• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বাণিজ্যযুদ্ধ ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অশনিসংকেত

চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ বড় সঙ্কট তৈরি করতে যাচ্ছে

সংগৃহীত ছবি

মতামত

বাণিজ্যযুদ্ধ ও বিশ্ব অর্থনীতিতে অশনিসংকেত

  • তারেক শামসুর রেহমান
  • প্রকাশিত ৩০ অক্টোবর ২০১৮

চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ অচিরেই বিশ্ব বাণিজ্যে বড় ধরনের মন্দা ডেকে আনতে পারে। এতে করে এই দুটো দেশই যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, বরং উন্নয়নশীল দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০২০ সাল নাগাদ একটি মন্দা হওয়ার ঝুঁকি গত কয়েক মাসে তৈরি হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, চীনের মেধাস্বত্ব চুরির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও বাকি উন্নত বিশ্বকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে পারত, যা হতো অত্যন্ত কার্যকর। সে ক্ষেত্রে চীন নিজেকে পরিবর্তন করার কথা ভাবত, কিন্তু তা হয়নি। সম্প্রতি মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বাণিজ্য সমস্যার খুব বেশি সমাধান হবে বলে মনে হয় না। এ ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। জনৈক অর্থনীতিবিদ এমনও বলেছেন যে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধের পাশাপাশি ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বিপদগ্রস্ত করতে পারে। উল্লেখ, গত ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পর থেকেই এই ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ শুরু হয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমে ৫০ বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আরো ২০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর কর আরোপ করেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। এমনকি তৃতীয় ধাপে আরো ২০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর কর আরোপ করা হবে বলেও আভাস দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় চীন যে বসে থাকবে না, এটা ছিল স্বাভাবিক। চীন একই সঙ্গে মার্কিনি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে। এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটি এক ধরনের ‘বাণিজ্যিক যুদ্ধ’-এ লিপ্ত হয়েছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, যুক্তরাষ্ট্র শুধু চীনের সঙ্গেই বাণিজ্যিক বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে; বরং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। এই ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ শুরু হয়েছিল যখন ট্রাম্প প্রথমে চীনা ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা বলেন। এরপর তিনি ইইউর ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপরও একইভাবে অতিরিক্ত করারোপ করেন। ফলে চীনের পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গেও ট্রাম্প বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এর প্রতিফলন আমরা দেখেছি জুনে (২০১৮) সমাপ্ত জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনেও। ট্রাম্প কানাডায় শেষ হওয়া ওই জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেন। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র যৌথ ইশতেহারে স্বাক্ষর করেনি।

এখানে পাঠকদের একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক সম্পর্ক চীনের অনুকূলে। অর্থাৎ চীন যুক্তরাষ্ট্রে তার পণ্য বেশি রফতানি করে, আমদানি করে কম। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র চীনে রফতানি করেছে ৪২২৯১.৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য, আর চীন থেকে আমদানি করেছে ১৬১৩৪২.৪ মিলিয়ন। ঘাটতি এই চার মাসে ১১৯০৫০.৯ মিলিয়ন ডলার। আমরা যদি ২০১৭ সালের পরিসংখ্যান দিই, তাতে দেখা যায়, এই ঘাটতি ৩৭৫৫৭৬.৪ মিলিয়ন ডলার (যুক্তরাষ্ট্রের চীনে রফতানি ১২৯৮৯৩.৬ মিলিয়ন, আমদানি ৫০৫৪৭০ মিলিয়ন)। ২০১৬ সালে ঘাটতি ছিল ৩৪৬৯৯৬.৫ মিলিয়ন ডলার (রফতানি ১১৫৫৪৫.৫ মিলিয়ন, আমদানি ৪৬২৫৪২ মিলিয়ন)। গত বেশ কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র এই ঘাটতির সম্মুখীন হয়ে আসছে। ঘাটতি কমাতে পারছে না। যুক্তরাষ্ট্র এখন যে দেশগুলোর সঙ্গে ‘বণিজ্যিক যুদ্ধে’ জড়িয়ে যাচ্ছে, তার প্রতিটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ঘাটতি রয়েছে। আমরা বিষয়টি বোঝার জন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে পারি। সাধারণত ২০টি দেশকে ধরা হয়, যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো। এই ২০টি শিল্পোন্নত দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র রফতানি করে মোট রফতানির শতকরা ৭৬ দশমিক ৬ ভাগ, আর মোট আমদানির শতকরা ৮১ ভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের কমার্স ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, (২০১৪) যুক্তরাষ্ট্র ইইউতে রফতানি করেছে ১৪৫৪৬২৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। আর ওই সব দেশ থেকে আমদানি করেছে ২১৮৮৯৪০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। এখানে ঘাটতি ৭৩৪৩১৬ মিলিয়ন ডলার। এখন ইইউর সঙ্গেই বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার সঙ্গেও বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি ১১২৪০ মিলিয়ন ডলার (রফতানি ২৬৬৮২৭ মিলিয়ন আর আমদানি ২৭৮০৬৭ মিলিয়ন)। মেক্সিকোর সঙ্গে ঘাটতি ৬৩১৯২ মিলিয়ন (রফতানি ২৩০৯৫৯ মিলিয়ন, আমদানি ২৯৪১৫১ মিলিয়ন)। জাপানের সঙ্গে ঘাটতি ৬৮৯৩৮ মিলিয়ন ডলারের (রফতানি ৬৩২৬৪ মিলিয়ন, আমদানি ১৩২২০২ মিলিয়ন)। শুধু যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ব্রাজিল, বেলজিয়াম, সিঙ্গাপুর, হংকং প্রভৃতি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।

কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে এখন চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি মিডিয়ায় এই বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই লেখা হচ্ছে। ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ যদি প্রলম্বিত হয়, তাহলে চীন যুক্তরাষ্ট্রের বদলে অন্যত্র ‘বাজার’ খুঁজে নিতে পারে। চীনের জন্য সয়াবিন আর মাংসের বাজার হতে পারে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা যদি চীনা বাজার হারিয়ে ফেলে, এ বাজার যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা কোথায় পাবে? প্রকারান্তরে তো তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে! চীনের পথ ইইউ, কানাডা ও মেক্সিকোও অনুসরণ করতে পারে। তখন? প্রশাসনের ওপর তখন কি কৃষকরা প্রেসার খাটাবে না? রাজনীতিবিদরা তখন ট্রাম্পের ওপর প্রেসার খাটাবেন। কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে ‘চাপ’ দেবে।

চীনকে হাল্কাভাবে নেওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের ঠিক হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় করপোরেট হাউজগুলোর স্বার্থ রয়েছে চীনে। আমাজন, ওয়ালমার্ট, জিএমের মতো কোম্পানি যেসব পণ্য মার্কিন নাগরিকদের কাছে বিক্রি করে, তার বলতে গেলে পুরোটাই আসে চীন থেকে। অ্যাপলের পণ্য তৈরি হয় চীনে। অন্যদিকে জিএম গাড়ির কথাই ধরা যাক। এটা মার্কিনি গাড়ি প্রতিষ্ঠান। জিএম গাড়ি যেখানে খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হয় ৩০ লাখ, সেখানে ৪০ লাখ গাড়ি বিক্রি হয় চীনে। তখন জিএম চীনে তার ব্যবসা হারানোর ঝুঁকিতে থাকবে। চিন্তা করুন স্টারবাক্স কফি, কেএফসি ফাস্ট ফুড, ম্যাকডোনাল্ড, কিংবা শেরাটন, হিল্টনের হোটেল চেনগুলো চীনে ব্যবসা করছে। এই ব্যবসা তখন বড় ধরনের ঝুঁকিতে থাকবে। এরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে চীনে। চীন এখন ‘প্রতিশাধ’ হিসেবে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় এ ধরনের ব্যবসায় ক্ষতি হবে। ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই ক্ষতি তো এরা সহজে মেনে নেবে না। এসব আমেরিকান ব্যবসায়িক করপোরেট হাউজগুলোর ক্ষতির মানে হচ্ছে মার্কিনি অর্থনীতির ক্ষতি। শুধু ক্ষতি নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। এটা এক ধরনের সংরক্ষণাবাদ। ট্রাম্পের সংরক্ষণাবাদ নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব থেকে আলাদা করে ফেলতে চলছে। এটা খোদ যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও কোনো ভালো খবর নয়। ট্রাম্প বাহ্যত কোনো আন্তর্জাতিক নীতিমালা মানতে চাইছেন না। বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার একটি ভূমিকা রয়েছে। একটি নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালা অনুসরণ করেই বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হয়ে তার নিজের মতো করে বাণিজ্য ব্যবস্থা পরিচালনা করতে চান। আর সঙ্কটটা তৈরি হয়েছে সেখান থেকেই। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি নতুন নয়। এটা বিবেচনায় নিয়েই অতীতের কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এভাবে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেননি। এখন ট্রাম্প করলেন। ফলে চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ফলে বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনবে। এটা একটা মহামন্দার সূচনা করতে পারে। আমরা ইতিহাস থেকে জানি, বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের একটি ঘটনার জন্ম হয়েছিল, যার পরিণামে ১৯২৯ সলে যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের মন্দার সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি এই মন্দার কারণে বিশ্বযুদ্ধের মতো ঘটনাও ঘটেছিল। যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে ঋণ নেয়। এই ঋণের পরিমাণ এখন ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার। ঋণের পরিমাণ বাড়ছেই। ২০১৩ সালে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১.৩০ ট্রিলিয়ন ডলার। এই ঋণ যুক্তরাষ্ট্র কমাতে পারছে না। ফলে যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বে আরো বেশি জড়িয়ে যায়, তাহলে চীনের ঋণ একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। এখানে চীনের একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের যে প্রতিক্রিয়া হবে, তা চীন তার মুদ্রার (ইউয়ান) মান কমিয়ে মোকাবেলা করতে পারবে। ২৫ ভাগ হারে যুক্তরাষ্ট্র কর আরোপ করলে ১৫ ভাগ হারে মুদ্রার মান কমিয়ে দেবে চীন। তাতে প্রতিক্রিয়া হবে কম। চীনের জনগণ অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা করতে জানে। যা হয়ত আমেরিকান জনগণের জন্য মোকাবেলা করা কঠিন হবে।

চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ বড় সঙ্কট তৈরি করতে যাচ্ছে। এই সঙ্কটে প্রতিটি দেশ আক্রান্ত হবে। আমরাও আক্রান্ত হব। আমাদের বাণিজ্য ঝুঁকির মুখে থাকবে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত এখনই একটি ট্রাস্কফোর্স গঠন করা। বিশেষজ্ঞদের এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। কেননা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের লোকের অভাব রয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য নীতিমালা বেশ জটিল। এখানে নানা আইনের মারপ্যাঁচ রয়েছে। এজন্য দেখা যায়, ভারত কিংবা শ্রীলঙ্কার মতো দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ট্রেড আইনে বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে আমাদেরও এমনটি করা উচিত। মনে রাখতে হবে, এই ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ শুধু চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেই আর সীমাবদ্ধ থাকবে না। ৬ জুলাই থেকে এই করারোপ কার্যকর হলেও, এর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে আরো কয়েক মাস পর। এবং তাতে করে প্রতিটি দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং আমাদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

লেখক : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

tsrahmanbd@yahoo.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads