• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

হার্ডলাইন থেকে সংলাপ

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ০৩ নভেম্বর ২০১৮

‘সরকার হার্ডলাইনে গেলে ঐক্যফ্রন্টও হার্ডলাইনে যাবে’- গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের খবরের এক প্রতিবেদনে এমনই আভাস দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল- ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মনে করছেন, সরকার আরো হার্ডলাইনে যাবে। তার প্রমাণ ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে এর দুজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো গ্রেফতার হতে পারে। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেছেন, তারা সরকারকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবেন না। বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ শেষে ঢাকার সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

অন্যদিকে সরকার পক্ষেরও হার্ডলাইনে যাওয়ার আভাস অনেক আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না- এমন কথা সরকারের মন্ত্রীরা প্রায়ই বলছেন। এর অর্থ তারা নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে বিরোধী দলকে একচুল পরিমাণও ছাড় দিতে নারাজ। সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য সে আভাসই দিচ্ছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে নিজেদের থেকে কোনো রকম ছাড় দেবে না আওয়ামী লীগ। বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েকজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের যে দাবি জানানো হয়েছিল তা নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে এবং সে সরকারের আকার কিছুটা ছোট হবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন বতর্মান কেবিনেটই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তারা সিলেট ও চট্টগ্রামে দুটি সমাবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার কর্মসূচি আছে তাদের। অনুষ্ঠিত সমাবেশগুলোতে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দলটির নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করেছে বলে অনেকে মনে করছেন।

রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে ২৯ অক্টোবর একটি খবর সবাইকে চমকে দেয়। দেখায় আশার আলোও। আর সেটা হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসতে সরকারের রাজি হওয়া। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সরকারের কাছে যে সাত দফা দাবি দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে চিঠি দেন ড. কামাল হোসেন গত ২৮ অক্টোবর। অনেকেই ভেবেছিলেন সরকার সে চিঠিকে হয়তো তেমন গুরুত্ব দেবে না। কেননা, গত কিছুদিন যাবৎ বিএনপিসহ অন্যান্য দল সংলাপের কথা বললেও সরকার তথা আওয়ামী লীগ তা নাকচ করে আসছিল। পত্রিকার খবরেও বলা হয়েছিল, সরকার ওই চিঠি আমলে নেবে না। বরং ঐক্যফ্রন্ট যদি এ ইস্যুতে কঠোর কোনো আন্দোলনে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে সরকারও রুদ্ররূপ ধারণ করে তা দমনে তৎপর হবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সরকার ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসেছে। ২৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে জানান যে, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তফসিল ঘোষণার আগেই এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১ নবেম্বর বৃহস্পতিবার সে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সরকারের হঠাৎ করে সংলাপে বসার বিষয়টি রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিদের মনে যেমন আশাবাদ সৃষ্টি করেছে, তেমনি জন্ম দিয়েছে কিছু প্রশ্নেরও। কারণ, যে সংলাপ প্রস্তাবকে তারা এতদিন ধর্তব্যের মধ্যে নেয়নি, এমনকি তা কখনই হবে না বা হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে উড়িয়ে দিয়েছে, একটি চিঠি তাদের কী জাদুমন্ত্রের বলে তাতে রাজি করিয়ে ফেলল, তা নিয়ে ভাবছেন অনেকে। অবশ্য সংলাপে সম্মত হওয়ার প্রেক্ষাপট গণমাধ্যমে এসেছে। ভেতরের খবর হলো, ২৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর ড. কামালের চিঠি নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়। এ সময় মন্ত্রিসভার কয়েক সদস্য সংলাপের বিরোধিতা করে বলেন, আমরা তাদের আগেই সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়েছি। এখন তাদের সঙ্গে সংলাপে বসা ঠিক হবে না। মন্ত্রিসভার অপরাপর কয়েক সদস্য সংলাপের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়ে বলেন, আমরা তো তাদের ডাকিনি। বরং তারাই আলোচনা করতে চেয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের ডাকিনি। তারাই দরখাস্ত দিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছে।  তিনি আরো বলেন, আমি সরকারপ্রধান। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে যে কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইতে পারে। আর কোনো নাগরিক যদি দেখা করতে চান, আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তো মানা করতে পারি না। (সূত্র : আমাদের নতুন সময়, ৩০ অক্টোবর)।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে সরকারের রাজি হওয়ার খবরে দেশে স্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দেশবাসী দুইপক্ষের সংলাপে বসার সিদ্ধান্তকে শুভবুদ্ধির পরিচয় হিসেবেই বিবেচনা করছেন। তারা বলছেন, আমরা সংঘাত নয়, সমঝোতা চাই। একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশই আমাদের কাম্য। এ বিষয়ে বিশিষ্টজনরা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তাতেও একই ধরনের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি দেওয়ার ঘটনা বর্তমানে রাজনীতির কঠিন সময়ে ইতিবাচক দিক। এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুভচিন্তার রাজনীতির পথে অনেকদূর যাওয়ার পথ তৈরি হতে পারে।’ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও বিএনপিকে সংলাপে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারো ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসতে সম্মতি দিয়ে আবারো ইতিবাচক রাজনীতির প্রতি তার সদিচ্ছার প্রমাণ দিলেন। এখন এই সংলাপ সফল করার দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি ঐক্যফ্রন্টেরই। কারণ, তারাই প্রথমে সংলাপে বসতে চেয়েছে।’ বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ‘এ মুহূর্তের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এ ধরনের একটি বৈঠক প্রয়োজন ছিল। এই বৈঠকটি যেন অর্থবহ হয় সেজন্য উভয়পক্ষকেই আন্তরিক হতে হবে।’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বৈঠকের খবর ইতিবাচক। প্রত্যাশা থাকবে, এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অব্যাহত থাকবে এবং বৈঠকটি অর্থবহ হবে। (সূত্র : সমকাল, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮)।

এ লেখাটি যেদিন বেরুবে তার আগেই সংলাপের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়ে যাবে। প্রথম পর্ব বলছি এ জন্য যে, এমন একটি জটিল রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান একদিনের ‘ডিনার বৈঠকে’ই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে, এটা ভাবা ঠিক নয়। বর্তমানে সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যেরকম মুখোমুখি অবস্থানে আছে, তাতে অত্যন্ত কঠিন কাজ তাদের হাতে হাত রেখে পাশাপাশি দাঁড়ানো। যদিও সংলাপ শুরু হয়েছে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই, তবে টেবিলে যে শর্তের আবির্ভাব ঘটবে না তার তো নিশ্চয়তা নেই। ঐক্যফ্রন্ট তো শুধু ডিনার করতে যাবে না। তারা তাদের ইতোপূর্বে উত্থাপিত দাবিসমূহ আদায় করতেই সরকারের সঙ্গে টেবিলে বসেছে। তাদের সে দাবির বিষয়ে সরকারের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে কি না কেউ জানেন না। কারণ, এই সেদিনও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঐক্যফ্রন্টের দাবির ব্যাপারে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথাই জানিয়েছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর তিনি বলেছেন, বিএনপির নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেওয়া সাত দফার একটিও মানা হবে না। ওইদিন রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দাবিগুলো অযৌক্তিক, তাই একটিও মানা হবে না।’ একই দিনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি না মেনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে দেশে আন্দোলনের ঝড় উঠবে।’ একই নির্বাচনী এলাকার দুই তারকা রাজনীতিকের এ পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সঙ্গতকারণেই রাজনীতি-সচেতন মহল অশনিসঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন। তারা বলছেন, উভয় পক্ষ যদি স্ব-স্ব অবস্থানে এমন অনড় থাকে এবং যুদ্ধংদেহী মনোভাব অক্ষুণ্ন রাখে, তাহলে দেশের রাজনীতি আবারো সংঘাতময় হয়ে উঠতে পারে। দুই পক্ষের এ যুদ্ধংদেহী মনোভাবের পরিবর্তন সংলাপের মাধ্যমে কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে দুলছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ঐক্যফ্রন্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কোনো প্রকার পূর্বশর্ত ছাড়াই ক্ষমতাসীন দলের সংলাপে বসার সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘সংলাপের সফলতা নির্ভর করছে দলগুলোর আন্তরিকতার ওপর। দায়িত্বশীলতার ওপর। দায়িত্বশীল আচরণ ও আন্তরিক মনোভাব সংলাপে সফলতা বয়ে আনতে পারে। খোলা মন নিয়ে সংলাপে বসতে হবে। ছাড় দেওয়ার মানসিকতাও থাকতে হবে। খোলা মন ও ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকলে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।’ (আমাদের নতুন সময়, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮)। আমাদের দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এবং অতীতের রাজনৈতিক সমস্যায় সংলাপের পরিণতির নিরিখে সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের অভিমত যে অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ, এর আগে অনেকবার একই ধরনের সমস্যা সমাধানে দীর্ঘ সংলাপ হলেও তা কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনেনি। এবার কী হবে তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না।

এটা তো সত্য যে, আমাদের দেশের মতো জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলে রাজনৈতিক সঙ্কট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার নজির অন্য কোনো দেশে তেমন নেই। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের কথা বাদই দিলাম, নিকট প্রতিবেশী ভারতের কথাই ধরুন। সেখানে তাদের সংবিধান নির্দেশিত নিয়মে প্রতি পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সবাই অংশ নিচ্ছে। কোনো সমস্যা বা সঙ্কট তাদের ঘিরে ধরছে না। আর আমাদের দেশে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে সৃষ্টি হচ্ছে নানা জটিলতা। কেন এমন হচ্ছে? এর প্রধান কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থার অভাব এবং সন্দেহ ও অবিশ্বাস। বস্তুত সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম তার মন্তব্যের দ্বারা সে কথাই বোঝাতে চেয়েছেন। আর তার মন্তব্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সংলাপের সফলতার মূল সূত্র। পরস্পর মুখোমুখি অবস্থানে থাকা সরকার ও ঐক্যফ্রন্ট যদি উদার মনোভাব নিয়ে একে অপরের দিকে এগিয়ে আসে, তাহলে সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান সম্ভব। তা না করে তারা যদি আগের মতোই স্ব-স্ব জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে সংলাপ শুধু ব্যর্থই হবে না, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারো অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হবে। সংলাপ শুরুর মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষ যে ‘সফট লাইনে’ হাঁটতে শুরু করেছেন, তা থেকে তারা যেন আর ‘হার্ড লাইনে’ না যান দেশবাসী সেটাই চায়।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads