• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

মতামত

এই নির্বাচন আমাদের কী দেবে

  • তারেক শামসুর রেহমান
  • প্রকাশিত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বাকি আছে মাত্র কয়েকটি দিন। কিন্তু ইতোমধ্যে নির্বাচন নিয়ে যেসব সংবাদ পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে, তাতে করে একটি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে বৈকি! ঐক্যফ্রন্টের অনেক প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারছেন না। যেতে পারছেন না নিজ নির্বাচনী এলাকায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সত্য-মিথ্যা সংবাদ ছাপা হচ্ছে। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আবারো বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছেন। একজন সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের গুলিবিদ্ধ ছবি সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। তিনি নিজে নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে নালিশ করলেন ওই এলাকার ওসি নিজে তাকে গুলি করেছেন। ইসি অবশ্য সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছে- ওই ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু শুধু প্রত্যাহারই কি যথেষ্ট? একজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে গুলি করা, তাকে আহত করা- এর তো তদন্ত হওয়া উচিত। সেটা হবে কি? আরেক ওসির বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে— যেখানে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে তিনি প্রকাশ্যেই একটি দলের পক্ষে ভোট চাইলেন। এটা কি তিনি পারেন? একজন সরকারি কর্মকর্তা, যিনি নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকবেন— তিনি কি প্রকাশ্যে একটি দলের পক্ষে ভোট চাইতে পারেন? ইসির তো উচিত এর ব্যাখ্যা চাওয়া। ইসির ব্যাপারে হতাশা অনেকের। যেখানে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতা হচ্ছে, বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, সেখানে ইসি নির্লিপ্ত। ইসির নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে দ্বন্দ্বের খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এটা কোনো ভালো খবর নয়। ইসির ভেতরকার দ্বন্দ্বে গুজবের ডালপালা বাড়তে পারে! সুবিধা নিতে পারে একটি পক্ষ। কোনো কোনো কমিশনারের বক্তব্য (‘মারামারি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ’) ইসির ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ইসি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে না— এই অভিযোগ শক্তিশালী হচ্ছে। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের নেতারা আত্মগোপনে। কোথাও কোথাও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর কোনো পোস্টার ও প্রচারণাও নেই— এমন খবরও দিচ্ছে মিডিয়া। জনৈক মন্ত্রীর সরকারি গাড়ির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ওই মন্ত্রী সরকারি গাড়ি ও প্রটোকল ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। অথচ নির্বাচনী আইনে এটা নিষিদ্ধ।

সুজন সম্পাদক বলেছেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রায় অসম্ভব!’ বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে, বিশেষ করে ইসির ভূমিকা দেখে কি তার বক্তব্য সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে না? ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরের ওপর হামলার কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিস্থিতিতে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে জাতিসংঘ।’ এর আগে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে এবং ভোটারদের বাধাহীন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল ও বিচারিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল মার্কিন কংগ্রেস। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এসব খবর আমাদের শঙ্কিত করে। নির্বাচনের যখন মাত্র কয়েকদিন বাকি, তখনো প্রধান দুটি দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুষ্ঠু ও ভালো নির্বাচনের জন্য পরস্পরের প্রতি যে বিশ্বাস ও আস্থা রাখা দরকার, তা দেখা যাচ্ছে না। ফলে একটি নির্বাচন হবে বটে এবং তাতে ‘সকল দল’ অংশ নেবে বটে; কিন্তু তাতে করে কি নির্বাচনটি বিশৃঙ্খলামুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্তভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারবে? এ প্রশ্ন এখন অনেকের। উভয় পক্ষই নির্বাচনটিকে যে সিরিয়াসলি নিয়েছে, তার বড় প্রমাণ তাদের পক্ষ থেকে ইশতেহার প্রকাশ। কিন্তু কোনো ইশতেহারই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। এই ইশতেহার নির্বাচনী প্রক্রিয়ার একটি অংশ।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ইশতেহারে কিছু কিছু বিষয় সুস্পষ্ট করে বলা হলেও এর সঠিক বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু দুর্নীতি দমনে তাদের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো নয়। টিআইবির রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশ থেকে পাচার হয়েছে ৬ লাখ কোটি টাকা অথচ বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ১ লাখ কোটি টাকা। বলা হচ্ছে দুর্নীতির কারণে এটি হয়েছে। পাওয়ার সেক্টরে এক বছরে ১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে— এটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ব ব্যাংক (নিউএজ, ২০ ডিসেম্বর)। গ্রামে নগর সুবিধা সম্প্রসারণের কথা বলছে আওয়ামী লীগ। এটা একটা নতুন দিক। এতে করে কি গ্রামের যে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, তা ধ্বংস হবে না? গ্রামকে গ্রামের মতোই রাখা উচিত। তবে গ্রামের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা দরকার। কৃষিজমি সংরক্ষিত রাখা দরকার। কৃষিজমিতে এখন বাড়িঘর হচ্ছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে। এর ফলে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট আইন নেই। মানুষ বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্রামে সুদবিহীনভাবে গৃহঋণ দেওয়া যেতে পারে, যাতে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা যায়। এর ফলে কৃষিজমিতে বসতবাড়ি করার প্রবণতা কমে যাবে। ব্লু ইকোনমির ধারণাটাও ভালো। অন্যদিকে বিএনপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী ৫ বছরে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ বছর মেয়াদি ঋণ চালু করা, বেকার ভাতা চালু ইত্যাদির কথাও বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বলছে তারা ক্ষমতায় গেলে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করবে, অন্যদিকে বিএনপির ইশতেহারে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলা হলেও, বিএনপির ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলা হয়নি। যেহেতু ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি নির্বাচন করছে, সে ক্ষেত্রে বিএনপির আলাদা নির্বাচনী ইশতেহার দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তারপরও আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ইশতেহার নিয়ে কথা বলা যায়। উভয় দলের ইশতেহারেই এ ধরনের ‘কাগুজে প্রতিশ্রুতি’ রয়েছে। কিন্তু কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা সুস্পষ্ট করে বলা হয়নি। আওয়ামী লীগ বড় দল। সরকারে আছে ১০ বছর। প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন আরো ৫ বছর তার থাকা দরকার। এ কারণে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেশি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আওয়ামী লীগ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলছে। কিন্তু তাদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। দলটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা বলছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে ব্যাংকঋণ জালিয়াতির একাধিক সংবাদ ছাপা হয়েছে। কিন্তু দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আর জালিয়াতি বন্ধ করা যায়নি। খেলাপি ঋণের করাল গ্রাসে এখন ব্যাংকিং খাত। খবরে প্রকাশ, ৫টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫০-৯৪ শতাংশ এবং অন্য ৬টির ২০-৩৪ শতাংশ। সিপিডির গবেষণায় বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে দশ কেলেংকারিতে লোপাট হয়েছে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণ এখন ৬০ হাজার টাকা। এতকিছুর পরও বিগত দিনগুলোতে সরকার অনেক ভালো কাজ করেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭-এর উপরে। দারিদ্র্য কমেছে। কেবল আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন।

বিশ্ব ধীরে ধীরে একধরনের আর্থিক সঙ্কটের দিকে যাচ্ছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ দৃশত বজায় রয়েছে। এতে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি। আগামী সরকারের জন্য এটা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ, ঐক্যফ্রন্ট কিংবা বিএনপির কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই। উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন। সেখানে দুর্নীতি রোধ করাটা জরুরি। সমাজে বৈষম্য বেড়েছে। দারিদ্র্য কমলেও বৈষম্য বেড়েছে। ধনী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে গরিব মানুষের সংখ্যাও। দলগুলোর ইশতেহার বৈষম্য কমাতে কোনো কর্মসূচি নেই। এ দেশে তরুণ বেকারের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এরা বেকার, অর্ধবেকার। সরকার সবাইকে চাকরি দিতে পারবে না। কোনো সরকারই তা পারে না। আগামী ৫ বছরে ২৮ লাখ কর্মসংস্থানের কথা বলছে আওয়ামী লীগ। জনপ্রতি দু’লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথাও বলছে আওয়ামী লীগ। এতে করে বেকার সমস্যার পূর্ণ সমাধান হবে না। এ জন্য দরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যোগ্য ও প্রশিক্ষিত কর্মী গড়ে তোলা। দলগুলোর ইশতেহারে আমরা কোনো ধরনের পরিকল্পনার কথা শুনিনি। জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য একটি বড় শঙ্কার কারণ। কিন্তু এ বিষয়েও দলগুলো কিছু জানায়নি।

সাধারণত ভোটারদের আকৃষ্ট করতেই এ ধরনের ইশতেহার দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা হচ্ছে ইশতেহার দেখে মানুষ ভোট দেয় না, ভোট দেয় মার্কা দেখে। এ কারণেই দেখা গেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির মার্কা ধানের শীষ ব্যবহার করছে তাদের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টের অনেক নেতা রয়েছেন, যারা আজীবন বিএনপির বিরোধিতা করলেও এখন বিএনপির মার্কা ধানের শীষ নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে তাই ইশতেহারের বক্তব্যের চাইতে মার্কাটাই হলো আসল। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে জাতি দু’ধারায় বিভক্ত হয়ে আছে। এক ধারার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ, অন্য ধারার নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দলই এখন বেশ কিছু ছোট ছোট দলকে নিয়ে ঐক্য করেছে। কিন্তু এই দুটি বড় দলের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষ, আস্থাহীনতা এত বেশি যে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এক নতুন সরকার গঠিত হলেও, এই বৈরিতার সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব বলে মনে হয় না। এই সংস্কৃতির পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে বড় দুটি দলকেই। আমরা বার বার রাজনীতিবিদদের কাছে ফিরে যাই। রাজনীতিবিদরাই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ অব্যাহত থাকে, তাতে করে অসাংবিধানিক শক্তিগুলোই অনুপ্রাণিত হবে। একদলীয় কর্তৃত্ব কোনো ভালো খবর নয়। সরকার অনেক ভালো কাজ করেছে। প্রবৃদ্ধি ৭-এর উপরে ধরে রাখা, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, জাতীয় আয় বৃদ্ধি, কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি— এগুলো সবই সরকারের কৃতিত্ব। সরকারের এই অবদানকে সামনে রেখেই ভোটারদের কাছে যেতে হবে। ভোটকেন্দ্র দখল আর সিল মারা সংস্কৃতির যে চিত্র আমরা প্রত্যক্ষ করেছি বিগত সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলোতে, তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ভোট নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে। ভোট-পরবর্তী রাজনীতিতে যেন সহিংসতা স্থান না পায়। মানুষ ভোট দিক। সব দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এই অংশগ্রহণ যেন উৎসবমুখর হয়।

 

লেখক : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads