• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বিএনপিতে গৃহদাহ

বিএনপির এবারের প্রার্থী মনোনয়নের দিকে দৃষ্টি দিলে ব্যাপক অসঙ্গতি চোখে পড়বে

সংগৃহীত ছবি

মতামত

বিএনপিতে গৃহদাহ

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী মনির খান বিএনপি থেকে পদত্যাগ ও রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত ৯ ডিসেম্বর তিনি এ ঘোষণা দেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন। বলেছেন, ভালোবেসে যে দলের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, সে দলের কাছ থেকে ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা। মনির খান বিএনপির সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কেন্দ্র থেকে তাকে সে ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছিল। দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চিঠিও পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সব ওলট-পালট হয়ে গেল। তাকে প্রার্থী করা হলো না। আসনটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতকে। দলের জন্য দীর্ঘদিনের পরিশ্রম পণ্ডশ্রমে পরিণত হওয়ায় আশাহত মনির খান গুডবাই জানিয়েছেন দল এবং রাজনীতিকে। বলেছেন আর রাজনীতি নয়। এখন থেকে তিনি পুনরায় সঙ্গীত সাধনায় মগ্ন হবেন।

মনির খানের এ সিদ্ধান্তে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন, বেদনাহত হয়েছেন। তার এ বঞ্চনায় অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন দলের প্রতি তার আনুগত্য নিয়েও। তাদের বক্তব্য- সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নই কি একজন রাজনৈতিক কর্মীর মুখ্য উদ্দেশ্য? নীতি আদর্শ আর দলের প্রতি আনুগত্য কি শুধু মুখের কথা? মনির খানের পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের তুফান উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। বেশিরভাগ মানুষ তার সিদ্ধান্তকে যথার্থ বলে অভিহিত করছেন। তাদের বক্তব্য হলো- একজন মানুষ দলের জন্য নিজের শ্রম, মেধা আর অর্থ ব্যয় করে ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে, আর নির্বাচনের সময় দুম করে সেখানে একজনকে বসিয়ে দেওয়া হবে- এটা মানা যায় না। এটা গর্হিত অন্যায়।

বিএনপির এবারের প্রার্থী মনোনয়নের দিকে দৃষ্টি দিলে ব্যাপক অসঙ্গতি চোখে পড়বে। দলটির হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তে বঞ্চিত হয়েছেন অনেক নিবেদিতপ্রাণ নেতা। দলের জন্য ডজন ডজন মামলার আসামি হয়েছেন, বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, পরিবারের সহায়-সম্পদ খুইয়ে নিঃস্ব হয়েছেন, এমন অনেক নেতাই এবার মনোনয়নের সোনার হরিণের নাগাল পাননি। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে জন্ম নিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। যার বিস্ফোরণ ঘটেছে গত ৮ ও ৯ ডিসেম্বর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানস্থ চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। ওই দুদিন বঞ্চিত নেতাদের কর্মী-সমর্থকরা অফিস দুটি ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে, ভাঙচুর চালায় এবং সিনিয়র নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। বিএনপির চল্লিশ বছরের ইতিহাসে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনার নজির নেই।

দলটির মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের তালিকার দিকে যদি তাকাই, তাহলে বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও চারদলীয় জোট সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থেকে অতিসম্প্রতি দেশে ফিরে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন এবং বর্তমানে কারাগারে আছেন। মিলন তার এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী- এ ভাষ্য ওই এলাকার মানুষের। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ধনাঢ্য ব্যক্তিকে, যিনি ওই এলাকার রাজনীতির সঙ্গে তেমনভাবে সম্পৃক্ত নন। বঞ্চিত হয়েছেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের বিএনপি থেকে তিনবার নির্বাচিত এমপি আশরাফ উদ্দিন নিজান। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় এ নেতা কোরবানি হলেন ঐক্যের স্বার্থের। ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেএসডির আ স ম আবদুর রবকে। মনোনয়নবঞ্চিত হবেন এটা নিশ্চিত হয়ে আশরাফ উদ্দিন নিজান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘আপনি ও ম্যাডাম আমার জন্য গত ২০ বছরে অনেক কিছু করেছেন। এ জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। আমি স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানাই, যারা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আমি বুঝতে পারছি, আমার রাজনৈতিক জীবনের শেষটা খুব কাছে এবং আমি সবকিছু গ্রহণ করব আন্তরিকভাবেই’ (সমকাল, ২৯ নভেম্বর ২০১৮)। আশরাফ উদ্দিন নিজানের এই চিঠি যেন ন্যায্য প্রাপ্য হারানো একজন মানুষের দীর্ঘশ্বাস। একই কারণে বলি হয়েছেন কুমিল্লা-৪ আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। তার আসনে দেওয়া হয়েছে জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনকে। ওই এলাকার নেতাকর্মীরা ঢাকায় বিক্ষোভ করে বলেছেন, এলাকায় রতনের কোনো পরিচিতি বা জনসম্পৃক্তি নেই। শামসুজ্জামান দুদু, সাবেক ছাত্রনেতা, বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন এই সাবেক এমপিও। অথচ দলটির চলমান দুঃসময়ে তিনি পালন করেছেন অত্যন্ত দৃঢ় ভূমিকা। বিশেষত টিভি টক শোতে দলের পক্ষে জোরালো ভাষায় কথা বলে দৃষ্টি কেড়েছিলেন সবার। সেই দুদুকেও বঞ্চিত করা হয়েছে মনোনয়ন থেকে। জরুরি অবস্থার সময় দল ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বকে ছিনতাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বন্দি হওয়ার আগে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব নিযুক্ত করেন খালেদা জিয়া। তিনি দলের চেয়ারপারসনের দেওয়া দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করেছেন। অনেকেই বলেন, সেদিন বেগম জিয়া যদি অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতেন, তাহলে দল এবং তার নেতৃত্ব ছিনতাই হয়ে যেত। চেষ্টা যে হয়নি তা নয়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর রাতে সাইফুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মেজর হাফিজকে অস্থায়ী মহাসচিব বানানো হয়। দল ও নেতৃত্ব ছিনতাইয়ের সে চেষ্টাও রুখে দিয়েছিলেন খোন্দকার দেলোয়ার নেতাকর্মীদের নিয়ে। তার আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তার দুই ছেলে। অনেকেই আশা করেছিলেন দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার দুই ছেলের একজনকে দল মনোনয়ন দেবে; কিন্তু তা হয়নি। খোন্দকার দেলোয়ারের পুত্র গুলশান অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে অশ্রু বিসর্জন পর্যন্ত দিয়েছেন। দলের বর্তমান কাণ্ডারিদের তাতে মন গলেনি। ওয়ান-ইলেভেনের কঠিন দিনগুলোতে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পাশে ছায়ার মতো ছিলেন সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিন (কুষ্টিয়া) ও শাহ নূরুল কবির শাহীন (ময়মনসিংহ)। তাদেরকেও বঞ্চিত করা হয়েছে ন্যায্য প্রাপ্য থেকে। ওয়ান-ইলেভেনের দুঃসময়ে বিএনপির ত্রাতা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্ররা বঞ্চিত হলেও ওই সময় বেগম জিয়াকে মাইনাস করতে যিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছিলেন, সেই সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান বাবু ঠিকই মনোনয়ন পেয়েছেন মৌলভীবাজার থেকে। বিএনপির এবারের মনোনয়নের ক্ষেত্রে সংস্কারপন্থিদের জয়জয়কার লক্ষ্যযোগ্য। ইতোপূর্বে সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত ও দলের বাইরে ছিটকে পড়া সাবেক এমপি ও তাদের বড় একটি অংশকে এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিএনপির ওই চরম দুর্যোগের সময় সাহসী ভূমিকা পালনকারী নেতাকর্মীরা যুগপৎ বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ। কক্সবাজারের মহেশখালীর অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা এবং সাবেক এমপি। তার নামও লেখা হয়েছে মনোনয়ন বঞ্চিতদের তালিকায়। এমনিভাবে আরো বাদ পড়েছেন গাজীপুরের অধ্যাপক আবদুল মান্নান, পাবনার মেজর মঞ্জুর কাদের (অব.), ঝিনাইদহের মশিউর রহমান, সুনামগঞ্জের কলিম উদ্দিন মিলন, ঝালকাঠির ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, বেগম জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া (নরসিংদী), আহমদ আজম খান (কালীহাতি, টাঙ্গাইল), সাবেক ছাত্রনেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম (গোপালগঞ্জ) প্রমুখ। তালিকা লিখতে গেলে নিবন্ধের কলেবর বেড়ে যাবে।

কেউ হয়তো বলতে পারেন, তিনশ আসনে মনোনয়ন দিতে গেলে কাউকে না কাউকে তো বাদ দিতেই হবে। তাছাড়া যারা দলের প্রতি অনুগত তাদের এ নিয়ে ক্ষোভ, বিক্ষোভ বা উষ্মা প্রকাশ করার কিছু নেই। কথা অযৌক্তিক নয়। দল করতে হলে দলের সিদ্ধান্ত মানতেই হবে। কিন্তু বিচার্য বিষয় হলো, একজনকে বাদ দিয়ে অন্য যাকে দেওয়া হলো তিনি কতটা যোগ্য। তাছাড়া দলের প্রতি তার অবদানই বা কতটুকু। এবার বিএনপির প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এখন প্রকাশ্য। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন, টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন বিক্রি করা হয়েছে। চাঁদপুরেরই আরেকটি আসনে (ফরিদগঞ্জ) একই ঘটনা ঘটেছে। ওই আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন লায়ন হারুনুর রশিদ। বিত্তবান হারুনুর রশিদ গত দশ বছর দলের জন্য অকাতরে ব্যয় করলেও এবার তিনি ছিটকে পড়েছেন। তার পরিবর্তে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আরেক ধনাঢ্য ব্যক্তি এম এ হান্নানকে। কেন এই প্রার্থী পরিবর্তন? এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে হারুনুর রশিদের সমর্থকরা এক্ষেত্রে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন।

বিএনপির এবারের মনোনয়ন কেমন হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলাম কেন্দ্রীয় একজন নেতার কাছে। তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বললেন, সর্বনাশ হওয়ার জন্য যেমন দরকার তেমনই হয়েছে। বুঝতে পারলাম না- বলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অধিকতর ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বললেন, অর্থ আর ঐক্যের বলি হয়েছে এবার বিএনপি। এ কারণে অন্তত পঁচিশ-ত্রিশটি নিশ্চিত আসনে ভরাডুবি নিশ্চিত হয়েছে। বিএনপি নেতাদের বাদ দিয়ে শরিক দলের এমনসব নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যারা এলাকায় জনপ্রিয় হওয়া তো দূরের কথা, অনেকের ন্যূনতম পরিচয়ও নেই।

প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে বিএনপিতে সৃষ্ট পরিস্থিতি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পত্র-পত্রিকার নিবন্ধ এবং টিভি টক শোতে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান লিখেছেন, ‘টানা ১২ বছর বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্যাতন, নিপীড়ন ও নির্বাসনের সাজা ভোগ করেছেন। ভবিষ্যৎ তাদের অন্ধকার। মামলার জালে তারা আটকা। পুলিশের তাড়া খেয়ে ভীতসন্ত্রস্ত। স্বাভাবিক জীবন যাপনে শান্তি ও স্বস্তি হারাম। অনেকের প্রত্যাশা ছিল এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জয়-পরাজয় যা-ই হোক, বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু অসংখ্য মামলা, অবিরাম হয়রানি ও কারাদহন ভোগ করেও জনপ্রিয় নেতাদের বদলে দলের মনোনয়ন বাণিজ্যের খোলাবাজার থেকে যেভাবে নব্যরা আচমকা মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন, তাতে কারাগারের ভেতরে-বাইরে থাকা বঞ্চিত প্রার্থীদের হূদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। হতাশার চাদরে ঢাকা পড়েছে নেতাকর্মীদের ত্যাগের ১২টি বছর’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮)। উল্লেখিত অভিমতকে অযৌক্তিক বলার উপায় আছে বলে মনে হয় না। অন্তত বঞ্চিত নেতা ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সে সাক্ষ্যই দেয়।

দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের সসম্মানে দেশে প্রত্যাবর্তনের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিএনপি এ নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছে- একথা দলটির দায়িত্বশীল নেতাদের কাছ থেকে দেশবাসী শুনেছে। নেতাকর্মীরা সে আশায় বুক বেঁধে আছে। কিন্তু মনোনয়ন নিয়ে যাচ্ছেতাই কাণ্ড দলটির অভ্যন্তরে যে গৃহদাহের সৃষ্টি করল, তাতে তাদের সে আশার স্বপ্ন পুড়ে ছারখার হয়ে যায় কি-না, সেটাই ভাবনার বিষয়।  

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads