• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

সম্ভাবনা বাস্তবায়নে চাই ধারাবাহিক উদ্যোগ

  • ইউসুফ শরীফ
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৮

মানুষ যখন বিপন্নদশায় পতিত হয় কিংবা এ রকম আশঙ্কা দেখা দেয়, তখন উদ্ধার পাওয়ার জন্য তার পূর্ণশক্তি প্রয়োগ করে। বিপন্নদশা থেকে বাঁচার জন্য এ ছাড়া তার সামনে আর কোনো বিকল্প থাকে না। বিকল্পরহিত অবস্থায়ই মানুষ সবটুকু শক্তি ব্যবহার করে— জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। আবার মানুষ অনেক শ্রম-সাধনায় যখন ভাগ্য পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়, তখন সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে- এটা স্বাভাবিক প্রবণতা হিসেবে গণ্য হলেও এই প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন সর্বত্র সবসময় লক্ষ করা যায় না। প্রাপ্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করেনি, সমাজে এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর এই ব্যতিক্রমী মানুষ যতই আফসোস করুক, তাতে তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটে না। নতুন করে সুযোগ আসে এমন ঘটনা সাধারণত খুব কমই ঘটে। এজন্যই হয়ত বলা হয়— ‘জীবনে সুযোগ একবারই আসে।’

মানব জীবনের এই প্রক্রিয়া এবং এর ইতি-নেতি বিষয় হিসেবে মোটেই নতুন নয়। সবার জানা আছে বলেই বিশদ ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন। তবে প্রথমোক্ত ক্ষেত্রে বলতে হয়, এই যে বিপন্নদশা কিংবা এর আশঙ্কা, তা আগেভাগে হূদয়ঙ্গম করতে পারা অতীত-অভিজ্ঞতা এবং বোধ-অনুভূতি নির্ভর, অর্থাৎ জানতে হয় ও বুঝতে হয়। আর শেষোক্ত ক্ষেত্রে বলতে হয়, মানব জীবনের চিরায়ত এই অভিজ্ঞতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যথাসময়ে ইতি-কর্তব্য নির্ধারণ করে কর্ম-প্রক্রিয়ায় নেমে পড়তে হয়। মানব জীবনে সুযোগ দীর্ঘস্থায়ী হয় না বলেই এই প্রবাদ প্রচলিত হয়েছে যে, ‘সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের শত ফোঁড়।’ ব্যক্তি-জীবনের মতো দেশ-জাতির জীবনেও এই বিষয়গুলো সমভাবে প্রযোজ্য। পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র এই তিনের পরিচালনা-প্রক্রিয়ায় প্রায় একই রকম সমতা লক্ষ করা যায়। পার্থক্য যা তার অনেকটাই শুধু মাত্রার। মনন-সভ্যতা আর বস্তু-সভ্যতা— এই দুই ছাড়া মানব-সভ্যতা পূর্ণতা পায় না এবং সক্রিয়ও হতে পারে না। মনন-সভ্যতা মানুষের বোধ-চৈতন্য শানিত ও জাগ্রত রাখে, মন-মানসিকতাকে মানবীয় আবেগ-আকুতিতে সিক্ত করে, যা জীবনের কল্যাণ-রূপ নির্মাণে অপরিহার্য। বস্তু সভ্যতা এই কল্যাণ-রূপ নির্মাণের উপকরণ জোগায়। উপকরণের বিপুল সমাহার থাকা সত্ত্বেও মানবের জন্য এই কল্যাণরূপ নির্মাণ অনেক ক্ষেত্রেই সুদূরপরাহত থেকে যেতে পারে এবং থেকে যায়ও। এজন্যই বলা হয়, মনন-সভ্যতা ও বস্তু-সভ্যতা যেখানে সমান্তরালে প্রবাহিত হতে পারে, সেখানেই মানব-কল্যাণ স্থায়ী রূপলাভ করতে পারে। 

নিকট অতীতের দিকে ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাই— একুশ শতকের প্রথম দশকের শেষদিকে সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় আক্রান্ত, তখন অনেক দেশের অর্থনীতি মন্দার বিরূপ প্রভাবে বিপন্নদশায় পতিত হয়েছিল। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলোও মন্দা কাটানোর লক্ষ্যে নানা বিধি-ব্যবস্থা গ্রহণ করছিল। অর্থনৈতিক মন্দাকাল কাটিয়ে টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশকে স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি কুশলী হতে হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলো যতটা সঙ্কটে পড়ে, ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশগুলো ততটা পড়ে না। দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক মন্দাকালে বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশের রফতানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দেয় এবং এই সম্ভাবনা অনেক সময় ব্যাপক হয়ে ওঠে। কারণ এসব দেশে সস্তায় কাঁচামাল ও শ্রমিক পাওয়া যায় বলে উৎপাদন ব্যয় অনেক কম। এই সম্ভাবনাটি তখন কোন পর্যায়ে ছিল এবং এর গতি-প্রকৃতিইবা ছিল কী? সর্বোপরি এ ব্যাপারে কতটা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল? এসব প্রশ্ন কিছু কিছু যে ছিল না, তা নয়। তারপরও সবাই না হলেও কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী নেতা তখন এই মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশের সামনে ওই সময়টাতে সম্ভাবনা ছিল।

জাতি হিসেবে ওই মুহূর্তে আমরা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়টিকে কীভাবে গ্রহণ করছিলাম, এটা বিবেচনা করলে বোঝা যাবে আমরা সত্যিকারভাবে কতটা সচেতন এবং কতটা উদ্যমমুখর ছিলাম। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে সে সময়টার সংবাদমাধ্যমে বিস্তর খবর ও আলোচনা-পর্যালোচনা প্রকাশিত হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকার, রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের পক্ষ থেকে যেসব মতামত প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মোটামুটি এটাই বলা হয়েছিল যে, এই মুহূর্তে বিশ্বমন্দার বড় ধরনের আঘাত হয়ত বাংলাদেশের ওপর পতিত হচ্ছে না, তবে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই দরকার। এই সতর্কবাণীর বাস্তব কিছু আভাসও তখন লক্ষ করা গিয়েছিল। বিশেষ করে জনশক্তি রফতানি খাতে এটা দেখা দেয়। যেসব দেশে বাংলাদেশের  সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবী মানুষ কর্মরত, সেসব দেশ থেকেও কিছু কিছু শ্রমিককে দেশে ফিরে আসতে হয়েছিল এবং ক্ষেত্রবিশেষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিকের কলিং ভিসা বাতিলের মতো ঘটনাও ঘটেছে। দ্বিতীয়ত, গার্মেন্ট সেক্টরেও কিছু কিছু প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল। ইউরোপ-আমেরিকায় মন্দা পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করে। তৈরি পোশাকের মূল্য কমে যায়, ক্রেতাদের আগ্রহেও কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, সব পোশাক রফতানিকারক দেশের জন্য বড় ধরনের পতনের আশঙ্কা তখন দরজায় কড়া নাড়ছিল। এই অবস্থায় পোশাক খাতে প্রতিযোগিতা আরো তীব্র হয়ে ওঠাই ছিল স্বাভাবিক।

আশার কথা, ওই বিশ্বমন্দা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রফতানি বাণিজ্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও সরকারের শুধু শঙ্কা এবং ভাবনার বিষয় হয়ে থাকেনি। বাস্তবতার নিরিখে তা সম্ভবও ছিল না। কারণ সার্বিকভাবে গার্মেন্ট সেক্টর এবং জনশক্তি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে, তার সঙ্গে পরোক্ষ-প্রত্যক্ষে জড়িত নয়, দেশে এমন লোকের সংখ্যা সত্যিই আণুবীক্ষণিক। রাজনৈতিক নানা জটিলতা সামলেও যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে, জিডিপি বেড়ে চলেছে, তা মূলত এই দুটি সেক্টরের আয়ের জন্যই। বুদ্ধিজীবী, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাসহ সচেতন মহল তো বটেই, এমনকি অতি সাধারণ মানুষও তখন বিশ্বমন্দা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাদের উদ্বেগের কারণ ওই মন্দা বাংলাদেশের জন্য না জানি কতটা ক্ষয়ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসে!

আজকের যুগে শুধু যোগাযোগ নয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও পারস্পরিক লেনদেন প্রক্রিয়ায় এমনভাবে ডালপালায় জড়ানো যে, কোনো দেশেই নিজের চারপাশে দেয়াল তুলে আন্তর্জাতিক সমস্যা-সঙ্কটের ঘাত-অভিঘাত ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। উনিশ-বিশ হলেও প্রতিক্রিয়ার শিকার হতে হয় প্রায় সব দেশকেই। বাংলাদেশ পুরোপুরি এর বাইরে থাকবে, এমনটা আশা করা যাবে কী করে। আমেরিকার মতো বিশাল অর্থনীতির দেশও সেদিন বিশ্ব-অর্থনৈতিক মন্দায় একেবারে কুপোকাৎ হয়ে গিয়েছিল। মন্দার কিছুদিন আগেও কারো কাছে এ রকম দৃশ্য বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দার গ্রাসে পড়েছিল অনেকটা ভোজবাজির মতোই। অর্থনৈতিক মন্দার গ্রাসের শক্তি এ থেকেই ভালোভাবে আঁচ করা যায়। তাই সবাই কমবেশি বলেছিলেন, বাংলাদেশে এখনো সরাসরি মন্দার গ্রাস নেমে আসেনি, কিন্তু আসতে কতক্ষণ। আমেরিকা, ইউরোপের সব ধনী দেশ, চীন-জাপানের মতো এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ যে মন্দায় বিচলিত-বিপর্যস্ত, সেই মন্দায় বাংলাদেশের মতো তৎকালীন স্বল্পোন্নত দেশে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে, এটা সেদিন যাদের বোঝার কথা তারা বুঝতে পেরেছিলেন। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা নিজেদের মন্দার নানাদিক নিয়ে কথা বলেছিলেন এবং তারা কথা বলেছিলেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন বিশ্বমন্দার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। সরকারের পক্ষ থেকে আগাম যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার, তা করার নির্দেশও যথাসময়ে দিয়েছিলেন।

মন্দা মোকাবেলায় সেদিন যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয়। বলা যায়, সেসবই মন্দাবস্থা থেকে আত্মরক্ষামূলক প্রস্তুতি হিসেবে গণ্য। বলা হয়ে থাকে, মন্দা বা এ রকম কোনো বিপর্যয় ক্ষতি করে যার আছে, তার। কিন্তু যার বিশেষ কিছু নেই, তার কী ক্ষতি করবে? এসব প্রশ্নে এটা মনে করার কোনোই কারণ নেই যে, মন্দা মোকাবেলায় গৃহীত প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়; কিংবা কোনো প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাই নেই। বিশ্বমন্দাকালে এ রকম কোনো দেশ আত্মরক্ষামূলক প্রস্তুতির পাশাপাশি কোনো সুযোগ বা সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেছিল কি-না এবং তা ব্যবহারের লক্ষ্যে কোনো কুশলী ও উদ্যমী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পেরেছিল কি না— এ প্রশ্ন নিঃসন্দেহে জরুরি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে পৌঁছছে। চলমান এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতেও এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ গত এক দশকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একুশ শতকের প্রথম দশকের শুরুর দিকের অবস্থা পেছনে ফেলে সামনে এগিয়েছে অনেক দূর। দেশের অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞরা কমবেশি সবাই এমন কথা সব সময়েই বলছেন যে, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে শ্রমঘন শিল্পের রফতানি সম্ভাবনা বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে পারে। সেদিনের বিশ্ব মন্দাকালে বাংলাদেশস্থ ইউরোপীয় কূটনীতিকদের কেউ কেউ এ কথাও বলেছিলেন যে, বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনুকূলে গিয়ে সম্ভাবনা হিসেবেও দেখা দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দার বহুমুখী প্রতিক্রিয়া সমগ্র বিশ্বে বিশেষ করে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে ছড়িয়ে পড়ছে। এই মন্দাবস্থায় উন্নত বিশ্বে ব্যাপক হারে ভোক্তাসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং এ কারণে তাদের তুলনামূলক সস্তা দামের ভোগ্য পণ্যসামগ্রী ক্রয়ের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করবে। আর বাংলাদেশ যেহেতু অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের উন্নতমানের পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করে থাকে, সেই প্রেক্ষিতে উন্নত বিশ্বের ক্রেতাসাধারণের বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের প্রতি আগ্রহী হওয়ার যথেষ্ট বাস্তব কারণ ও সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ও অন্যান্য পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার প্রসারের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

এফবিসিসিআইর একজন উপদেষ্টা ও বাণিজ্য বিশ্লেষকও ওই সময় বলেছিলেন, ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশের যে তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে পড়বে, তা হলো— রফতানি, রেমিট্যান্স ও আমদানি এবং বলাবাহুল্য এর সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ইতিবাচক ফল লাভ করবে, যদি সরকার দ্রুত সময়োচিত পদক্ষেপ নেয়। জ্বালানি তেলসহ খাদ্যদ্রব্য, স্টিল, প্লাস্টিক, এডিবল ওয়েল, সার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল র’ ম্যাটেরিয়াল প্রভৃতির দাম বিশ্ববাজারে সম্প্রতি যেভাবে পড়ে গেছে, তাতে বাংলাদেশ ব্যাপক ইমপোর্ট বেনিফিট পাবে, যা বাংলাদেশের শিল্প সেক্টর ও রফতানিকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করবে।’

বিশ্বমন্দায় বাংলাদেশের এই সম্ভাবনাকে এককথায় নাকচ করে দেওয়া যাবে না। শিল্পোন্নত ধনী দেশগুলোর অর্থনীতি যখন মন্দার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন স্বাভাবিকভাবেই কম মূল্যের পণ্যের চাহিদা সেসব দেশে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ এই সুযোগটি প্রচলিত ও অপ্রচলিত— উভয় রফতানি খাতে ব্যবহার করতে পারে। কারণ উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ায় পণ্যের মূল্য কম হবে আর সেজন্যই এই সম্ভাবনা। উন্নত দেশগুলোতে মন্দার কারণে যখন উচ্চ বেতনের শ্রমিক ছাঁটাই চলে। তখন সেই শূন্যতা বেশ ভালোভাবেই পূরণ করতে পারে বাংলাদেশ।

স্মরণ রাখতে হবে, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও সামনে রয়েছে উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য।

 

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads