• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

জীবন এবং নগদ নারায়ণের খেলা

  • শাহ আহমদ রেজা
  • প্রকাশিত ২৮ নভেম্বর ২০১৮

আজকের শুরুটা ফেসবুক দিয়ে করতে হবে। পাঠকদের অনেকেও নিশ্চয়ই ফেসবুকে রয়েছেন। এখানে বিচিত্র, এমনকি ভয়ঙ্কর অনেক কিছুও দেখতে হয়। জানা যায় অনেক ভীতিকর তথ্যও। যেমন ক’দিন আগে একজন একটি প্রেসক্রিপশনের ছবি হাজির করেছেন ফেসবুকে। এতে দেখা গেল, ওই পৃষ্ঠাটিতে আর একটি লাইন লেখার মতো জায়গাও খালি নেই! পৃষ্ঠার একদিকে চিকিৎসক মহোদয় নানা রকমের টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন, অন্যদিকটিতে রয়েছে একের পর এক ওষুধের নাম। ফেসবুকে যিনি পাঠিয়েছেন তিনি লিখেছেন, অন্য কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, যে রোগীর জন্য এত টেস্ট ও ওষুধের আয়োজন তার আসলে সেগুলোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘নামকরা’ এক চিকিৎসক অমন একটি প্রেসক্রিপশনের আড়ালে বিপুল খরচের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন রোগীর ঘাড়ে। এর ক’দিনের মধ্যেই আরেক রসিকজন একটি কার্টুন ছেড়েছেন ফেসবুকে। এতে দেখা গেল, সামান্য অসুখের জন্য ওষুধের পাহাড় চাপানো হয়েছে এক রোগীর মাথায়। ওষুধের চাপে বেচারার তখন রাস্তার ওপরই পড়ে যাই যাই অবস্থা!

বিষয়টি ফেসবুকে এলেও চিকিৎসার নামে দেশে আসলে এভাবেই চরম বিশৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের সামনে রাখা এবং তাদের ওপর দোষ চাপানো হলেও অন্তরালে রয়েছে ওষুধের ব্যবসায়ীরা। রয়েছে নামকরা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধ কোম্পানিও। উদ্বেগের কারণ হলো, সব জেনেও সরকার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাধারণ ওষুধের পাশাপাশি ভেজাল দেওয়া হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী অনেক ওষুধেও। ভেজাল ও বিষাক্ত ওষুধে এরই মধ্যে ছেয়ে গেছে দেশের বাজার। এসব বিষয়ে জানা সম্ভব হচ্ছে না বলে জনগণও ভেজাল ও বিষাক্ত ওষুধই কিনছে এবং খাচ্ছে। তারা শুধু শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছে না, নানা অসুখে ভুগে বহু মানুষ মারাও যাচ্ছে। এ ধরনের ওষুধের তালিকা বেশ দীর্ঘ। প্রস্তুতকারী কোম্পানির সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যানসারসহ মারাত্মক কিছু রোগের জন্য ব্যবহূত দুষ্প্রাপ্য ও খুবই দামি বিভিন্ন ওষুধ। তা ছাড়া পেনিসিলিন, নন-পেনিসিলিন ও সেফালোস্পেরিনসহ অ্যান্টিবায়োটিক ধরনের কিছু বিশেষ ওষুধও রয়েছে, যেগুলো কঠিন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে ও পরীক্ষানিরীক্ষা করে এমন ২৯টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল, যে কোম্পানিগুলো ভেজাল ও স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করে বলে কমিটি প্রমাণ পেয়েছে।

কিন্তু তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে সরকার বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে একদিকে ওইসব কোম্পানি বহাল তবিয়তে তাদের ওষুধ প্রস্তুতের রমরমা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের এই নমনীয় নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার নামান্তর মনে করে নতুন নতুন আরো কিছু কোম্পানিও ভেজাল ও বিষাক্ত ওষুধ প্রস্তুত করার অঘোষিত প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। এসব কোম্পানির সংখ্যা অনেক। ভেজাল ও বিষাক্ত ওষুধ প্রস্তুত করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক অপরাধই করে চলেছে ব্যবসায়ী নামের একটি বিশেষ গোষ্ঠী।

কিন্তু গণমাধ্যমের রিপোর্টে নাম ধরে ধরে তাদের সম্পর্কে জানানো হলেও কোনো কোম্পানির ব্যাপারেই সরকারি কোনো বিভাগ বা দফতরের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, বিষয়টি দেখা ও প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব যেসব সরকারি সংস্থার, সেসবের কর্তাব্যক্তিদের ঘুষের বিনিময়ে থামিয়ে রাখা এবং ‘ম্যানেজ’ করা হচ্ছে। ‘নগদ নারায়ণ’ তথা টাকার লোভে এদেশেরই একশ্রেণির ব্যবসায়ী নামধারী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী জাতি ধ্বংসের ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে অংশ নিচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বছরখানেক আগে হূদরোগীদের জিম্মি বানানোর খবর প্রাধান্যে এসেছিল। জিম্মি বানিয়েছিল অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা। হার্টে ব্লক সৃষ্টি হলে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সাধারণত অস্ত্রোপচার করে করোনারি স্টেন্ট বা রিং পরানো হয়। এতে রোগীদের জীবন বেঁচে যায়। এসব রিং যেমন কয়েক ধরনের রয়েছে, তেমনি রিংয়ের দামও বিভিন্ন রকমের। বিষয়টিতে প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের সব দেশের সরকারই হস্তক্ষেপ করে থাকে, যাতে রিংগুলো মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। কিন্তু করোনারি স্টেন্ট বা রিংয়ের দামের ব্যাপারেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এতদিন পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে এসেছেন। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে অনেক বেশি দাম আদায় করেছেন। ৬০ থেকে ৬২ হাজার টাকার আল্টিমাস্টার নামের রিং বিক্রি করেছেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকায়। যেহেতু জীবন বাঁচানোর প্রশ্ন জড়িত, সেহেতু ক্রেতারা অর্থাৎ রোগীর আত্মীয়স্বজনরা বেশি দাম দিয়েই রিং কিনতে বাধ্য হয়েছেন। একইভাবে রিং পরানোর কাজে দরকারি অন্যসব এক্সেসরিজের দামও আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আদায় করেছেন ব্যবসায়ীরা।

মাস কয়েক আগে বিস্তারিত অনুসন্ধান ও পর্যালোচনার পর সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করেছিল, মান ও প্রকার ভেদে রিংগুলোর দাম নির্ধারণ করতে হবে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করে একটি সার্কুলার জারি করার পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসন হাসপাতালগুলোকেও নির্দেশ দিয়েছিল, কেউ যাতে সরকার নির্ধারিত দামের বেশি দিয়ে রিং না কেনে এবং রোগীদের কাছ থেকে যাতে বেশি অর্থ আদায় না করে।

কিন্তু অত্যন্ত মহৎ হলেও সরকারের উদ্যোগটিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন আমদানিকারক তথা ব্যবসায়ীরা। শুরু হয়েছিল অঘোষিত ধর্মঘট। জাতীয় হূদরোগ ইনস্টিটিউটসহ সব হাসপাতালকে তারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের কাছ থেকে রিং কিনতে হলে আগের দামেই কিনতে হবে। যেমন কথা তেমন কাজও করে দেখিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের কোনো হাসপাতালেই কয়েক দিন কোনো অপারেশন হয়নি। রিং না পরানো গেলে এসব রোগীর যেকোনো সময় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কে জানে, কারো মৃত্যু ঘটেছেও কি না। কিন্তু সব জেনে-বুঝেই রিং সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসনের উদ্যোগে চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে ওষুধ প্রশাসন ব্যবসায়ীদের ‘আরো কিছুদিন’ সময় বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। অর্থাৎ বাস্তবে অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের কাছে সরকারের বড় ধরনের পরাজয় ঘটেছে। সরকার ব্যবসায়ীদের দাবিই মেনে নিয়েছে। ক’দিন বন্ধ থাকার পর আবারো পুরনো দামে কেনা রিং পরানো হচ্ছে রোগীদের। সরকারের দেওয়া ‘আরো কিছুদিন’ আসলে কত দিনে শেষ হবে সে ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দিয়েছে জনমনে। এ প্রসঙ্গে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কিছু খবর জানা গেছে সংবাদপত্রের রিপোর্টে। যেমন বলা হয়েছে, সরকার দাম কমিয়ে দেওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরাও নাকি অপারেশনে ‘উৎসাহ’ হারিয়ে ফেলেছিলেন। কারণ, কোম্পানিগুলো তাদের আর আগের ‘রেটে’ কমিশন দিচ্ছিল না! অর্থাৎ করোনারি স্টেন্ট বা রিংয়ের বাণিজ্যে চিকিৎসকরাও কমবেশি জড়িত রয়েছেন!

এবার ওষুধ প্রসঙ্গেই অন্য কিছু কথা। নিম্ন মানের এবং নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি করার পাশাপাশি যখন-তখন দাম বাড়ানোসহ বিভিন্ন অনস্বীকার্য অভিযোগ রয়েছে দেশের ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এসবের সঙ্গে অতি সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে নতুন এক গুরুতর অভিযোগ। গণমাধ্যমের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ওষুধ জালিয়াত চক্র সম্ভাব্য সব পন্থাতেই রোগাক্রান্ত মানুষের বিপদ বাড়িয়ে চলেছে। তাদের অপতৎপরতার শিকার হয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত তো হচ্ছেই, ভুল চিকিৎসায় অনেকে অকালে মারাও যাচ্ছে। প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে, এই জালিয়াত চক্র দেশি-বিদেশি বড় বড় কোম্পানির বেশ কিছু ওষুধের মোড়ক ও প্যাকেটের হুবহু নকল করে সেগুলোর ভেতরে নিজেদের তৈরি ওষুধ নামের নানা ধরনের ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল ঢুকিয়ে বাজারে বিপণন করছে। তারা বোতলেও ওষুধ নামের তরল পদার্থ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। অথচ এসব ওষুধ হূদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির মতো জটিল ও মারাত্মক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহূত হয়।

অনুসন্ধানে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু তথ্যও বেরিয়ে এসেছে। যেমন— এই জালিয়াত চক্র পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং ওষুধ প্রশাসনের লোকজন ও কর্মকর্তাদের ‘নগদ নারায়ণ’-এর বিনিময়ে ‘ম্যানেজ’ করে থাকে। ফলে ঘটনাক্রমিক বা লোক দেখানো কিছু তৎপরতা চালানোর বাইরে জালিয়াতদের বিরুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। একই কারণে তাদের প্রতারণা ও রমরমা ব্যবসাও অব্যাহত থাকতে পারছে। রাজধানীর সব হাসপাতাল এলাকার প্রায় সব ওষুধের দোকানেই জালিয়াত চক্রের সরবরাহকৃত ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। ভীতি ও উদ্বেগের কারণ হলো, সাধারণ ব্যবসায়ীরা তো বিক্রি করছেই, এমনকি ডাক্তারদের বড় অংশও কমিশন এবং উপঢৌকনের বিনিময়ে তাদের প্রেসক্রিপশনে এসব ওষুধের নাম লিখে চলেছেন। এর মাধ্যমে কেবল ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই ডাক্তাররা অমন গর্হিত কাজে জড়িত রয়েছেন। কার্যত দায়িত্বশীল পদে কর্মরত ডাক্তাররা লিখে দিচ্ছেন বলে রোগী ও তাদের স্বজনরা পরম বিশ্বাসের সঙ্গে ভেজাল ও নকল ওষুধই কিনছেন, রোগীদের খাওয়াচ্ছেনও। পরিণতিতে রোগ তো ভালো হচ্ছেই না, অনেক ক্ষেত্রে রোগীর জীবন বিপন্নও হচ্ছে। অনেকে দীর্ঘকালের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

এভাবে সব মিলিয়েই দেশের ওষুধের বাজারে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বড় কথা, সবই ঘটে চলেছে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও ওষুধ প্রশাসনসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে। ওষুধের বাজারের এই অবস্থা যে সব বিচারেই অত্যন্ত ভীতিকর সেকথা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। সরকারের উচিত, কালবিলম্ব না করে জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে ওঠা এবং মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অবসান ঘটানো। এ উদ্দেশ্যে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তৎপর করতে হবে। তারা যাতে ‘নগদ নারায়ণ’-এর লোভে জালিয়াতদের ছাড় না দেয়, সে ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখতে হবে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে জড়িত ও কর্মরত ডাক্তাররা যাতে নকল ও অপ্রয়োজনীয় কোনো ওষুধের নাম প্রেসক্রিপশনে না লেখেন এবং রোগী ও তার স্বজনদের ওপর বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপাতে না পারেন— সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ডাক্তারদের দায়িত্বের কথাটা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা দরকার। রোগীদের জীবন বাঁচানো এবং সুচিকিৎসা দেওয়াই তাদের প্রধান দায়িত্ব। এতে বিপন্নদের জীবন বেঁচে যাবে। সব মিলিয়েই মানুষের জীবনকে বিপন্ন করার চলমান কর্মকাণ্ডের অবসান ঘটানো দরকার। একই সঙ্গে দরকার জালিয়াতদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়াও।

 

লেখক : সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads