• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
গবাদিপশু উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা

দেশের বিজ্ঞানীরা গবাদিপশুর খুরা রোগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছেন

সংগৃহীত ছবি

মতামত

খুরা রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার

গবাদিপশু উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনা

  • প্রকাশিত ১৮ অক্টোবর ২০১৮

ফারজানা আক্তার বেবী

যে কোনো সুসংবাদই মানুষকে নতুন মাত্রায় উজ্জীবিত করে। বিষয়বস্তুর পার্থক্যের কারণে সুসংবাদের উচ্ছ্বাস আর অনুভবের মাত্রাও ভিন্ন হয়। যারা দেশ বা দেশের সামগ্রিক কল্যাণের বিষয় নিয়ে ভাবেন, তাদের কাছে সব সুসংবাদই গুরুত্ব বহন করে। সচেতন মানুষ মাত্রই পুলকিত হয়। আজ (গতকাল) সকালে আমিও সংবাদপত্রের পাতায় সেরকম একটি সুসংবাদ দেখে পুলকিত হয়েছি, গর্বিত হয়েছি।

সুসংবাদটি হলো, দেশের বিজ্ঞানীরা গবাদিপশুর খুরা রোগের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছেন। এই সুসংবাদটি শহুরে মানুষকে যতটা না আকৃষ্ট করবে, তার চেয়ে বেশি খুশি হবেন এদেশের কৃষক ও গবাদিপশুর খামারিরা। সম্ভাবনার বাংলাদেশে আমরা এখন প্রায়ই বিভিন্ন সেক্টরের নতুন নতুন সুসংবাদ পাই। কিছুদিন আগে জাতীয় মাছ ইলিশের জিন আবিষ্কারের সাফল্যও আমাদের গর্বিত করেছে। ইলিশ নিয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে বিশ্ববাজারে।

এবার গবাদিপশুর খুরা রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে দেশের বিজ্ঞানীরা অর্থ সাশ্রয় ও পশু খামারের নতুন সম্ভাবনা দেখিয়ে দিলেন। আমরা জানি, দেশে প্রতি বছর খুরা রোগে অনেক গবাদিপশু আক্রান্ত হয়। কখনো কখনো এসব পশু মারাও যায়। খুরা রোগের চিকিৎসায় বিদেশ থেকে আমদানি করা ভ্যাকসিন কিনতে হয় অনেক বেশি দাম দিয়ে। দৈনিক বাংলাদেশের খবরে প্রকাশিত সংবাদে জানতে পেরেছি, বিদেশ থেকে আমদানি করা এক একটি ভ্যাকসিন ১২০ থেকে ২০০ টাকায় কিনতে হয় খামারিদের। এ জন্য খামারিদের অনেকে গবাদিপশু পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কোনো কোনো বছর দেশে গবাদিপশু উৎপাদনে বিপর্যয়ও দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে মাংস ও দুগ্ধ বা দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে। একইভাবে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় শিশুখাদ্য তৈরিতেও এর বিরাট প্রভাব পড়ে। আবার জিডিপিতেও রয়েছে (দেশজ উন্নয়ন) এই গবাদিপশুর খামারের বিশেষ অবদান। সবমিলিয়ে দেশের গবাদিপশুর খামার বা এই সেক্টরনির্ভর অন্যান্য উৎপাদনে দেশের বিজ্ঞানীরা এক অনন্য ভূমিকা রাখলেন।

সংবাদে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, এখন থেকে দেশে উৎপাদিত এসব খুরা রোগের ভ্যাকসিন মাত্র ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কেনা যাবে। এটি আমাদের জন্য, বিশেষ করে দেশের গবাদিপশুর খামারিদের জন্য এক অনন্য সুসংবাদ। এই গবেষণা কাজে যারা নিরলস শ্রম দিয়ে খুরা রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন, আমরা সেসব বিজ্ঞানীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রত্যাশা করছি— দেশের অন্যান্য সেক্টরেও আমাদের কৃতী বিজ্ঞানীরা তাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অগ্রযাত্রায় বিশেষ বিশেষ অবদান রাখবেন।

লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads