• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

ছোঁয়া নেই

  • আবদুল মতিন খান
  • প্রকাশিত ০৭ অক্টোবর ২০১৮

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-৪৫) পর থেকে, বলা চলে ওই যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের মাঝামাঝি থেকে, জাতীয়তাবাদ কথাটা চাউর হয়ে ওঠে। সমকালীন সময়ের পৃথিবী, উল্টোটা শোনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে, পুরোপুরি জাতীয়তাবাদী। এই জাতীয়তাবাদ মোটামুটি ভাষাভিত্তিক। যে জনগোষ্ঠী যে ভাষায় কথা বলে তারা সেই জাতীয়তার। তাতে দ্বিভাষী এবং বহুভাষী জাতি ও দেশ আছে। পৃথিবীর দেশ ও জাতিগুলোর আর একটি বৈশিষ্ট্যও লক্ষণীয়। এ বৈশিষ্ট্যটি হলো শাসন চরিত্র নির্বিশেষে তাদের একটি সংসদ থাকা, ব্যতিক্রম দু’একটা বাদে, যেটা জনভোটে নির্বাচিত। চরম স্বৈরশাসকও একটা নির্বাচিত সংসদ রাখে তার প্রতি জনসমর্থন আছে বোঝাতে।

বাংলাদেশও এর ভেতরে পড়ে। বাংলাদেশ একটি ভাষাভিত্তিক দেশ। বাংলাদেশের বিপুল বিশাল অস্ট্রিক-ডেভিড জনগোষ্ঠীর মধ্যে অল্প সংখ্যার এবং ভিন্ন জাতের কিছু মানুষ বাস করে। বিলুপ্ত বৃহৎ বাংলাভাষীর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন নিরন্তর যোগাযোগ ও মেলামেশার দরুন তারা বাংলায় স্বচ্ছন্দে কথা বলতে পারে। তাদের নিজস্ব ভাষায় বই-পুস্তক না থাকায় তারা বাংলায় শিক্ষাগ্রহণ করে। এভাবে তাদের অনেকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে ডিগ্রি নিয়ে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত এবং উচ্চ আয়ের ব্যবসায়ে লিপ্ত হতে পেরেছে। ক্ষুদ্র এসব নৃগোষ্ঠীসহ বাংলায় কথা বলা মানুষ নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি গঠিত।

নৃগোষ্ঠীর বিচারে এবং খাওয়া-পরা বিবেচনায় নিলে বাঙালি এক এবং অভিন্ন জাতি। এদের আচার-আচরণ চিন্তা-চেতনাও এক। এর দরুন তাদের দ্বারা একটি মজবুত জাতি গঠন অলীক কল্পনা বিলাস নয়। কিন্তু সে লক্ষ্যে আজতক কোনো কাজ হয়েছে বলে চোখে পড়ে না। ফলে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ও তাতে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে আবোল-তাবোল কথা বলা অবিরাম চলছে। এর সর্ব শেষের অবস্থা হলো তাদের প্রতিহত ও হেয় প্রতিপন্ন করতে চলছে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন। মুক্তিযুদ্ধকে হেয় ও প্রশ্নবিদ্ধ করা যাদের মতলব, এর দ্বারা তাদের উদ্দেশ্যই সফল হচ্ছে। তারা প্রকাশ্যে সমঝোতার কথা বললেও তাদের প্রতিপক্ষকে মাত্রার বাইরে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখে আড়ালে অট্টহাসিতে পড়ছে ফেটে। মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা এগুলো বাঙালির জন্য আহ্নিক গতি বার্ষিক গতির মতোই স্বতঃসিদ্ধ ঘটনা। যে বা যারা ভিন্ন বলবে, তারাই হেয় ও হাস্যাস্পদ হবে। নির্বাচনের রাজনীতিতে উৎখাত হয়ে যাবে। সেটা তারা জেনেও জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংস কর পন্থায় ক্ষমতা দখলের উদ্যোগ নিয়েছিল, সাংবিধানিক এবং নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় হবে না বুঝে। কয়েক লাখ কোটি টাকার জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট করেও জন ঘৃণার কারণে তারা চরম ব্যর্থ হয়ে এখন অভিজাত এলাকার অফিসকক্ষে অথবা পাঁচ-সাত তারা হোটেলের লাউঞ্জে অভিজাত খাদ্যবস্তু দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা রেখে প্রতিদিন যখন-তখন সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অসত্য বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। মুখে যা আসে তাই অনবরত বলার সুযোগ পেয়েও বলছে দেশে গণতন্ত্র নেই! নেই বাক-স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা! জনসমর্থন না থাকায় তাদের এসব বাক-সর্বস্ব কার্যক্রম অচিরে বন্ধ হয়ে যাবে। এতদিনে হয়ে যেত, যদি না তাদের ইউরোপ-আমেরিকার পেছনের সুতো টানারা কিছু দিন পর পর দফায় দফায় এসে পিঠ চাপড়ে দিয়ে তাদের মনোবল চাঙ্গা না রাখত। বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর ভর করে বাংলাদেশের দাঁড়িয়ে থাকার কথা। সেটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পাশাপাশি বসবাস করেও বাঙালির এক হতে ব্যর্থ হওয়া। বাঙালি বালির মতো। বালি পাশাপাশি থাকে, কিন্তু মাটির মতো মিলে যেতে পারে না। তাই বালি দিয়ে বাঁধ দেওয়া যায় না। দিতে গেলে লাগে মাটি। এর জন্যই ভঙ্গুর মৈত্রীকে বাংলা প্রবাদে বলে বালির বাঁধ।

তবে বাঙালি পুরোপুরি বালি নয়। মাটির গুণও তার মধ্যে আছে। আছে বলেই তারা গণআন্দোলন করতে পারে এবং তাতে সফল হয়। তবে চরিত্রে বালির গুণ ভূরি পরিমাণ থাকায় সফলতা ধরে রাখতে পারে না। বালি-কণা যেমন দেখতে এক, বাঙালির কথাও তেমনি। এক বাঙালি থেকে অন্য বাঙালি পৃথক করা যায় না। কিন্তু বাঁধন না থাকায় তারা পৃথক হয়ে যায়। কখনো অন্যের উসকানিতে, কখনো নিজ উদ্যোগে। বেশি পেছনের ইতিহাসে যাওয়ার দরকার নেই, সাম্প্রতিক ইতিহাসের দিকে তাকালেই বাঙালির পৃথক হওয়ার বিষয়টি চোখে পড়বে। অন্যের উসকানিতে বাঙালির পৃথক হওয়ার দৃষ্টান্ত ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গ এবং স্বউদ্যোগে আলাদা হওয়ার দৃষ্টান্ত ১৯৪৭-এর ভারতবর্ষ ভাগের পরিণতিতে দ্বিতীয় বঙ্গভঙ্গ। দুটি বিভক্তির আদৎ কারণ ছিল সুবিধাভোগী উচ্চবিত্তদের স্বার্থরক্ষা। ইতিহাসের দুটি মুহূর্তের বিভক্তি দ্বারা উপকৃত হয়েছিল বিত্তবান উচ্চবর্ণ হিন্দু। তারা দ্বিতীয় বিভক্তির পর ব্যাপক হারে দেশত্যাগ করলে বাংলাদেশে যারা পড়ে রইল সব অস্ট্রিক- ডেভিড জনগোষ্ঠীর স্বল্প আয়ের কৃষিজীবী ও গতরখাটা মানুষ। তারা ছিল বর্ণহিন্দুর দ্বারা শাসিত ও শোষিত। দ্বিতীয় বিভক্তির প্রতি তাদের সায় ছিল এবং প্রথমবারের মতো তারা রাজনীতিতে অংশ নিয়ে বর্ণহিন্দু শোষণ-নির্যাতনমুক্ত একটি সমাজ পেতে তুমুল আন্দোলন করে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। সে রাষ্ট্রে তাদের অবস্থার পরিবর্তন না হয়ে আরো খারাপের দিকে যাওয়ায় এবং সে রাষ্ট্রে তাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করতে তাদের মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া দেখে তাদের হুঁশ ফিরে আসে। তারা ভাষা রক্ষা ও সেই সঙ্গে দেশ পুনরুদ্ধারের জন্য লাগাতার ২৩ বছর রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ও শেষে মুক্তিযুদ্ধ করে নিজেদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, যার নাম বাংলাদেশ। বাঙালির সমগ্র ইতিহাসে প্রথম একটি বাঙালি রাষ্ট্র। বাঙালির রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নিরাপোষ লাগাতার নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ জন্য তাকে বলা হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

অতীতে বাঙালি বিভক্ত ছিল উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণে। ধর্মের প্রভাবে হিন্দু ও বৌদ্ধে এবং শেষে হিন্দু ও মুসলমানে। সর্বশেষ বিভক্তির পর অবস্থার ইতর বিশেষ না ঘটলে ধর্মের বিভক্তির প্রভাব লোপ পেয়ে যেতে থাকে। এই লোপ পাওয়া ত্বরান্বিত হয় জীবনযাপনে পাশ্চাত্য প্রভাব এবং তাপ ও জৈব জ্বালানিভিত্তিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে সর্বজনীনতা পেতে থাকলে। যন্ত্র উৎপাদন ও সেটা ভোগের কাজে লাগতে শুরু করলে। অনেকটা বিস্তৃতভাবে সম্প্রতি এটা ঘটছে একটি ব্যক্তির নেতৃত্ব দেওয়ায়। এই মানুষটি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তার ‘ভিশন’ আছে, যা আজ পর্যন্ত কোনো নেতার মধ্যে দেখা যায়নি। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশ হবে। ইতোমধ্যে প্রবৃদ্ধির হার বার্ষিক ৬.৪ হয়ে যাওয়ায় (ইউরোপ-আমেরিকা ও জাপানে এই হার ২.৫%-এর বেশি নয়) বিশেষজ্ঞগণ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ২০২৫-এর মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ হবে। পাশ্চাত্যের সুদখোরদের লগ্নি সংস্থাগুলো পদ্মা সেতুর কাজ আরম্ভ হওয়ার আগেই দুর্নীতি হয়েছে মিথ্যা অভিযোগ তুলে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করার উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে বাগে আনা। শেখ হাসিনা এর জবাব দেন ওদের টাকা না নিয়ে বাংলাদেশের অর্জিত টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ ২০১৮-এর মধ্যে শেষ হওয়ার ঘোষণা দিয়ে। সেতু নির্মাণের কাজ এর মধ্যে ৩০% শেষ হয়েছে। কেবল পদ্মা সেতু নয়, আরো বড় বড় প্রজেক্ট যথাসময়ে শেষ হওয়ার পথে। এসব দেখে পাশ্চাত্যের অপশক্তিগুলো তাদের ম্যাঙ্গো এবং খালি ব্যাগ- এর অন্তত একটি রক্ষার্থে তাদের সুদে টাকা খাটানো অর্থের প্রবাহ বাংলাদেশে ঠিক রাখতে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশকে নিম্নমধ্য আয়ের দেশ বলে ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অযাচিত এই পিঠ চাপড়ানো শেখ হাসিনাকে যে খুশি করতে, তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তাকে খুশি রাখতে তারা তাকে তাদের নানা ‘সম্মানে’ ভূষিত করে চলেছে। বিলম্বে হলেও শেখ হাসিনা যে অপ্রতিহত, তা বুঝতে পেরে তারা গলার স্বর নামিয়ে নিয়েছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অর্জনই প্রকৃত অগ্রগতি। বাংলাদেশ এখন সেই অগ্রগতির পথে হাঁটছে। তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মশক্তি বেড়ে যাওয়ায় খেলাধুলায় তার উন্নতি হয়েছে। ক্রিকেট, ফুটবল ও জিমন্যাস্টিকসে তার সাফল্যের খবর বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এগুলো এখনো আত্মতৃপ্তির স্তরে পৌঁছেনি। দেশের তিরিশ শতাংশ মানুষ দু’বেলা খেতে পরতে পায় না। যখন তারা পাবে, কেবল তখন প্রকৃত অর্থে দেশ মধ্য আয়-উচ্চ আয় প্রভৃতির দেশ বলে দাবি করতে পারবে। তার আগ পর্যন্ত সব দাবি টেনটেটিভ অর্থাৎ সম্ভাব্য। খেলাধুলায় উচ্চ স্থানটিও।

ভাষাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র গঠিত হওয়ায় এর প্রতিষ্ঠাতারা সংবিধান প্রণয়নকালে সেক্যুলারিজমকে মূল আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। সেক্যুলারিজম অর্থ হলো ইহজাগতিকতা! রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে ধর্ম ভূমিকা পালন করবে না; প্রত্যেক নাগরিক তার বিশ্বাস ও আচার অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করবে। যার ধর্ম পালনে আগ্রহ নেই তার ধর্ম পালন না করারও অধিকার থাকবে। কিন্তু এই সদিচ্ছা ব্যাহত করার লোকের অভাব ছিল না। তারা ধর্ম পালনের অপব্যাখ্যা ধর্মপ্রিয় লোকদের কাছে উপস্থিত করে সেক্যুলারিজমের অর্থ ধর্মহীনতা বলে রটায়। তারা এটা পারে সেক্যুলারিজমের অর্থ ইহজাগতিকতার জায়গায় ধর্মনিরপেক্ষতা করায়।

ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ আর যাই হোক ইহজাগতিক সমাজ নয়। ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে প্রত্যেকে যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার অধিকার পাওয়ায় সংখ্যায় যে ধর্মের মানুষ বেশি তাদের পালনটা হয় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ও জাঁকজমকের। পরমত ও পরধর্ম সহিষ্ণু বাংলাদেশে ধর্ম পালন নিয়ে কখনো দাঙ্গা কিংবা বিবাদ হয় না। পৃথিবীর সব সুন্নিপ্রধান দেশে শিয়াদের ধর্ম পালনে শুধু বাধা দেওয়া নয়, থেকে থেকে তাদের হত্যাও করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে তা হয় না। এ দেশের সুন্নিরা শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে কেউ কেউ অংশও নেয়। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে তাজিয়া মিছিলে মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে শিয়া-সুন্নি সম্প্রীতি নষ্ট করতে গিয়ে যে গ্রেনেড হামলা চালায় তাতে নিহত ছেলেটি ছিল সুন্নি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করতে পূজামণ্ডপেও মৌলবাদীরা কয়েক জায়গায় হামলা করে। এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ হয়। সরকারও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে তা সঙ্গে সঙ্গে দমন করে।

তবু ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিজেদের নিরাপদ মনে করে না প্রশাসনের সর্বস্তরে তাদের ঢালাও নিয়োগ দেওয়া সত্ত্বেও। তারা তাদের নিরাপত্তার জন্য ঐক্য পরিষদ গঠন করেছে। ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষায় তাদের তথাকথিত এই ঐক্য পরিষদ প্রকারান্তরে হয়ে গেছে একটি মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সংগঠন, সংখ্যালঘুদের মৌলবাদী সংগঠনটির অনুরূপ। তাদের মুখের ও দেহের ভাষা মৌলবাদী, সেক্যুলার নয়।

আধুনিকতার ছোঁয়া মনে না লাগা পর্যন্ত এসব অসহিষ্ণুতা চলবেই। ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, আধুনিকতার ছোঁয়া পেতে দরকার হবে ইহজাগতিকতার অবিরাম নিরলস অনুশীলন, ঘরে এবং বাইরে। তার ছোঁয়া কোথায়?

 

লেখক : রাষ্ট্রনীতি ও সমাজবিকাশ বিষয়ে সন্ধিৎসু

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads