধীর বুদ্ধির হলে সংসার হয় সুখের

আর্ট : রাকিব

মতামত

বলা এবং

  • আবদুল মতিন খান
  • প্রকাশিত ০৯ আগস্ট ২০১৮

ভোরে ঘুম থেকে উঠে যে কাজটিতে মানুষ প্রথম মাতে সেটা হলো বলা। বড়রা ছোটদের উদ্দেশ্যে বলে, ছোটরা বড়দের। বড়দের বলায় থাকে আদেশের সুর, ছোটদের আবদারের। বড়রা ছোটদের বলবে হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসতে। ছোটরা বায়না ধরবে কিছু খেতে দিতে। এই যে বলাবলির শুরু, তা শেষ হয় রাতে বিছানায় যেতে যেতে।

বলার প্রকাশ মুখ দিয়ে হলেও সূত্রপাত তার মাথা থেকে। আসলে মাথার মধ্যে সারাক্ষণ বলার কাজ চলতে থাকে। মানুষ যখন চুপচাপ থাকে তখনো সে কথা বলতে থাকে। ঘুমিয়ে গেলেও তার কথা বলা থামে না। ঘুমের সময় বহু মানুষের সঙ্গে তার কথা হয়। হয় মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গেও। কথা হয় এমন ব্যক্তির সঙ্গে, জাগ্রত অবস্থায় যার ধারেকাছে পৌঁছা তার পক্ষে অসম্ভব।

মানুষের মাথার মধ্যে নানা চিন্তা ঘুরপাক খায়। এসব চিন্তার কিছু থাকে সৃজনশীল, অন্যগুলো ধ্বংসাত্মক। এর যেগুলো সম্ভাব্য মনে হয় সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয় তার মেয়াদ কয়েক মিনিট থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি হতে পারে দীর্ঘ জীবনকালের শেষ দিন পর্যন্ত। সম্রাট আওরঙ্গজেব আশি বছর বেঁচেছিলেন, তার জীবনের লক্ষ্য ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটানো এবং ওই সাম্রাজ্যের প্রতি যারা বা যে সমস্ত শক্তি হুমকি তাদের ধ্বংস করা। নিজ ভাইদের হত্যা দিয়ে ছিল তার শুরু এবং দাক্ষিণাত্যে মারাঠা দমনে ছিল তার শেষ। যুদ্ধক্ষেত্রে তার মৃত্যু হয়। যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে সৈন্য সংগ্রহ দুরূহ হয়। হিন্দুস্তানের জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের বেশি হিন্দু হওয়ায় তার বাহিনীর তিন-চতুর্থাংশ সৈনিক এবং অধিকাংশ ফিল্ড কমান্ডার ছিলেন হিন্দু। যুদ্ধ করার জন্য নতুন সৈনিক সংগ্রহে অসুবিধা দেখা দেওয়ায় তিনি তার যুদ্ধরত বাহিনীতে যোগদানে অনিচ্ছুকদের ওপর জিজিয়া কর বসিয়ে ছিলেন। এই জিজিয়া কর বসানোকে আওরঙ্গজেবের সাম্প্রদায়িক কাজ বলে অনেকে বলেন। যুদ্ধের সময় কর দিয়ে সৈন্যদলে না গিয়ে প্রাণ বাঁচানোর এই সুযোগ দেওয়া সম্রাটের মহানুভবতার পরিচয় নয় কি? দ্বিতীয়ত, ব্রিটিশ শাসনের আগে ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতা বলে কিছু ছিল না। ভারতে সাম্প্রদায়িকতার আমদানি করে ইংরেজ তার ভারতে টিকে থাকার সুবিধার্থে। যুদ্ধের সময় সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করা সব নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য। ব্রিটেনে, উদাহরণস্বরূপ, যুদ্ধ বাধলে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক দল বেঁধে সেনাবাহিনীতে ঢোকে। এটা নাগরিকের দেশপ্রেমপ্রসূত কর্তব্য। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে তাদের সেনাবাহিনী থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এজন্য ব্রিটেনে শান্তিকালীন একটা ছোটখাট কাঠামোর সৈন্যদল থাকে মাত্র। ব্রিটেন ইন্ডিয়া ছেড়ে যাওয়ার সময় উপমহাদেশে তাদের ধুরন্ধর প্রধানমন্ত্রী উইনস্টোন চার্চিলের পরামর্শমতো একটা ফুটহোল্ড রাখতে ইন্ডিয়াকে ভারত ও পাকিস্তান দুই ভাগে ভাগ করে যায়। এই দুই ভাগের মধ্যে স্থায়ী বৈরী অবস্থা টিকিয়ে রাখতে কাশ্মির নিয়ে বিবাদ বাধিয়ে যায়। এ বিবাদের দরুন ভারত ও পাকিস্তান তাদের আর্থিক উন্নয়নের কাজ বাদ রেখে সশস্ত্রবাহিনীর পেছনে অযথা অপব্যয় করতে থাকে। সব অর্থ ব্যয় হতে থাকে সশস্ত্রবাহিনীর পেছনে। সামরিক বাহিনীর লোকেরা নিজেদের দেশবাসীর প্রভু বলে ভাবতে অভ্যস্ত হয়। এ অবস্থা ভারতের চেয়ে পাকিস্তানে অধিক মাত্রায় দেখা দেয়। ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্র তার শিক্ষিত মধ্যশ্রেণি ও আকারের কারণে স্থায়ী হয়ে যায়। ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যে এজন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের খায়েশ কখনো জাগে না।

কিন্তু পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনী অতিরিক্ত আশকারা পায় এবং জাতীয় রাজস্বের দুই-তৃতীয়াংশ আত্মসাৎ করতে থাকে। তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র তার ভূরাজনৈতিক স্বার্থে পাকিস্তানকে বগলদাবা করলে পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনী তার নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট নানা যুদ্ধজোটে (সিয়াটো, সেন্টো, বাগদাদ প্যাক্ট প্রভৃতিতে) সানন্দে যোগ দেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র খুব খুশি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের খুশি হওয়ার হেতু যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়নে পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনী হলো বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ রোবট বাহিনী। তাকে যুক্তরাষ্ট্র যা আদেশ করে সে বিনা প্রশ্নে হাসিমুখে তাই পালন করে। তার মস্তিষ্ক বা মগজ বলতে কিছু নেই।

মগজহীন রোবট এই বাহিনী ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশে হালাকু চেঙ্গিসের মতো পাইকারি খুন, নারী ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে সারা পৃথিবী এর নিন্দা করলেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার দৃঢ়ভাবে ইয়াহিয়ার রক্তপিপাসু হিংস্র সরকার ও পাক সশস্ত্রবাহিনীকে সমর্থন দিয়ে যায়, এমনকি বাংলাদেশ যুদ্ধ করে মুক্তিলাভ করলেও ইয়াহিয়ার রোবট বাহিনী ভেবেছিল নিরস্ত্র নর-নারীকে পাইকারি হত্যা করলে তারা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।

পাকিস্তানের সামরিক সরকার ও তার সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসংখ্যা লাখ চারেকের মতো হয়তো ছিল। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান মিলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি। এর মধ্যে সাড়ে চার কোটি ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনীর চার লাখ লোক সাত কোটি লোকের জন্য তোলা করের ও বিদেশ থেকে পাওয়া ঋণের পুরোটা একা খেত। উন্নতি যা হতো তা ওই পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের। ওই বাহিনীর রাজার হালে থাকার খরচটা মেটাত পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের দরিদ্র কৃষক শ্রমিক। এজন্যই পাকিস্তানের সামরিক সরকার ও সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কলোনি হিসেবে ধরে রাখতে মরণপণ করেছিল। আর তাদের এই অশুভ কর্মে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, যা আজ অবধি অব্যাহত আছে। মনে রাখতে হবে, ভারতীয় উপমহাদেশের এবং বিশ্বের মূল শত্রু হলো ইংরেজ ও তাদের বংশধর যুক্তরাষ্ট্রীয়।

মনের মধ্যে সারাক্ষণ যে বলাবলি চলে তা যে বাস্তবতায় মানুষ বাস করে সেসব নিয়ে। ঘরের বাস্তবতা হলো বড়দের সংসার চালানোর এবং ছোটদের লেখাপড়া খেলাধুলা নিয়ে। টানাটানির সংসারে স্বামী-স্ত্রীর একজন উগ্রচণ্ডী অথবা উড়নচণ্ডী হলে লঙ্কাকাণ্ড হতে পারে নিত্যকার ঘটনা। এর প্রভাব ছেলেমেয়েদের ওপর পড়তে বাধ্য। তারা তো বাবা-মাকে দেখেই সাংসারিক জ্ঞান লাভ করে। বড় হয়ে নিজেরা সংসার পতার পর তাদের সংসারেও মাঝে মধ্যে লঙ্কাকাণ্ড বাধা তাই বিচিত্র নয়। স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ধীর বুদ্ধির হলে সংসার হয় সুখের। পুরুষ শাসিত সমাজে একটা কথা প্রচলিত। কথাটা এই, ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে।’ এখানে রমণীর গুণ বলতে বুঝায় স্ত্রীর সাত চড়ে রা না করা। ঝগড়া অথবা মারামারি অগ্রসর হতে পারে না একপক্ষ নিশ্চুপ থাকলে। যারা ঝগড়াটে তার কথার পিঠে কথা চায়। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও এটা সমান সত্য। দুর্বল দেশগুলোকে শাসন ও বাগে রাখতে বৃহৎ শক্তির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অনবরত উসকানিমূলক কথা সারাক্ষণ চালিয়ে যায়। শুনে কোনো দুর্বল দেশ তার পাল্টা দিলে তার আর রক্ষে নেই। সে তার হামলার শিকার হবেই। এজন্য দুর্বল দেশের শাসকদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান তারা যুক্তরাষ্ট্রের উসকানির জবাব না দিয়ে চুপচাপ থাকে। দুর্বল দেশে যুক্তরাষ্ট্র সর্বদা তাদের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিম্নতম স্তরের অফিসারদের রাষ্ট্রদূত করে পাঠায়। তারা স্বদেশে তাদের মেজাজ দেখাবার সুযোগ না পেয়ে উসখুস করতে থাকে। দরিদ্র দেশে রাষ্ট্রদূত হয়ে অথবা দূতাবাসের কর্মকর্তা হয়ে এলে ওই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারপ্রধানের প্রতিটি কাজে ফোড়ন দেওয়া তার প্রতিদিনের রুটিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। তার কথার সামান্য প্রতিবাদ হওয়ামাত্র তখন সে বলে কথাটা তার নয়, তার সরকারের। ব্যস, হয়ে গেল। তার সরকারের কথার প্রতিবাদ করা দুর্বল কোনো সরকারের পক্ষে সম্ভব থাকে না।

যুক্তরাষ্ট্রকে এড়িয়ে চলা তথাকথিত তৃতীয় বিশ্বের বা সাবেক ইউরোপীয় উপনিবেশগুলোর দুর্বলচিত্ত আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত এবং পরস্পরের মধ্যে ঝগড়ায় লিপ্ত রাজনীতিবিদদের পক্ষে সম্ভব হয় না। যুক্তরাষ্ট্র একবার এর পক্ষে একবার ওর পক্ষে কথা বলে। ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানকল্পে উপনিবেশের একজন দৃঢ়চেতা শিক্ষিত রাজনীতিবিদ একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে বিদেশি শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করলে তাকে বারবার কারাগারে পোরা হয়। এই ব্যক্তি ও তার দলের তৃণমূল পর্যায়ের আন্দোলনে অতিষ্ঠ হয়ে ঔপনিবেশিক শক্তি শেষ পর্যন্ত তার ও তার দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে উপনিবেশ থেকে পাততাড়ি গোটায়। তিনি তখন পরিচিত হন জাতির পিতা বলে। তিনি দেশকে গড়ে তুলতে গিয়ে প্রচণ্ড আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন। এর সুযোগ নেয় নয়া ঔপনিবেশিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র সদ্য মুক্ত উপনিবেশকে আবার তার নিজস্ব উপনিবেশ করতে তাকে এইড দেওয়ার ছলে বেঁধে ফেলে ঋণজালে। শুধু তাই নয়, সে দেশটিকে আরো নির্ভরশীল করে তুলতে একমাত্র দলটির কতিপয় উচ্চাভিলাষী নেতাদের দল থেকে অর্থের লোভ দেখিয়ে ভাগিয়ে এনে আরেকটি নতুন দল গঠন করায়। এটার সাফল্য দেখে এরপর আরো দল গঠন করায়। কয়েকটি দল হয়ে গেলে তাদের মধ্যে নানা ইস্যু নিয়ে ঝগড়া বাধায়। দলগুলো একা একা কিছু পারে না বলে তাদের কয়েকটিকে নিয়ে গঠন করায় জোট। এই জোটগুলোর মধ্যে বিবাদ থাকায় জোট ভাঙাগড়ায় তারা তাদের শক্তি ও মেধার সবটুকু খরচ করতে থাকে। নেপথ্য থেকে তো থাকেই, প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্র এসব বিবাদে পেট্রোল ঢালে।

নয়া ঔপনিবেশিক দেশের বিমূঢ় জনতা তাদের দেশের নানা দল-উপদলের কাণ্ডকীর্তি ও কথা চালাচালি দেখে দেশ সম্বন্ধে হতাশ হয়ে পড়ে। দেশবাসীকে হতাশ করাই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য। দরিদ্র মানুষ হয় ধর্মপ্রাণ ও নিয়তিবাদী। তারা ভাবে সব তাদের কপালের দোষ। দোষ কাটাতে তারা অধিক প্রার্থনানির্ভর হয়। যুক্তরাষ্ট্র দেখে আনন্দিত হয় মানুষ তাদের দুর্দশার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে না দুষে দুষছে তার কপালকে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সব দেশের সঙ্গে এগুলো করে সফল হয় না। ইরানকে ধমকি দিলে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সুলায়মানি যুক্তরাষ্ট্রকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন আপনারা যদি যুদ্ধ শুরু করেন তাহলে আমরা এর সমাপ্তি টানব।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং আজীবন সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নিবেদিত প্রাণ অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বিভিন্ন জনকীর্ণ স্থানে বক্তৃতা করতেন। মানুষকে স্বাধীনতার পক্ষে চলে আসতে বলতেন। মানুষ তার বক্তৃতা মনোযোগ দিয়ে শুনত। স্বাধীনতার পর তাকে মন্ত্রিত্ব দিতে চাইলে তিনি নেননি। স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে চাইলেও তিনি নিতে রাজি হননি। তার মতে রাজনীতি মানে দেশকে ও দেশের ভাগ্যহীন মানুষকে অনবরত দিয়ে যাওয়া, হাত পেতে নেওয়া নয়। এই রকম মানুষের বলার দাম আছে। এদের বংশবৃদ্ধি হোক।

শেষ কথা হলো, কথা না বলা অনেক ক্ষেত্রে বলার চেয়ে হয় অধিক।

লেখক : রাষ্ট্রনীতি ও সমাজবিকাশ বিষয়ে সন্ধিৎসু

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads