• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
সংবাদগুলো আমাদের আশাবাদী করে না

স্পষ্টতই নির্বাচনের বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়

সংগৃহীত ছবি

মতামত

সংবাদগুলো আমাদের আশাবাদী করে না

  • তারেক শামসুর রেহমান
  • প্রকাশিত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে, যা আমাদের আশাবাদী করে না। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ড. মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা হয়েছে। এসব হামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের (আরটিএনএন)। পটুয়াখালীতে বিএনপির জনসভায় বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। সারা দেশে হামলায় আহত হয়েছে শতাধিক। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না, সে ব্যাপারে বিভক্ত রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তৃতীয় বেঞ্চে এখন এটি নির্ধারিত হবে। তারপরও রয়ে গেল আপিল বিভাগ— বেগম জিয়া কিংবা রাষ্ট্রপক্ষ যেতে পারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। ফলে চূড়ান্ত বিচারে বেগম জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি-না, সে প্রশ্ন থেকেই গেল। মন্ত্রীরা পুলিশ প্রটেকশন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন- সে ছবিও ছাপা হয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছিল মন্ত্রীরা কোনো ‘প্রটেকশন’ নিতে পারবেন না। এর আগে অনেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- এমন খবর ছবিসহ সংবাদপত্রে ছাপাও হয়েছিল। ফলে একটা প্রশ্ন থাকলই- নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত হয়নি! সবাই সমান সুযোগ পাচ্ছে না। এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত নয়া মর্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার অন্যান্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের মতো সরব হয়েছেন। সহিংসতা বন্ধ ও সকল দলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের কথা বলেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অর্থায়ন করবে। আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ‘অসুস্থ’ হয়ে গেছেন সিঙ্গাপুরে। এ যেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বের চিত্র! তখন ‘অসুস্থ’ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন সিএমএইচে, এবার সিঙ্গাপুরে। জাতীয় পার্টির ‘কর্তৃত্ব’ আদৌ এরশাদের কাছে আছে কি-না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এবারের নির্বাচন আগেরবারের যেকোনো নির্বাচনের চাইতে অনেক ব্যতিক্রম। অধ্যাপক বি. চৌধুরী, যিনি ছিলেন বিএনপি গঠনের উদোক্তাদের মাঝে একজন, তিনি এখন আওয়ামী লীগ শিবিরে। তার ছেলে মাহী বি. চৌধুরী এখন ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। দলবদলের ঘটনা ঘটেছে। এই দলবদলের ঘটনার রাজনৈতিক স্বার্থের চাইতে ব্যক্তিগত স্বার্থ বেশি প্রধান্য পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেন সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। ড. কামাল হোসেন এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না, ফলে একটা প্রশ্ন ইতোমধ্যে উঠেছে যে, জাতীয় সংসদে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা কে হবেন? কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন করতে পারছেন না। নিঃসন্দেহে এটা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শক্তিকে দুর্বল করবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় ভিড় বাড়ছে; কিন্তু ফ্রন্টের কোনো ইশতেহার এখনো উপস্থাপন করা হয়নি। একটি খসড়া ইশতেহার সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে বটে, কিন্তু তা অসম্পূর্ণ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই একটা প্রশ্ন জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে, আর তা হচ্ছে বাংলাদেশ কি নতুন এক রাজনীতির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে? নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতি নতুন করে যাত্রা শুরু করেছিল। পঞ্চম জাতীয় সংসদে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একত্রিত হয়ে সংবিধানে সংশোধনী এনে দেশে সংসদীয় রাজনীতির ধারা চালু করেছিল। কিন্তু সেই সংশোধনী সুখের হয়নি। সংসদীয় রাজনীতি আমরা চালু করেছিলাম বটে, কিন্তু দিনের পর দিন সংসদ বয়কটের রাজনীতি সংসদীয় রাজনীতির অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। একপর্যায়ে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করে আমরা সংসদীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই ব্যবস্থাও ব্যর্থ হয়েছিল। এরপর আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম ‘ছদ্ম সেনাশাসন’- অর্থাৎ পরোক্ষ সেনাশাসন, যেখানে সেনাবাহিনী পর্দার অন্তরালে থেকে শাসনক্ষমতা পরিচালনা করেছে। সাধারণ মানুষ সেই ‘সেনাশাসন’কে গ্রহণ করে নেয়নি। ফলে আবারো রাজনীতিবিদদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল দেশ পরিচালনা করার। ২০০৮ সালে ‘সকল দলের অংশগ্রহণে’ নির্বাচন হয়েছিল বটে। কিন্তু ওই নির্বাচন ও নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ (নবম) গণতন্ত্রকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেনি, বরং দুটি বড় দলের (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি) মাঝে ব্যবধান আরো বেড়েছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল ‘গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিকাঘাত’ এর শামিল। একদিকে বিএনপির নির্বাচন বয়কট, অন্যদিকে সাংবিধানিক ধারবাহিকতা- এই ‘দ্বন্দ্বে’ বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছিল এমন একটি নির্বাচন, যেখানে ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা ভোটে সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে সেটা ছিল একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। সেই সংসদ তার ৫ বছরের টার্মও পূরণ করতে যাচ্ছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী যে সহিংসতা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের যে ‘দৃশ্য’ মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে, তাতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়নি। বরং গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত প্রায় পাঁচ বছরে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ নিয়ে বিদেশি দাতাগোষ্ঠীর ‘হস্তক্ষেপ’ বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টে বিএনপি মূলশক্তি হলেও, নেতৃত্বে নেই বিএনপি। নেতৃত্ব চলে গেছে অন্যদের হাতে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের বিদেশ-নির্ভরতা এতটুকুও কমেনি। নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিদেশিরা। জনৈক মার্কিন কংগ্রেসম্যানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওকে লেখা একটি চিঠি বাংলাদেশের সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। সেখানে তিনি নির্বাচন নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন।

স্পষ্টতই নির্বাচনের বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে ভারত কিংবা ব্রিটিশ হাই-কমিশনারের কোনো মন্তব্য থাকতে পারে না। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য এখানেই যে আমরা বার বার আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছি। এটা ভালো নয়। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন আছে। সরকারের সব মন্ত্রীই এখন ক্ষমতায়। তারা পুলিশ প্রটেকশন নিচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। সংসদও ভেঙে দেওয়া হয়নি। কামাল হোসেন একটি নিরপেক্ষ সরকারের দাবি করছেন বটে। কিন্তু এর পেছনে যুক্তি যাই থাকুক না কেন, ঐক্যফ্রন্টের উচিত ছিল সাংবিধানিক কাঠামোয় এর একটি ‘সমাধান’ বের করা। তারা তা করেননি। ঐক্যফ্রন্টের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অত শক্তিশালী নয়। তারা কোনো ফর্মুলা দিতে পারেননি। এমনকি সংলাপেও তারা একটি ফর্মুলা দিতে পারতেন। জাতি কোনো বিকল্প কিছু পায়নি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আছেন। মন্ত্রীরা সবাই আছেন। এটা ঐক্যফ্রন্টকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। একটি ছোট্ট মন্ত্রিসভা ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে একটি মন্ত্রিসভা গঠিত হলে মন্ত্রিসভার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ত। কিন্তু তা হয়নি। সংলাপ হয়েছিল বটে। কিন্তু ফলাফল ছিল শূন্য। এখন ‘শূন্য ফলাফল’ নিয়েই ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনে যেতে হয়েছে। তবে একটা ভালো খবর- ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে থাকছে। এটাই সঠিক রাজনীতি। নির্বাচন বয়কট কোনো ‘রাজনীতি’ হতে পারে না। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বয়কট করেছিল। কিন্তু তা দলটির জন্য সুখের হয়নি।

এখন নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচন নিয়ে আমরা আশাবাদী হতে চাই। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ রাজনীতির অবসান ঘটুক, এ প্রত্যাশা আমাদের সবার। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মহাজোটের শরিকদের প্রায় ৬০টির মতো আসন ছেড়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের এই ‘উদ্যোগ’ নিঃসন্দেহে  মহাজোটকে আরো শক্তিশালী করবে। জাতীয় পার্টি একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার যে সম্ভাবনা ছিল, তা রহিত হয়ে গেল। জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব এখন প্রশ্নের মুখে থাকল। নির্বাচনটি মূলত এখন সীমাবদ্ধ থাকল মহাজোট আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে। একটি তৃতীয় শক্তির উত্থানের কথা বার বার বলা হলেও, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই সম্ভাবনারও বিকাশ ঘটল না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আবারো প্রমাণ করল জাতীয় রাজনীতি মূলত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে- একদিকে আওয়ামী লীগ ও অন্যদিকে আওয়ামী লীগবিরোধী একটি শক্তি। এত দিন বিএনপি আওয়ামী লীগবিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। এখন বিএনপির পরিবর্তে সেখানে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জন্ম হয়েছে একটি জোটের, যেখানে বিএনপির একক কর্তৃত্ব আর নেই। তবে রাজনীতিতে যে আস্থাহীনতা, বিদ্বেষ, অপরপক্ষকে সহ্য না করার যে মানসিকতা, তা রয়ে গেছে। তাতে পরিবর্তন আসেনি। তবে প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে একটাই- ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে না। অর্থাৎ নির্বাচন বয়কট হচ্ছে না। বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা একটি শক্তিশালী বিরোধী দল পাব একাদশ জাতীয় সংসদে। এখন নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচন আমাদের আস্থার জায়গাটা তৈরি করুক। ভোটকেন্দ্র দখল আর সিলমারার সংস্কৃতি যেন ফিরে না আসে। মানুষ যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারে। ঘৃণার যে রাজনীতি, তার অবসান হোক। এই নির্বাচন যদি ত্রুটিমুক্ত না হয়, তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে। এ জন্যই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপের কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছে লন্ডনভিত্তিক সাপ্তাহিক ইকোনমিস্টের ‘ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট’। আর মার্কিন কংগ্রেসম্যান জো উইলসন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে (মার্কিন) লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা ছাড়া এখানে (অর্থাৎ বাংলাদেশে) রাজনৈতিক সহিংসতা, অর্থনৈতিক দৈন্যদশা ও দরিদ্রতার অবসান হবে না’। এটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭-এর ওপর। এটা নিঃসন্দেহে সুলক্ষণ। কিন্তু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। না হলে প্রবৃদ্ধি থমকে থাকবে। তাই ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তার দায়িত্ব-কর্তব্য অনেক বেশি। বিরোধী দলকে আস্থায় নেওয়া ও একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলাটা জরুরি। কিন্তু নির্বাচনের আগে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় একের পর এক হামলা, নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা, কিংবা নির্বাচন কমিশনের ‘কর্তৃত্ব’ ছাড়াই ঢাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক আমাদের কোনো আশার বাণী শোনায় না। এটা নিঃসন্দেহে সরকারি দল ও বিএনপির মাঝে আস্থাহীনতার যে সম্পর্ক, তাতে আরো ব্যবধান তৈরি করবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাই অনেক প্রশ্ন, অনেক জিজ্ঞাসা।

লেখক : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads