• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
অথঃ চাপ সমাচার

চাপ দুই অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ হলেও এর বিস্তৃতি ব্যাপক

আর্ট : রাকিব

মতামত

অথঃ চাপ সমাচার

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

‘চাপ’ একটি অনুভূতিবিষয়ক শব্দ। চাপ চোখে দেখা যায় না, স্পর্শ করা যায় না, তবে অনুভব করা যায়। মানুষের মধ্যে এমন কেউ বোধহয় নেই, যিনি জীবনে কখনো কোনো দিন চাপ অনুভব করেননি বা চাপের মুখে পড়েননি। চাপ দুই অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ হলেও এর বিস্তৃতি ব্যাপক। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সমাজ তথা রাষ্ট্র পর্যন্ত এর প্রভাব অনস্বীকার্য।

ক্রীড়াক্ষেত্রেও চাপ বিশেষ অবস্থান নিয়ে আছে। যারা ভলিবল খেলেছেন বা এখনো খেলেন, তারা এই চাপের বিষয়টি ভালো করেই জানেন। সহযোগী খেলোয়াড়দের তৈরি করে দেওয়া বলে নেটে দাঁড়ানো খেলোয়াড় লাফ দিয়ে সজোরে প্রতিপক্ষের কোর্টে ঠেলে দিলেই তা চাপে পরিণত হয়। তীব্র গতির সে বল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের খেলোয়াড়দের পক্ষে প্রতিহত করা বেশিরভাগ সময়েই সম্ভব হয় না। আবার ফুটবলে এই চাপের বিষয়টি আসে ভিন্নভাবে, সম্মিলিত আক্রমণে। এক পক্ষ সমন্বিত আক্রমণের দ্বারা প্রতিপক্ষের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আর ক্রিকেট খেলায় চাপটি একটু অন্য ধরনের। এখানে তুখোড় ব্যাটসম্যানরা অনবদ্য চার-ছয়ের মাধ্যমে রানের পাহাড় গড়ে যেমন প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি দক্ষ বোলাররা তাদের কৌশলী বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের উইকেটে ধস নামিয়ে তাদের তীব্র চাপের মুখে ফেলে দিতে পারে। এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়। খেলার মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ওপর চাপ খেলোয়াড়দেরই সৃষ্টি করতে হয়। মাঠের বাইরে গ্যালারিতে বসে যারা খেলা দেখেন, তারা হর্ষধ্বনি করে স্ব-স্ব সমর্থিত দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে পারেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের ওপর কোনো চাপ তারা সৃষ্টি করতে পারেন না, সঙ্গত কারণেই সেটা সম্ভবও নয়।

বিষয়টি যদি আমরা রাজনীতির অঙ্গনে টেনে নিয়ে যাই, তাহলে সেখানেও চাপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে চাপের মুখে ফেলে নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে তৎপর। এটা অস্বাভাবিক বা অন্যায় নয়। গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম পূর্বশর্ত হলো- একটি রাজনৈতিক দল তার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচির দ্বারা প্রতিদ্বন্দ্বী দলকে পেছনে ফেলে জনসমর্থন আদায় করবে। এক্ষেত্রে একটি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যে দলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করবে, সে দল সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। আমাদের দেশে অবশ্য সরকার পরিচালনার এ দায়িত্বকে ‘ক্ষমতা’ বলে অভিহিত করা হয়। এই ক্ষমতা নামক অদৃশ্য অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রটি একবার হাতে আনতে পারলে সবাই তার যথেচ্ছ ব্যবহার করতে পিছপা হন না। আর সে জন্যই ক্ষমতা হাতে পাওয়ার জন্য বা যাতে তা হাতছাড়া না হয়, সেজন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে এমন সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দেখা যায়, যা মেনে নেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। যদিও এ ক্ষেত্রে আমজনতার কিছুই করার থাকে না। কারণ, রাজনীতির রাজ্যে তারা বড় অসহায়। যদিও বলা হয়, ‘জনগণই সব ক্ষমতার উৎস’, তবে এটা এখন নির্ভুলভাবেই প্রমাণিত যে, জনগণ আসলে ক্ষমতায় আরোহণের অপরিহার্য সিঁড়ি মাত্র।

এবার আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে চাই আমাদের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। স্বীকার করতেই হবে, খুব একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি সেখানে বিরাজ করছে না। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় রাজনীতির মাঠও ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নির্বাচনী খেলার মাঠের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রাণান্ত প্রয়াসে লিপ্ত একে অপরকে চাপে ফেলার। দুই দলের নেতারা বর্তমানে লিপ্ত রয়েছেন বাগযুদ্ধে। কথার শরাঘাতে কে কাকে ধরাশায়ী করবেন, সে চেষ্টাতেই তারা এখন ব্যয় করছেন সময়, মেধা এবং শ্রম। ভাদ্রের এ ভ্যাপসা গরমে নেতারা মাঠে ময়দানে বক্তৃতা করে হচ্ছেন গলদঘর্ম। তাদের এ পরিশ্রম যে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে মাঠ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার উদ্দেশ্যে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সে চাপে ফেলার কৌশল নিচ্ছে একেক দল একেকভাবে।

অতি সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে। সে বৈঠক শেষ করে লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি দেশে ফিরেছেন গত সপ্তাহে। বিএনপি মহাসচিবের হঠাৎ জাতিসংঘে গমন সঙ্গত কারণেই জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণক্রমে মির্জা আলমগীর নিউইয়র্কে গেছেন। ফলে জনমনে ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল যে, নিশ্চয়ই বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘ বিশেষ ভূমিকা নেবে এবং সে সম্পর্কে জানতে ও জানাতে এ বৈঠকের আয়োজন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জানা গেল, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিএনপি জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর যে আবেদন করেছিল, তারই প্রেক্ষিতে আলোচনার জন্য বিএনপি মহাসচিবকে সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয়েছিল। আর সে সাক্ষাৎ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে হয়নি, হয়েছে সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাভ জেনকারের সঙ্গে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর মির্জা আলমগীর ও মি. জেনেকারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ফল কী তা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে।

এটা ঠিক যে, জাতিসংঘ কর্তৃক বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটু হলেও কম্পন সৃষ্টি করেছিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এ বৈঠককে মুখে তেমন গুরুত্ব দিতে না চাইলেও তাদের কথাবার্তায় এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বিষয়টি তাদের চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। যদিও মির্জা আলমগীরের দেশে ফিরে আসার পর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত জাতিসংঘের বক্তব্য তাদের স্বস্তি দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। কেননা, এটা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আসন্ন নির্বাচনে জাতিসংঘের যে ভূমিকার প্রত্যাশা বিএনপি করছিল, তা পূরণের কোনো সম্ভাবনাই আর দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব জাতিসংঘে যাওয়ার পর থেকেই বিতর্ক চলছে, তিনি বা তার দল কাজটি সঠিক করেছে কি-না। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়াকে অনেকেই ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে নারাজ। তাদের বক্তব্য হলো, দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেশেই সমাধান করা বাঞ্ছনীয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তা নিয়ে যাওয়া দেশের জন্য লজ্জাজনক। এ প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর একটি পত্রিকাকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কথা বলা উচিত নয়, সুযোগও নেই। তারপরও তারা বলেন। এর কারণ হচ্ছে, আমরা নিজেরা নিজেদের সমস্যা আলাপ-অলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারছি না।’ বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। বিদেশি শক্তির সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে তাদের কেউ ক্ষমতায় থাকতে চায়, কেউ ক্ষমতায় যেতে চায়। জনগণের প্রতি আস্থাহীনতা এবং বিদেশিদের সাহায্য-সহযোগিতা চাওয়ার এই প্রবণতা সার্বিকভাবে গণতন্ত্রকেই দুর্বল করে।’ (সূত্র : সমকাল, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮)। এদিকে একই পত্রিকার ১৮ সেপ্টেম্বর সংখ্যায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একান্ত সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। তাতে তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জাতিসংঘে নালিশ দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা আরেক দফায় নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিয়েছে। অন্যদিকে মির্জা আলমগীর বলেছেন, তিনি দেশের রাজনৈতিক সঙ্কটের কথা জাতিসংঘে তুলে ধরেছেন। দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে তার প্রথম বৈঠক সফল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা আলমগীর পত্রিকাটিকে বলেছেন, জাতিসংঘ সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। দেশের জনগণ এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক চাপে সরকার এবার একতরফা নির্বাচন করতে পারবে না।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরদিনই দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনে তদবির চালাতে বিএনপি ওয়াশিংটনে একটি লবিং ফার্ম ভাড়া করেছে। রাজনীতিবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘পলিটিকো’র উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, আবদুল সাত্তার নামে বিএনপির একজন গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্লু স্টার স্ট্র্যাটেজিস’ এবং ‘রাস্কি পার্টনার্স’ নামের দুটি লবিং কোম্পানির সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করেছে। নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তদবির চালানোই এর উদ্দেশ্য বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিবের জাতিসংঘে গমন এবং ওয়াশিংটনে লবিস্ট নিয়োগ যে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যপ্রসূত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে সরকারের ওপর কতটা চাপ প্রয়োগ সম্ভব বা আদৌ সম্ভব কি-না। মির্জা আলমগীরের জাতিসংঘ অভিযানে তেমন কোনো ফলোদয় যে হয়নি, তা পরবর্তী সময়ে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাব জেনেকারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব যে দুটি অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তার একটিও রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। জেনেকার স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না। খবরে বলা হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব জেনেকারকে বলেছিলেন, বিএনপি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত। তবে সবার জন্য সমতামূলক পরিবেশ তৈরির জন্য জাতিসংঘকে মধ্যস্থতা করতে হবে। জেনেকা এ প্রস্তাব নাকচ করে বলে দিয়েছেন, রাজনৈতিক মধ্যস্থতার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুরোধ না এলে তারা এটি করতে পারেন না। (সূত্র : সমকাল, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮)। এ খবরের সত্যতা কতটুকু তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের অফিসিয়াল কোনো বক্তব্য এখনো আসেনি। তবে, ঘটনাক্রম বিবেচনায় এটা বলা বোধকরি অসঙ্গত হবে না যে, যে আশা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব জাতিসংঘে ধরনা দিতে গিয়েছিলেন, তা সফলতা লাভ করেনি। উপরন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটি বৃহৎ দেশের প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে লবিস্ট নিয়োগের খবর তাদের বেশ বেকায়দায়ই ফেলেছে।

যেকোনো প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষকে চাপে রাখতে হলে নিজেদের শক্তির ওপরই নির্ভর করতে হয়। খেলার মাঠে যেমন খেলোয়াড়দের শক্তি আর কৌশল প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি রাজনীতির মাঠেও যেকোনো দলের নিজস্ব সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থন সরকারের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণ তো আমাদের হাতের কাছেই আছে। ১৯৯৬ এবং ২০০৬-এ বিদেশি কত বড় বড় কূটনীতিক এলেন সমস্যার সমাধান করতে! কিন্তু তারা পেরেছিলেন কিছু করতে? দুটো ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ তাদের সাংগঠনিক শক্তির জোরে মাঠ দখলে নিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করেছে। সুতরাং সরকারকে যদি চাপে ফেলতেই হয়, সেজন্য বিএনপিকে বিদেশের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি এবং তা কাজে লাগিয়ে কীভাবে সামনে এগোনো যায়, সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads