• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

এ সুবাতাস বহমান থাকবে কি

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০১৮

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় ঐক্যজোট আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করার পর সর্বত্র স্বস্তির ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এর আগে দেশবাসীর মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। সবার মনেই শঙ্কা ছিল, বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচন বয়কট করে, তাহলে দেশ আবারো ২০১৩-১৪’র মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়বে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলে জনমনে এ ধারণা সৃষ্টি হয় যে, ক্ষমতাসীনরা আবারো একটি একতরফা নির্বাচনের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।

তবে অনেকেরই ধারণা ছিল বিএনপি এবার নির্বাচন থেকে দূরে থাকবে না। ফলাফল যা-ই হোক, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় গত ১০ নভেম্বর। ওইদিন বিএনপি নেতারা তিনটি সিরিজ মিটিং করেন। ওই রাতেই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, তিনটি সভাতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরদিন ১১ নভেম্বর সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানান। একই দিনে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এলডিপি সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ (অব.) ২০ দলীয় জোটের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এখন জমজমাট অবস্থা। গত ১২ নভেম্বর থেকে সেখানে মনোনয়ন আবেদন ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩২৬টি ফরম। বিক্রি চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম কিনেছেন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন আবেদন ফরম বিক্রি শেষ হয়েছে গত ১২ নভেম্বর। মোট চার হাজার ২৩ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা ফরম সংগ্রহ করেছেন। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এবার সব দলেরই মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতার সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা অবশ্য ভালো একটি দিক। সাধারণ মানুষ যখন নানা কারণে রাজনীতিবিমুখ হয়ে উঠছে, তখন ‘অসাধারণ’ সব ব্যক্তি বড়-ছোট দলগুলো থেকে আইনপ্রণেতা হওয়ার খায়েশ ব্যক্ত করছেন। দেশের রাজনীতি বা গণতন্ত্রের জন্য তা কতটা ইতিবাচক তা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক আছে। যাক সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।

ধীরে ধীরে সারা দেশেই নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে। নির্বাচন আমাদের দেশে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করে। অবশ্য অতীতে বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সে আমেজের ছোঁয়া পাওয়া যায়নি। ১৯৮৫ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের কথা সবারই নিশ্চয় মনে আছে। ওই নির্বাচনগুলোতে দেশের বৃহৎ দল দুটির কখনো একটি, কখনো দুটিই নির্বাচন বর্জন করায় সেগুলো পানসে হয়ে গিয়েছিল। আর সেসব নির্বাচন যে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, সেটা বলাই বাহুল্য।

এবারো অনেকের মনেই শঙ্কা ছিল বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট যদি নির্বাচন বর্জন করে, তাহলে দেশে আরেকটি একতরফা বা পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে ঐক্যফ্রন্ট ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সে শঙ্কা দূর হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের এ সিদ্ধান্তকে রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিরা সময়োপযোগী এবং সঠিক বলেই মনে করছেন। এ সম্পর্কে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, তা থেকে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ‘প্রধান বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের, বিশেষত নির্বাচন কমিশনের দায় বেড়ে গেল। সব দল যাতে সমান সুযোগ পায় নির্বাচন কমিশনকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’ সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু সরকার যদি না চায়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা সম্ভব হবে না। কারণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা  বাহিনী সরকারের হাতে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘সব দল নির্বাচনে আসছে এটা ভালো লক্ষণ। এ আসাটা তখনই সফল হবে যখন নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ হবে।’ (কালের কণ্ঠ, ১২ নভেম্বর ২০১৮) অপরদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এটা একটি ইতিবাচক দিক। নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ গণতান্ত্রিক ধারাকে শক্তিশালী করবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে প্রত্যেকের উচিত হবে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা।’ সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ‘এতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়, ভোটাররা যাতে সর্বোচ্চ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে, নির্বাচন কমিশনকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’ (যুগান্তর, ১২ নভেম্বর ২০১৮)

লক্ষণীয় হলো, বিশিষ্ট নাগরিকরা একদিকে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে যেমন সাধুবাদ জানিয়েছেন; অন্যদিকে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ওপরও জোর দিয়েছেন। তারা পরিষ্কার করেই বলেছেন যে, গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দিতে হলে রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে যার যার অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। একটি নির্বাচন তখনই অর্থবহ হয়ে ওঠে, যখন দেশের তাবৎ রাজনৈতিক দল তাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় এবং নির্বাচনের ‘রেফারি’ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠে না। বলা নিষ্প্রয়োজন, আমাদের বর্তমান নির্বাচন কমিশন অবিতর্কিত নয়। তাদের ভূমিকায় বিরোধী দল বিশেষত ঐক্যফ্রন্ট অসন্তুষ্ট। তা ছাড়া কমিশনের কোনো কোনো সিদ্ধান্তে জনমনে ধারণা হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীনদের জন্য সুবিধাজনক সিদ্ধান্ত নিতে এবং তা বাস্তবায়নে তৎপর হতে পারে। জনমনের এ ধারণা নির্বাচন কমিশন কীভাবে দূর করবে, সে পথ তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে। তবে বিরোধীপক্ষের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্বাচনী শিডিউল কিছুটা পরিবর্তন এবং ভোটগ্রহণের তারিখ ছয় দিন পিছিয়ে দিয়ে কমিশন তাদের ইতিবাচক মনোভাবের কিছুটা হলেও দেখাতে পেরেছে। যদিও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল।

এদিকে বহমান সুবাতাস শেষ পর্যন্ত অক্ষুণ্ন থাকবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গত ১২ নভেম্বর বিএনপির পাঁচ শীর্ষস্থানীয় নেতা কারাগারে দেখা করেছেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে। বাইরে এসে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে অভিহিত করে চেয়ারপারসন তাদেরকে দোয়া করেছেন। একই দিনে বিএনপি নেতারা বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়েছেন, সরকার তাদের একটি দাবিও মানেনি। অন্যদিকে গত ১২ নভেম্বর নিজের মনোনয়ন আবেদন ফরম তোলার পর বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। পরিবেশ সৃষ্টি না হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। একই দিনে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন এক মাস পেছানোর দাবিতে অনড় থাকবে।

অপরদিকে ১৪ নভেম্বর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। তারা নির্বাচন কমপক্ষে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাদের স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে ওই দাবি সম্পর্কে তারা ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে বেরিয়ে আসার পর সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন না পেছানোর পক্ষে তাদের অবস্থানের কথা জানিয়ে এসেছেন। এখন নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে নির্বাচন কমিশন দাবি না মানলে ঐক্যফ্রন্ট কী করবে তা তারা বলেননি।

ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা ও নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করার ফলে জনমনে যে স্বস্তির ভাব ফিরে এসেছিল, এখন আবার তা ফিকে হতে শুরু করেছে। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, দলীয় চেয়ারপারসনকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি অংশ মেনে নিতে পারছে না। তাদের বক্তব্য হলো, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে খালেদা জিয়া আন্দোলন করেছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছেন, অনেক ত্যাগও স্বীকার করেছেন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য উত্থাপিত সাত দফার একটিও মানেনি সরকার। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে- এমন পরিবেশও তৈরি হয়নি। এ অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়া শুধু নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। খবরে বলা হয়েছে, দলটির একটি অংশ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়টিকে আবেগের সঙ্গে বিবেচনা করে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অংশটির সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ মধ্যম পর্যায়ের বেশকিছু নেতা রয়েছেন বলে জানা গেছে। (সূত্র : সমকাল, ১২ নভেম্বর ২০১৮)

এদিকে ১৪ নভেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত ঘটনাকে অশনিসঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক সচেতন মহল। ওইদিন পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নয়াপল্টন রূপ নিয়েছিল রণক্ষেত্রের। ব্যাপক সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দল সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসসহ অনেক নেতাকে আসামি করে তিনটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে পঞ্চাশজনকে। এ ঘটনার জন্য সরকার বিএনপিকে দায়ী করছে। আর বিএনপি দায়ী করেছে সরকারকে। তবে কারা এ সংঘর্ষের জন্য দায়ী, সে বিচারে না গিয়ে এটুকু বলতেই হয়, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার, এ ঘটনা সে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের ঘটনার যদি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশায় দেশবাসী উন্মুখ হয়ে আছে, তা হয়তো সোনার হরিণ হয়েই থাকবে। 

এসব বিষয় সামনে রেখে প্রশ্ন উঠেছে, শেষ পর্যন্ত তাহলে কী ঘটতে যাচ্ছে? এ প্রসঙ্গে ২০০৭ সালের পণ্ড হয়ে যাওয়া নির্বাচনের দৃষ্টান্ত টানছেন কেউ কেউ। সে সময় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেও একযোগে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ ও তাদের অনুগামী দলগুলো। তেমনিভাবে এবার বিএনপি যদি তাদের দাবি পূরণ হয়নি এবং নির্বাচনের পরিবেশ নেই- অভিযোগ তুলে নির্বাচনী মাঠ ত্যাগ করে, তাহলে? আর সেজন্যই জনমনে সংশয় জেগেছে, দেশের রাজনীতিতে যে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে, তা শেষ পর্যন্ত বহমান থাকবে কি-না।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads