• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ভাসানী-মুজিব সম্পর্ক — দুই

৪ মার্চ এক বিবৃতিতে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন

সংগৃহীত ছবি

মতামত

ভাসানী-মুজিব সম্পর্ক — দুই

  • শাহ আহমদ রেজা
  • প্রকাশিত ১৫ আগস্ট ২০১৮

পাঠকদের বলেছিলাম এবং ইচ্ছাও ছিল আজকের নিবন্ধে বাংলাদেশের দুই মহান সংগ্রামী নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সম্পর্ককেন্দ্রিক আলোচনায় আপাতত সমাপ্তি টানব। বাস্তবে এটা আসলে মোটেও সহজ কাজ নয়। কারণ পাকিস্তান যুগে প্রথম বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা (জুন, ১৯৪৯), বিরোধী রাজনীতির সূচনা থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আহ্বান জানানো এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করা পর্যন্ত সুদীর্ঘ সংগ্রামের প্রতিটি পর্যায়ে দুজনই থেকেছেন অগ্রবর্তী অবস্থানে। ১৯৫৭ সালের জুলাই পর্যন্ত মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন, অন্যদিকে ১৯৫৩ সাল থেকে শেখ মুজিব ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীকালে পৃথক দল করলেও আজকের বাংলাদেশ তথা পাকিস্তানের প্রদেশ পূর্ব বাংলা এবং বাঙালির বঞ্চনার বিরুদ্ধে ও অধিকার আদায়ের দাবিতে দুজনই সোচ্চার হয়েছেন। বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। দুজনকেই নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবের সম্পর্ক সবসময় ছিল পিতা ও পুত্রের মতো। ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার রায় ঘোষণা সময়ের ব্যাপারে পরিণত হয়েছিল, প্রধান অভিযুক্ত শেখ মুজিব তখন ফয়েজ আহমদ, আতাউস সামাদ প্রমুখ সাংবাদিককে ‘বুড়ারে’ অর্থাৎ মওলানা ভাসানীকে ‘খবর’ দিতে বলেছিলেন। বিবিসির প্রখ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদ সন্তোষে ছুটে গিয়েছিলেন। এরপরই ১৯৬৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মওলানা ভাসানী পল্টন ময়দানের বিরাট জনসভায় ফরাসি বিপ্লবের মতো ক্যান্টনমেন্ট ভেঙে শেখ মুজিবকে মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। দেশে তখন ১১-দফা ভিত্তিক আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের রূপ নিয়েছিল। মওলানা ভাসানীর হুমকি এবং গণঅভ্যুত্থানের প্রচণ্ড চাপে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করতে এবং প্রধান অভিযুক্ত শেখ মুজিবসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন (২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯)। মুক্তি পাওয়ার পর সেদিন সন্ধ্যায়ই শেখ মুজিব মওলানা ভাসানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং একান্ত বৈঠক করে ‘উৎফুল্ল চিত্তে’ বেরিয়ে এসেছিলেন।

ইতিহাসের পর্যালোচনায় দেখা যাবে, স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বানের মুখে তৎপর মওলানা ভাসানী ১৯৭০ সালের নির্বাচন বর্জন করায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল আওয়ামী লীগ। দলটি ‘পূর্ব পাকিস্তানের’ জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে জিতে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। ওই নির্বাচন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা পর্যন্ত সময়কালে মওলানা ভাসানী সুকৌশলে শেখ মুজিবের প্রতি ‘সমর্থন’ জানিয়েছিলেন বলে প্রচার রয়েছে। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মতো কেউ কেউ ‘সমর্থন’ দেওয়ার এই কৌশলকে ‘রীতিমতো মাস্টার স্ট্রোক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ থেকে অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার প্রতিবাদে আরো একবার স্বাধীনতা সংগ্রামের আহ্বানমুখে প্রধান নেতা শেখ মুজিবের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মওলানা ভাসানী।

৪ মার্চ এক বিবৃতিতে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। ৭ মার্চের জনসমাবেশে শেখ মুজিব ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে ঘোষণার পাশাপাশি ‘যার যা কিছু আছে’ তা-ই নিয়ে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানানোর একদিন পর ৯ মার্চ পল্টন ময়দানের জনসভায় মওলানা ভাসানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের প্রতি ‘লাকুম দ্বীন ওয়ালিয়া দ্বীন’-এর ভিত্তিতে ২৫ মার্চের মধ্যে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রধান নেতা শেখ মুজিব প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। ইয়াহিয়ার সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক করার এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরিবর্তে মুজিবের উচিত স্বাধীন বাংলার সংগ্রামী নেতার ভূমিকা পালন করা।’ সর্বশেষ এক বিবৃতিতে মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ২৩ মার্চ থেকে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এভাবেই স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন মওলানা ভাসানী।

স্বাধীন বাংলাদেশে মুজিব সরকারের বিরোধিতা করলেও দুই নেতা মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত সম্পর্কে এবং ‘ছেলের মতো’ মুজিবের প্রতি মওলানা ভাসানীর মনোভাবে সামান্য পরিবর্তন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবও তাকে ‘পিতার মতোই’ সম্মান করেছেন। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সব সমস্যায় তিনি মওলানা ভাসানীর কাছে ছুটে গেছেন। গেছেন অত্যন্ত স্নেহভাজন হিসেবে। কিন্তু সহজবোধ্য কারণে শেখ মুজিব বেশিবার গেছেন গোপনীয়তার সঙ্গে। বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবকে পরামর্শ দিয়েছেন এবং কখনো তিনি ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ প্রবাদবাক্যকে গুরুত্ব দেননি।

ভাসানী-মুজিবের এ ধরনের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে চমৎকার একটি ঘটনার বর্ণনা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের ‘ভাসানীকে যেমন জেনেছি’ গ্রন্থে। তিনি লিখেছেন (পৃ. ৭৮-৭৯) : গভর্নরদের নাম ঘোষণার তিন-চারদিন আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গণভবনে গেছি। দেখি বঙ্গবন্ধু বের হচ্ছেন। দেখেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোনো কাজ আছে নাকি?’ বললাম, ‘না, এমনিই আপনাকে দেখতে এসেছিলাম।’ বঙ্গবন্ধু আর (প্রধানমন্ত্রী) ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সাহেব একটা টয়োটা গাড়িতে উঠলেন। সাধারণত বাড়িতে ফেরার সময় তিনি মার্সিডিজে ফেরেন এবং একা। আমি ভাবলাম, বঙ্গবন্ধুর পিছু পিছু তাঁর বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে বাসায় ফিরবো। ওমা! গণভবনের গেট ছেড়ে গাড়ি ডানে না গিয়ে বাঁয়ে মোড় নিলো। আমরাও পিছু নিলাম। ভাবলাম অন্য কোথাও যাবেন। ফার্মগেট থেকে শহরের দিকে না গিয়ে বাঁয়ে মোড় নিলো। আমরাও পিছু নিলাম। ভাবলাম অন্য কোথাও যাবেন। ফার্মগেট থেকে শহরের দিকে না গিয়ে গাড়ি ঘুরলো টাঙ্গাইলের দিকে। অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখে আমরা যখন চৌরাস্তা পর্যন্ত এলাম, তখনো বুঝতে পারিনি যাচ্ছেন কোথায়। চৌরাস্তায় এসে পরে বুঝলাম টাঙ্গাইল যাচ্ছেন। সত্যিই তা-ই। উনি সন্তোষ গেলেন। বাড়ির সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড়ালো। বঙ্গবন্ধু ও মনসুর ভাই হুজুরের ঘরে গেলেন। আমি প্রায় তিনশ’ গজ পেছনে রাস্তা থেকে দূরে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। খুব সম্ভবত তাদের মিনিট চল্লিশেক আলাপ হলো। আবার ছুটলেন ঢাকার দিকে। আমি পিছু নিলাম। সন্তোষ থেকে সোজা ধানমন্ডি। হাওয়ার বেগে গাড়ি ফিরে এলো। ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির মোড়ে গাড়ি থামালাম, আর এগুলাম না। কাণ্ড-কারখানা দেখার জন্য গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছিলাম। যেভাবে গাড়িটা বাড়ির ভেতর ঢুকেছিলো, মিনিট চারেক পরে সেভাবেই আবার বেরিয়ে এলো। আমি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে, তাই গাড়ির আলো সোজাসুজি আমার চোখে পড়েছিল। গাড়ি এসে আমার সামনে থামলো। দেখি পেছনে মনুসর ভাই বসা। মুখ বের করে জিজ্ঞেস করলেন, কাদের তুমি এখানে?

কি আর করবো? আপনারা ওভাবে একা একা গেলে দাঁড়িয়ে না থেকে উপায় কি?

—ও, তাহলে ড্রাইভার যে বারবার বলছিলো, কেউ আমাদের ফলো করছে সেটা ঠিক? তুমি আমাদের পিছু নিয়েছিলে?

—না নিয়ে উপায় কি বলুন। হাত চেপে ধরে বললেন, ‘খবরটা যেন বাইরে না যায়।’

এটা একটা মাত্র ঘটনা এবং এখানে এর উল্লে­খ করা হয়েছে মূলত মওলানা ভাসানীর মহানুভবতা, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তাঁর গুরুত্ব এবং ভাসানী-মুজিবের ব্যক্তিগত সম্পর্কের দিকগুলোকে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেখ মুজিব অবশ্য একবার প্রকাশ্যেও সন্তোষে গিয়েছিলেন। এটা ১৯৭৫ সালের ৮ মার্চের ঘটনা। কাগমারীতে ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজকে সরকারি কলেজে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়া ছিল ওই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে ১৯৭৫ সালের ৯ মার্চের সংবাদপত্রে সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। মওলানা ভাসানী সেবার তাঁর স্নেহাস্পদ ‘মজিবর’কে ব্যক্তিগতভাবে দোয়া করেছিলেন। কিন্তু তারও আগে তিনি স্নেহের মুজিবকে কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল উল্লেখিত কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত দরবেশ হজরত শাহ জামান (র.)-এর মাজারের অভ্যন্তরে। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে আমার পরিচিতজনরা এখনো বিভিন্ন স্থানে কর্মরত, কেউ কেউ লিখবেনও বলেছিলেন। কিন্তু কেউ লিখেছেন বলে জানতে পারিনি।

মওলানা ভাসানীর কাছে গেলেও রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে সেবার সংবর্ধনা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকীরা। অনেক তোরণ নির্মাণ করেছিলেন তারা। টাঙ্গাইল জেলার প্রবেশদ্বার গোড়াইয়ে প্রথমে নেতাকে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। সরকারি গাড়ি থেকে নামিয়ে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে তুলে নিয়েছিলেন তার নিজের খোলা জিপে। এই খোলা জিপে চড়েই রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব সেদিন টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করেছিলেন। তার দু’পাশে ছিলেন কাদের সিদ্দিকী এবং লতিফ সিদ্দিকী, বাকশালের অন্য কোনো নেতা পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পাননি। সফরের প্রতিটি পর্যায়েই কাদের সিদ্দিকী তার সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন এবং সংবর্ধনার আয়োজন পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ে তিনিই সেবার প্রধান উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিলেন। উল্লে­­খ্য, রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব পরবর্তীকালে কাদের সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইল জেলার প্রথম গভর্নর হিসেবে নিযুক্তি দিয়েছিলেন।

মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ কর্তৃপক্ষও কলেজের প্রবেশ পথে তোরণ নির্মাণ করেছিল, কিন্তু সন্তোষে তেমন কিছু হয়নি। মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবকে ‘সংবর্ধনা’ জানিয়েছিলেন অত্যন্ত অনাড়ম্বর পরিবেশে, বুকে জড়িয়ে ধরে এবং সেটাই ছিল তাঁদের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিক। সন্তোষ থেকে তাঁরা কাগমারী কলেজে গেছেন, অনুষ্ঠান শেষে আবার ফিরে এসেছেন সন্তোষে। দুপুরে রাষ্ট্রপতি মওলানা ভাসানীর সঙ্গে বসে আহার করেছিলেন। সরকারিভাবে কোনো খাবার বা খাবারের তালিকা আসেনি সেদিন, মওলানা ভাসানীর নির্দেশনায় টাঙ্গাইলের পূর্ব আদালত পাড়ায় ভাসানীভক্ত ব্যবসায়ী শেখ মোহাম্মদ সুলতানের বাসায় রাষ্ট্রপতির খাবার তৈরি হয়েছিল। এ সম্পর্কে ডিসি এসপি থেকে গোয়েন্দা সংস্থাসহ কারো কোনো ধারণা ছিল না। জিজ্ঞাসার জবাবে মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, আমার ছেলেকে আমি কী খাওয়াবো সেটা আমার ব্যাপার। তোমাদের চিন্তা করতে হবে না। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুও নাকি একই ধরনের জবাব দিয়ে বলেছিলেন, মওলানা ভাসানী আমার পিতার মতো। তিনি আমাকে কী খাওয়াবেন, সেটা তার ও আমার ব্যাপার।

এ প্রসঙ্গে লোভ সামলানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানিয়ে রাখি, বিরাট এক ‘ড্যাক’ বা ডেকচি ভরে মোরগ-পোলাও এবং পায়েসসহ একটি সাধারণ রিকশা ভ্যানে করে সেদিন খাবার সন্তোষে পৌঁছেছিল। হাজার হাজার মানুষের সামনে দিয়ে ওই ভ্যানে চড়ে দেশের রাষ্ট্রপতির ‘অপরীক্ষিত’ খাবার আমিই নিয়ে গিয়েছিলাম। সুযোগটুকু পেয়েছিলাম মওলানা ভাসানীর একজন বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে।

লেখক : সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads