• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

মতামত

প্রত্যাশিত সংলাপের অপ্রত্যাশিত সমাপ্তি

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ১০ নভেম্বর ২০১৮

প্রত্যাশিত সংলাপের অপ্রত্যাশিত সমাপ্তি। সরকার ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত দুই দফা সংলাপের পরিসমাপ্তিকে এভাবে অভিহিত করাই বোধকরি যুক্তিযুক্ত। গত ৭ নভেম্বর গণভবনে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর এটা আর কারো কাছে অস্পষ্ট নেই যে, সংলাপের ইতি ঘটেছে এবং তা থেকে কোনো ইতিবাচক ফল বেরিয়ে আসেনি। বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সর্বশেষ যে চারটি প্রস্তাব করা হয়েছিল, তাও নাকচ করে দেওয়া হয়েছে সরকার পক্ষ থেকে। তারা পরিষ্কার ভাষায়ই বলে দিয়েছে, সংবিধানের বাইরে তারা যাবে না। ফলে সংসদ ভেঙে নির্বাচন এবং দশজন উপদেষ্টা নিয়োগের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকারের যে প্রস্তাব ঐক্যফ্রন্ট করেছিল, তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে তা মেনে নেয়নি সরকার। এ ছাড়া নির্বাচনের সময় বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা নিয়োগ এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়েও সরকার পক্ষ ইতিবাচক কোনো সাড়া দেয়নি। ফলে এটা পরিষ্কার যে, উদ্ভূত রাজনৈতিক জটিলতার অবসানকল্পে সরকার ও বিরোধী দল বিশেষত ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে আলোচনার যে প্রয়োজনীয়তা সবাই অনুভব করছিলেন, তার অবসান হলো। অবশ্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংলাপ শেষে গণমাধ্যমকে বলেছেন, সংলাপ শেষ। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সে রকম কোনো আলোচনা আদৌ আর হবে কি না তা নিশ্চিত নয়।

এদিকে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা সংলাপের মাধ্যমে দাবিদাওয়া উত্থাপন করেছি। আমরা চেয়েছি শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায় করতে। এরপর যা হবে তার দায়দায়িত্ব সরকারের।’ একই সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি যদি সরকার না মানে, আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তা আদায় করব।’ এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, যদি সংলাপ ভেঙে যায় তাহলে পরদিন অর্থাৎ ৮ নভেম্বর তারা রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ করবেন এবং তার পরদিন ৯ নভেম্বর সেখানে জনসভা করবেন। কিন্তু জনসভার কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে রোডমার্চ কর্মসূচিটি স্থগিত করা হয়েছে। এর কারণ সম্পর্কে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে জানা গেছে, হঠাৎ করে এমন একটি বড় কর্মসূচি প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির অভাবে ফ্লপ করতে পারে- এ আশঙ্কায় তা স্থগিত করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন যে, গত কয়েক দিন ধরে পুলিশ যেভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে, তাতে রোডমার্চের মতো শো-ডাউন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের আশানুরূপ সমাগম নাও হতে পারে- এ আশঙ্কাও কর্মসূচি স্থগিতের অন্যতম কারণ।

অপরদিকে সংলাপের বিষয়ে সরকারের অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর কথা ছিল ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। কিন্তু ৭ নভেম্বর রাতে তার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে অনিবার্য কারণবশত সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলনের তারিখ জানানো হবে। অবশ্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৮ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। তিনিও বলেননি সংবাদ সম্মেলনটি কবে হবে।  আশাবাদীরা কল্পনা করছেন যে, সম্ভবত সরকার ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিশেষ কোনো সমঝোতার চেষ্টা চলছে, যেজন্য প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। তবে, এমন সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। তারা বলছেন, সরকার এবং ঐক্যফ্রন্ট নিজ নিজ অবস্থানে যেভাবে অনড় দাঁড়িয়ে, তাতে ওই ধরনের কোনো সমঝোতার আশা না করাই ভালো।  

বেশ কিছুদিন ধরে দেশের রাজনীতি সংলাপকে কেন্দ্র করেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। রাজনীতিবিষয়ক সব আলোচনা ছিল সংলাপকেন্দ্রিক। পত্র-পত্রিকার সংবাদ-নিবন্ধ, টিভি চ্যানেলের টক-শো সবখানেই মূল আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সংলাপ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের ‘ঐতিহ্য’ অনুযায়ী যে রাজনৈতিক সঙ্কট উদ্ভব হয়েছে, তার শেষ কোথায়- এ প্রশ্ন দেশবাসীর মনে আগাগোড়াই ছিল। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরাজমান যুদ্ধংদেহী মনোভাব, পরস্পরের প্রতি আক্রমণাত্মক বাক্যবাণ নিক্ষেপ, নিজ নিজ অবস্থানে অটল থাকার দৃঢ় প্রত্যয় এবং মাঠে একে অপরকে দেখে নেওয়ার হুমকি জনমনে সঙ্গত কারণেই ভীতির সৃষ্টি করেছিল। শান্তিপ্রিয় দেশবাসী সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার আশা করছিলেন বহু আগে থেকেই। তারা এটাও আশা করেন যে, যেহেতু আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চে স্থান দেন (বক্তৃতা-বিবৃতিতে তারা সে রকমই বলেন) এবং দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পূজারি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন, তাই তারা সঙ্কীর্ণ দলীয় স্বার্থ পরিহার করে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাবেন। যখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পত্র দিলেন এবং অবিশ্বাস্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তাতে সম্মতি জানালেন, দেশবাসী সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে উঠল। তারা ধরেই নিয়েছিল যে, এই হাইপ্রোফাইল সংলাপ থেকে দেশের রাজনীতি, তথা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য ইতিবাচক একটি ফল হয়তো বেরিয়ে আসবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে রকম কিছু ঘটেনি। সংলাপের যে ‘মধুরেণ সমায়পেত’ দেশবাসী আশা করেছিল, ঘটল তার উল্টোটা। সংলাপে অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দের মুখে তৃপ্তির যে হাসি দেশবাসী দেখতে চেয়েছিল, তা অপূর্ণই থেকে গেল।   

রাজনীতিতে জটিলতা বা সমস্যার উদ্ভব হওয়া অস্বাভাবিক কোনো ব্যপার নয়। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতায় তা যেন অলঙ্ঘনীয় নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। প্রত্যেকটি জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সৃষ্টি হয় সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি। বলা নিষ্প্রয়োজন, দলগুলোর দলীয় স্বার্থান্ধতা এ ক্ষেত্রে পালন করে নিয়ামকের ভূমিকা। এখানে সব পক্ষ ভোটের আগেই জিতে যেতে চায়। জনগণের ওপর ভরসা না করে তারা নির্বাচনী মাঠের কর্তৃত্ব হাতের মুঠোয় নেওয়া এবং শক্তির ব্যবহারে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে বিজয় করায়ত্ত করার চিন্তা করে। ফলে ভোটের লড়াইয়ের আগেই একটি লড়াই শুরু হয়। বলাই বাহুল্য, সে লড়াই ভোটের মাঠে নিজ নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াই। এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা, আমাদের গণতন্ত্রকে বার বার বাধাগ্রস্ত করেছে।

নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই আমাদের দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট বরফের অকার ধারণ করে। এবারো তাই হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অনেক আগে থেকেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সরকারকে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে আসছিল। তারা সরকারের কাছে কিছু দাবিও দিয়েছিল। বিএনপির সেসব দাবিই কিছুটা পরিমার্জন করে নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব দাবি নিয়ে গত ১ নভেম্বর সরকার পক্ষের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের প্রথম দফা সংলাপ হয়েছে। সেদিনের সংলাপে কোনো ফলোদয় হয়নি। ফলে গত ৭ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা সংলাপ হয়েছে তাও ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে তার সরকারের অবস্থান জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তা স্থগিত করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের দাবি ছিল সংলাপ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না করা। নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেয়নি। ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বেতার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছেন। এ লেখাটি যেদিন বেরুবে, তার আগেই দেশবাসীর নির্বাচনী তফসিল সম্পর্কে সবিস্তার জানা হয়ে যাবে। 

এদিকে সংলাপ ব্যর্থ হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। সংলাপে সমঝোতা না হওয়ার বিষয়টি দুশ্চিন্তার এবং এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে অনিশ্চয়তার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তারা। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম. হাফিজউদ্দিন খান বলেছেন, ‘আশা-নিরাশার মাঝামাঝি আছি। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দুই দফা সংলাপ হলেও আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। সমঝোতা না হওয়াটা দুশ্চিন্তার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক সাবেক উপদেষ্টা ড. মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, ‘সংলাপে এ পর্যন্ত সন্তোষজনক কোনো অগ্রগতি নেই। সংলাপ সফল হয়নি। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা না থাকলে সমঝোতা সম্ভব নয়। সংলাপ ব্যর্থ হলে তা রাজনীতি অর্থনীতিসহ পুরো দেশের জন্য নেতিবাচক বার্তা।’ সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘সংলাপ ব্যর্থ হওয়া দেশের রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি হতাশাজনক। এ ধরনের পরিস্থিতি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক নয়। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাজনীতিবিদদের সমঝোতায় আসা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। (যুগান্তর, ৮ নভেম্বর, ২০১৮)।

বিশিষ্ট নাগরিকদের মন্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, সংলাপ ব্যর্থ হওয়াকে তারা দেশের রাজনীতির জন্য অশনিসঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন। ফলে এটা বলা বোধকরি অত্যুক্তি হবে না যে, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি আবারো দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে দেশের ভাগ্যাকাশে কালো মেঘের আবির্ভাব ঘটতে পারে। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে অনেকেই মনে করছেন, সংলাপ প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে নস্যাৎ হয়ে যাওয়ায় আগামী দিনের রাজনীতি সংঘাতের দিকে গড়াতে পারে। অতীত ইতিহাসও সে সাক্ষ্যই দেয়। আমাদের দেশে রাজনৈতিক সঙ্কটকালে যেসব সংলাপ হয়েছে তার ফল কখনই আশাব্যঞ্জক ছিল না। এক কথায় বলা যায়, সেগুলো ব্যর্থ হয়েছিল। ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধু বনাম ইয়াহিয়ার ধারাবাহিক সংলাপ ব্যর্থ হয়েছিল। আমরা আমাদের দাবি আদায় করে নিয়েছিলাম সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। স্বৈরশাসক এরশাদও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে চেয়েছিলেন। তার প্রথম আহ্বানে কোনো দলই সাড়া দেয়নি। দ্বিতীয় দফায় সংলাপ হলেও তা কোনো ফল দেয়নি। ২০০৬ সালে আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও আবদুল জলিলের দীর্ঘ কয়েক দিনের সংলাপ ও তার ফল এখনো সবার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে।

সুতরাং আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে কিছুটা ছাড় দিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে না আসেন, তাহলে রাজনৈতিক সঙ্কটের জমাটবাঁধা বরফ গলার সম্ভাবনা খুবই কম। সে বরফ গলাতে দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্কের উষ্ণতা। আর সে উষ্ণতা শুধুই সৃষ্টি করা সম্ভব দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা দিয়ে। আমাদের নেতৃবৃন্দ তা কতটা পারবেন বা করবেন সেটাই প্রশ্ন।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads