• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

ইন্টারনেট এবং মানবাধিকার

  • প্রকাশিত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে প্রকাশিত সব রিপোর্ট সবসময় ভালো লাগে না। ভালো লাগার কথাও নয়। যেমন মাঝখানে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের নেতিবাচক নানা দিক নিয়ে দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকটি সংস্থা যেসব রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেগুলো সম্পর্কেও আবার নেতিবাচক বক্তব্য বেশি শুনতে ও পড়তে হয়েছে। ওই নির্বাচন নিয়ে এখনো রিপোর্ট এবং পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য প্রকাশের পালা চলছেই।

আজকের প্রথম বিষয়বস্তু অবশ্য রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নয়। এটা আমাদের একটি সামাজিক সমস্যা সংক্রান্ত। ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস’ উপলক্ষে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, বাংলাদেশে ফেসবুকসহ ডিজিটাল যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারণা ও হয়রানি বেড়ে চলেছে। এসবের শিকার হচ্ছে বিশেষ করে শিশু-কিশোররা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৩২ শতাংশই সহিংসতা, ভয়ভীতি এবং ডিজিটাল উৎপীড়নের শিকার হচ্ছে অথবা শিকার হওয়ার মুখে রয়েছে। 

বাংলাদেশসহ ১৬০টিরও বেশি দেশে প্রায় ১০ লাখ শিশু-কিশোর তথা তরুণ জনগোষ্ঠীর ওপর পাঁচ সপ্তাহ ধরে পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে প্রণীত ইউনিসেফের এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৬ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত বয়সীরাই অন্যদের তুলনায় উসকানিমূলক হয়রানির শিকার বেশি হচ্ছে। ইউনিসেফের সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়সের আগেই ইন্টারনেট বা ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করতে শুরু করে। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ অর্থাৎ প্রায় ৬৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারের স্থান হিসেবে প্রাথমিকভাবে বাসাবাড়িতে নিজেদের ব্যক্তিগত কক্ষকে ব্যবহার করে। পরবর্তীকালে এই গণ্ডি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। তারা বাইরের বিভিন্ন স্থানেও ইন্টারনেট ব্যবহারে অভ্যস্ত ও পারদর্শী হয়ে ওঠে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। ছেলেদের মধ্যে যেখানে ৬৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, সেখানে ব্যবহারকারী মেয়েদের সংখ্যার হার ৪৮ শতাংশ। ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে করা হয় অনলাইন চ্যাটিং বা মেসেজ আদান-প্রদান। এজন্য ব্যয় করা হচ্ছে ৩৩ শতাংশ সময়। এরপর রয়েছে ইন্টারনেটে ভিডিও দেখা। এজন্য ৩০ শতাংশ সময় ব্যয়

করা হচ্ছে।

সমীক্ষায় কিছু বিচিত্র বা অস্বাভাবিক তথ্যও উঠে এসেছে। এরকম একটি তথ্য হলো, ছেলেদের ৭০ শতাংশ এবং মেয়েদের ৪৪ শতাংশ অনলাইনে সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের পাঠানো বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করে থাকে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের একটি বড় অংশ স্বীকার করেছে, তারা শুধু বন্ধুত্বের অনুরোধই গ্রহণ করে না, তাদের অনেকে এসব সদ্য পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করতে যায়। জানা গেছে, এভাবেই উসকানি ও যৌন হয়রানি থেকে সহিংসতা পর্যন্ত প্রায় সবকিছুরই শুরু হয়ে থাকে। একযোগে শুরু হয় মাদক এবং যৌন সামগ্রীর লেনদেনও। অনেকেই মাদকাসক্ত ও যৌনকর্মে অভ্যস্ত হতে থাকে।

বন্ধুত্বের আড়ালে ছেলেমেয়েরা অসামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়ে। যারা সম্মত হয় না কিংবা অনলাইন বন্ধুর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাদের ভয়ভীতি দেখানো এবং হুমকি দেওয়া হয়। বন্ধু নামের অনেকে এমনকি প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি অশ্লীল বিভিন্ন ছবিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই সেগুলো ‘ভাইরাল’ হয়ে যায়। তখন শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ভয়ঙ্কর কার্যক্রম। আর এ ব্যাপারে বেশি আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মেয়েরা। এমন বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা মোকাবেলা ও প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে ইউনিসেফ বলেছে, এ উদ্দেশ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইউনিসেফের জরিপের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসা তথ্য-পরিসংখ্যানগুলো নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আশঙ্কাজনকও। কারণ এটাই স্বাভাবিক যে, তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের এই যুগে ছেলেমেয়েরা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। ফেসবুক, ইউটিউব, মেসেঞ্জার, টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপসহ নানা যোগাযোগমাধ্যমে তারা শুধু অন্যদের সঙ্গে পরিচিত হবে না, বন্ধুত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে শিখবেও অনেক কিছু। ইন্টারনেটের এমন ব্যবহারই বিশ্বের দেশে দেশে হয়ে আসছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশে ঘটছে উল্টোরকম। এখানে শিক্ষার চাইতে অশ্লীল বিনোদনের ব্যাপারেই সুচিন্তিতভাবে বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ছেলেমেয়েরাও নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। এভাবে তাদের মধ্যে অশ্লীলতা যেমন ছড়িয়ে পড়ছে, তেমনি এর সুযোগ নিচ্ছে অনলাইনে তৎপর দুর্বৃত্তরা। বন্ধুত্বের ছদ্মাবরণে তারা মাদকের ব্যবসা থেকে যৌন হয়রানি পর্যন্ত নানা অপরাধে জড়িয়ে ফেলছে ছেলেমেয়েদের।

এজন্যই ইউনিসেফ তার রিপোর্টে যৌনতা ও মাদকাসক্তিসহ সহিংসতার ঘটনা মোকাবেলা ও প্রতিরোধ করার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই আহ্বান ও পরামর্শের গুরুত্ব অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে শুরু করতে হবে পরিবারের ভেতর থেকে। কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের জন্য শিশু-কিশোরদের দাবি ও আবদার পূরণ করার পাশাপাশি তাদের প্রতি নজরদারিও বাড়াতে হবে। প্রত্যেকের কার্যক্রমের প্রতি গভীর দৃষ্টি রাখতে হবে, তারা যাতে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে না পড়তে পারে। সময়ে সময়ে ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে তাদের যুক্তি দিয়ে ধৈর্যের সঙ্গে বোঝাতে হবে। অপরিচিত ব্যক্তিদের বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করার ব্যাপারে যেমন নিরুৎসাহিত করতে হবে তেমনি বুঝিয়ে বলতে হবে, তারা যেন অনলাইন চ্যাটিংয়ের আড়ালে কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না যায়। যাতে মাদক এবং যৌন সামগ্রীর বিষয়ে সতর্ক থাকে এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে না পড়ে।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক দায়িত্ব পরিবারের হলেও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে। সরকারের উচিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে অনলাইনের হয়রানি এবং উৎপীড়ন বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে তৎপর হয়ে ওঠা।

এবার অন্য এক প্রসঙ্গ। এ-সংক্রান্ত বক্তব্যটুকুকে ২০১৮ সালের আংশিক পর্যালোচনা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। মাত্র সেদিন সমাপ্ত বছরে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কিত যেসব তথ্য-পরিসংখান প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো সচেতন মানুষকে নিরাশ শুধু নয়, ভীত-সন্ত্রস্তও করবে। এর প্রধান কারণ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। দেশি-বিদেশি সব সংস্থা ও মহলের পক্ষ থেকে বিরামহীন বিরোধিতা ও প্রতিবাদের মধ্যেও দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েছে অত্যন্ত আশঙ্কাজনকভাবে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র-আসকের ৯ জানুয়ারি প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েছে ২৮৭ শতাংশ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ৪৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান তৈরি হয়েছে গত বছরের মে মাস থেকে ৩০ ডিসেম্বর তথা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্য-পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে।

আসকের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আগের বছর ২০১৭ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিল ১৬২ জন। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধির হার ২৮৭ শতাংশ। আসকের রিপোর্টটিতে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে, মানবাধিকারের একটি প্রধান সূচক তথা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে সার্বিক পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বছরজুড়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড— বিশেষ করে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ এবং গুম ও গুপ্তহত্যার ঘটনা অব্যাহত ছিল। বেআইনি আটক ও গণগ্রেফতারসহ বিভিন্ন বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনাও যথেষ্ট ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে গুম করা হয়েছে ৩৪ জনকে, যাদের মধ্যে ১৫ জনেরই সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে ধরে নেওয়া হয়েছে, তারা বিচারবহির্ভূত হত্যায় প্রাণ হারিয়েছে। এর বাইরে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৪৭০টি সহিংসতার ঘটনায় মারা গেছে ৩৪ জন, যাদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষও রয়েছেন।

২০১৮ সালে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ৭৩২ জনের মধ্যে ৬৩ জন ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে সাতজন। তা ছাড়া বিচারবহির্ভূত হত্যার পাশাপাশি নারী ও শিশু ধর্ষণও ২০১৮ সালে অনেক বেড়ে গেছে। আসকের পক্ষ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কমিশন গঠন করে তদন্ত ও বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, সব মিলিয়েই আসকের আলোচ্য রিপোর্টের তথ্য-পরিসংখ্যানগুলো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। বিশেষ করে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ২৮৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার তথ্যটির মধ্য দিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির চিত্রই শুধু ফুটে ওঠেনি, একই সঙ্গে বিভিন্ন বাহিনীর কিছু সদস্যের বেপরোয়া হয়ে ওঠার দিকটিও প্রাধান্যে এসেছে। যে কোনো রাষ্ট্রের জন্যই এমন অবস্থা নিঃসন্দেহে গভীর উদ্বেগের। আমাদের আপত্তির প্রধান কারণটি হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর গুম ও হত্যাসহ বেপরোয়া কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে দেশের ভেতরে যেমন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তেমনি অসংখ্য উপলক্ষে তীব্র সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। জাতিসংঘ পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী প্রতিটি বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা এবং শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেছে, সরকার যুক্তি দেখাতে গিয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনসহ এমন কিছু আইনকে অবলম্বন করেছে ও সামনে এনেছে, যেগুলোর আড়াল নিয়ে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো যে কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডকেই গ্রহণযোগ্য করে তোলার প্রচেষ্টা চালানো সম্ভব। বলা দরকার, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ব্যাপারে সরকারের কোনো যুক্তি ও বক্তব্যই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমর্থন লাভ করতে পারেনি। দেশের ভেতরে সরকারের বক্তব্য ও প্রচেষ্টা বরং নিন্দা-সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আসকের রিপোর্টেও একই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। কারণ, দেশীয় এ সংস্থাটিও জাতিসংঘের সুরে ও ভাষাতেই সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কমিশন গঠন করে তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।

অর্থাৎ ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কোনো ইতিবাচক উন্নতি হয়নি। সরকারকে তাই সুচিন্তিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

লেখক : সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads