• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মাইকেল থেকে তিতলি : বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়

সামুদ্রিক ঝড় ‘মাইকেল’ এর স্যাটেলাইট চিত্র

সংগৃহীত ছবি

মতামত

মাইকেল থেকে তিতলি : বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়

  • তারেক শামসুর রেহমান
  • প্রকাশিত ১৬ অক্টোবর ২০১৮

শেষ অব্দি বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় না ঘটিয়েই সামুদ্রিক ঝড় ‘তিতলি’ বাংলাদেশ অতিক্রম করে গেছে। ‘তিতলি’ আঘাত হেনেছে ভারতের উড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ আর পশ্চিমবঙ্গে। প্রায় একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সামুদ্রিক ঝড় ‘মাইকেল’ সেখানে আঘাত হেনে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটিয়েছে। মাইকেল কিংবা তিতলির মতো সামুদ্রিক ঝড় সিডর (২০০৭), আইলা (২০০৯), নারগিস (২০০৮), বিজলি (২০০৯) ইত্যাদির সঙ্গে আমরা মোটামুটিভাবে পরিচিত। প্রতিবছরই এই সামুদ্রিক ঝড় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটায়। বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ছে। এর ফলে জন্ম হচ্ছে এসব সামুদ্রিক ঝড়ের। বিশ্বের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কপ-২১ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল প্যারিসে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। পরের বছর জাতিসংঘ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে স্বাক্ষর করেছিল ১৭০টি দেশ। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি হয়েছে সামান্যই। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এই কপ-২১ চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ায় এই চুক্তির ভবিষ্যৎ এখন বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে। বিশ্বের উষ্ণতা রোধকল্পে এক এক গ্রুপভুক্ত দেশের এক এক এজেন্ডা। উন্নত বিশ্ব কিংবা উন্নয়নশীল বিশ্বের যে দাবি, তার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। আবার উন্নয়নশীল বিশ্বও একাধিক গ্রুপে বিভক্ত। ধনী দেশগুলো এনেক্স-১-এ অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের জিডিপির শতকরা ৭৫ ভাগ এই দেশগুলোর। অথচ লোকসংখ্যা মাত্র বিশ্বের ১৯ ভাগ। কিন্তু কার্বন নিঃসরণ করে সবচেয়ে বেশি, শতকরা ৫১ ভাগ। অন্যদিকে গ্রুপ-৭৭-এর দেশগুলো (মোট ১৩০টি দেশ) বিশ্বের জনসংখ্যার ৭৬ ভাগ, জিডিপির মাত্র ১৯ ভাগ। কিন্তু কার্বন উিগরণ করে ৪২ ভাগ। আবার সাগর পারের দেশগুলো, যারা বিশ্বের জনসংখ্যা, জিডিপি ও কার্বন নিঃসরণ করে মাত্র ১ ভাগ, তাদের দাবি ছিল ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বর্তমান অবস্থার চেয়ে শতকরা ৮৫ ভাগ কমিয়ে আনার। বনাঞ্চলভুক্ত দেশগুলো, যারা ‘রেইন ফরেস্ট কোয়ালিশন’ হিসেবে পরিচিত, তারা বিশ্ব জনগোষ্ঠীর ১৯ ভাগের প্রতিনিধিত্ব করে। জিডিপির মাত্র ৩ ভাগ তাদের। আর মাত্র ৪ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করে। যুক্তরাষ্ট্র একা কার্বন নিঃসরণ করে ২০ ভাগ, জিডিপির ৩০ ভাগ তাদের। অথচ জনসংখ্যা মাত্র বিশ্বের ৫ ভাগ। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বিশ্ব জিডিপির ২৫ ভাগ ও জনসংখ্যার ৮ ভাগের প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণ করে ১৫ ভাগ। চীনকে নিয়ে সমস্যা এখন অনেক। চীন একা কার্বন নিঃসরণ করে ২১ ভাগ। বিশ্ব জনসংখ্যার ২০ ভাগই চীনা নাগরিক। জিডিপির ৬ ভাগ তাদের। প্রতিটি গ্রুপের অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন। সবাই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে কার্বন নিঃসরণের হার কমাতে চায়। জাতিসংঘ এটাকে বলছে কার্বন ঘনত্ব। অর্থাৎ দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা মোট আয়ের (জিডিপি) অনুপাতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড উিগরণের হারকে কার্বন ঘনত্ব বা গ্রিন হাউজ গ্যাসের ঘনত্ব বলা হয়। উন্নয়নশীল বিশ্ব মনে করে, এই হার মাথাপিছু জনসংখ্যা ধরে করা উচিত। কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের হার কমানো উচিত- এটা মোটামুটিভাবে সবাই মেনে নিয়েছেন। কিন্তু কে কতটুকু কমাবে, সে প্রশ্নের কোনো সমাধান হয়নি। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও চীন (এবং সেই সঙ্গে ভারতও) বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দূষণ ছড়ায়, সে কারণে এই দুটো দেশের কাছ থেকে ‘কমিটমেন্ট’ আশা করেছিল বিশ্ব। কিন্তু তা হয়নি। চীন প্রস্তাব করেছিল, ২০০৫ সালের কার্বন ঘনত্বের চাইতে দেশটি ২০২০ সালে শতকরা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কমাবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ছিল তারা ১৭ ভাগ কমাবে। কিন্তু চীন ও ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এখানে বলা ভালো, চীনের কার্বন ঘনত্ব ২.৮৫ টন, আর ভারতের ১.৮ টন। চীন ও ভারত দুটো দেশই বড় অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে এই শতাব্দীতেই। বিশ্বব্যাংকের উপদেষ্টা হরিন্দর কোহলির মতে, আগামী ৩০ বছরে ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। মাথাপিছু আয় তখন ৯৪০ ডলার থেকে বেড়ে ২২ হাজার ডলারে উন্নীত হবে। ২০০৭ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত অবদান রাখত মাত্র ২ ভাগ, ৩০ বছর পর অবদান রাখবে ১৭ ভাগ। তবে এটা ধরে রাখতে হলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হতে হবে ৮ থেকে ৯ ভাগ। এ কারণেই ভারতকে নিয়ে ভয়- তাদের কার্বন ঘনত্ব বাড়বে। কেননা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে হবে। আর তাতে করে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়বে। পাঠকদের এখানে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ১৯৯৭ সালে কিয়োটো সম্মেলনে ১৬০টি দেশ অংশ নিয়েছিল এবং সেখানে যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৯৯০ সালের কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের মাত্রার চেয়ে ৮ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র ৭ শতাংশ, জাপান ৬ শতাংশ হ্রাস করার কথা ছিল। তা ছাড়া সার্বিকভাবে ৫.২ শতাংশ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের আইনগত বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল সব দেশকে ২০০৮-২০১২ সালের মধ্যে গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। তৎকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর কিয়োটো চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও পরে রুশ প্রশাসন ওই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে কিয়োটো চুক্তি কাগজ-কলমে থেকে গিয়েছিল। তবে প্যারিসে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এই চুক্তির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।

বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে যে ক’টি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের উপকূলে প্রতিবছর ১৪ মিলিমিটার করে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গত ২০ বছরে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ সেন্টিমিটার। সমুদ্রের পানি বেড়ে যাওয়ায় উপকূলের মানুষ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি ৭ জনে ১ জন আগামীতে উদ্বাস্তু হবে। ১৭ ভাগ এলাকা সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে। বাংলাদেশ কোপেন হেগেন ‘কপ’ সম্মেলনে পরিবেশগত উদ্বাস্তুদের Universal Natural Person হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি। অতীতে ‘কপ’ (COP)-এর দোহা সম্মেলনে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে যাতে এই দেশগুলো জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলা করতে পারে। উন্নত বিশ্ব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের, যেখান থেকে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ১৩০ মিলিয়ন ডলার। বলা হয়েছিল জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলায় পশ্চিমা বিশ্ব উন্নয়নশীল বিশ্বকে প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করবে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিও রাখেনি পশ্চিমা বিশ্ব। ফলে প্যারিসে যে সমঝোতা হয়েছিল (২০১৫), তা নিউইয়র্কে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে কতটুকু কার্যকর হবে, সে প্রশ্ন থাকলই। মার্কিন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরিবেশবিদ আল গোর নিজে একটি প্রবন্ধে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বাড়লে ২০৫০ সাল নাগাদ ২ থেকে আড়াই কোটি বাংলাদেশিকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে হবে। এর অর্থ প্রচুর মানুষ হারাবে তাদের বসতি, তাদের পেশা। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়া মানে কেবল বন্যা নয়, এর মানে নোনা পানির আগ্রাসন। সেই সঙ্গে ধানের আবাদ ধ্বংস হয়ে যাওয়া। ২ কোটি কৃষক, জেলে পেশা হারিয়ে শহরে, বিশেষ করে ঢাকা শহরে এসে নতুন নতুন বস্তি গড়ে তুলবে। রিকশা চালানোর জীবন বেছে নেবে। সৃষ্টি হবে একটি শ্রেণির, যারা শহুরে মানুষের ভাষায় ‘জলবায়ু উদ্বাস্তু’। এই জলবায়ু উদ্বাস্তুদের নিয়ে রাজনীতি হবে! বিদেশে অর্থ সাহয্য চাওয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রাপ্ত সাহায্যের ব্যবহার নিয়ে নানা অনিয়মের খবর পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে এবং খুব কম ক্ষেত্রেই সরকার এমন অনিয়ম রোধ করতে পেরেছে। ২০১৬ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল বটে, কিন্তু চুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায়, বিশ্বের উষ্ণতা রোধকল্পে এই চুক্তি কতটুকু কার্যকার হয়, তা নিয়ে একটি বড় ধরনের অনিশ্চয়তা থেকেই গেল।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। একাধিক গবেষণায় তা প্রমাণিতও। তিন বছর আগে একটি শঙ্কার কথা আমাদের জানিয়েছিল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা এডিবি। বাংলাদেশ এই জলবায়ু পরিবর্তনে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এডিবির রিপোর্টে সে কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এডিবি জানিয়েছে, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি গড়ে ১ দশমিক ৮ শতাংশ করে কম হতে পারে। আর চলতি শতাব্দী শেষে এই ক্ষতি হতে পারে প্রায় ৯ শতাংশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়তে পারে ৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এডিবির ওই রিপোর্টে দক্ষিণ এশিয়ার অপর দুটো দেশ নেপাল ও মালদ্বীপের ক্ষতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। গত ১৯ আগস্ট (২০১৪) ঢাকায় এডিবির এই রিপোর্টটি উপস্থাপন করা হয়েছিল।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশের যে ক্ষতি হবে, তা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। শুধু এডিবির রিপোর্টেই নয়, বরং জাতিসংঘের রিপোর্টেও এই ক্ষতির দিকটি উল্লেখ করা হয়েছে একাধিকবার। প্রতিবছরই জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যা কপ বা ‘কমিটি অব দ্য পার্টিস’ নামে পরিচিত, সেখানেও বাংলাদেশের পরিবেশগত সমস্যার কথা উঠে আসে। বাংলাদেশের যারাই পরিবেশমন্ত্রী থাকেন, তারা ঘটা করে ‘কপ’ সম্মেলনে যান। কিন্তু ওই পর্যন্তই। ইতোমধ্যে নাসা আরো একটি আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। নাসা আশঙ্কা করছে গ্রিনল্যান্ডে যে বরফ জমা রয়েছে, তা যদি উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে গলে যায়, তাহলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৭ মিটার বৃদ্ধি পাবে। তাই কার্বন-ডাই-অক্সাইড হ্রাসের কথা বলছে নাসা। আল গোর তার ওই প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, বিশ্বের বৃহত্তম বন্দরগুলোয় ইতোমধ্যে ৪ কোটি মানুষ মারাত্মক প্লাবনের হুমকির মুখে আছে। আল গোর বিশ্বের ১০৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে (বাংলাদেশের সাবেক বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদও ছিলেন ওই দলে) গিয়েছিলেন অ্যান্টার্কটিকায়, শুধু জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য। কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায় এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্ত, যেখানে তিনি বলেছেন, তিনি জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেবেন। তিনি এখন আর জলবায়ু চুক্তিতে নেই। জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র না থাকার ফলে জলবায়ু চুক্তিটি একটি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়ন শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতিসংঘের দ্য ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসির বিশেষ অধিবেশন। একটি প্রতিবেদনও তারা প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বৈশিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা না গেলে বিপর্যয় দেখা দেবে। সম্মেলনে ওয়ার্কিং গ্রুপের সহ-সভাপতি ডেব্রা রবার্টস বলেছিলেন, বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে এটাই সবচেয়ে ঝড় সতর্কবার্তা। এই মুহূর্ত থেকে সবাইকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। এটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। সর্বশেষ ‘মাইকেল’, ‘তিতলি’ কিংবা ইন্দোনেশিয়া-জাপানে যে জলোচ্ছ্বস হয়েছে, তা আমাদের জন্য ‘ওয়েকআপ’ কল। বিশ্ব যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেয় এবং কপ-২১ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেয়, তাহলে এ ধরনের সামুদ্রিক ঝড় বার বার ঘটবে। সতর্ক হওয়ার এখনই সময়।

লেখক : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

tsrahmanbd@yahoo.com

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads