• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

নির্বিঘ্ন হোক ডাকসু নির্বাচন

  • ফাইজুস সালেহীন
  • প্রকাশিত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

মার্চের দশ তারিখে ডাকসু ইলেকশন। তফসিল ঘোষিত হয়েছে। ছাত্রলীগ খুশি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে সিরিয়াস। পক্ষান্তরে বিএনপি শঙ্কিত। দলটির ভয়; ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, এই নিয়ে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বামপন্থার ছাত্র সংগঠনগুলো তফসিল নিয়ে মোটেও খুশি নয়। তারা বলছে ক্যাম্পাসের সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি না করেই ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রসংসদ নির্বাচন প্রশ্নে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে মত ও মতান্তর থাকতেই পারে। এ তো ছাত্রদেরই ব্যাপার। কিন্তু, দেশের বড় দুটো রাজনৈতিক দল এই নিয়ে কেন তর্কে মেতেছে। তাদের সিরিয়াস হওয়ার বা শঙ্কিতবোধের কী আছে! এমন তো কথা ছিল না। বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) ছাত্র সংগঠনের সূচনাকালে কী বলা হয়েছিল, তা কি আমরা ভুলে গেলাম! ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান (মুসলিম) ছাত্রলীগ  গঠনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে যে প্রচারপত্র ছাড়া হয়েছিল, তাতে উল্লেখ ছিল, ‘পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হইবার পর হইতে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও জনগণ যে সমস্ত সমস্যার সন্মুখীন হইয়াছেন, তার আশু সমাধানের জন্য সুষ্ঠু ছাত্র আন্দোলন প্রয়োজন। এই ছাত্র আন্দোলন পরিচালনা করবার জন্য পূর্ব পাকিস্তান (মুসলিম) ছাত্রলীগ নামে একটি ছাত্র প্রতিষ্ঠান গঠনে সহায়তা করিবার জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। মন্ত্রিসভা বা বিরোধী দলের হস্তে ক্রীড়া পুত্তলি হওয়া আমাদের নীতি নয়। বরং দলীয় রাজনীতির ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও সম্পর্কহীন থাকিয়া পূর্ব পাকিস্তানে বিভিন্নমুখী প্রতিভা সৃষ্টি এবং উদ্ভূত সমস্যগুলির ওপর গঠনমূলক আন্দোলন সৃষ্টি করাই আমাদের উদ্দেশ্য।’ বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে ছাত্রলীগই অতীত এবং আজকের সব ছাত্র সংগঠনের জননী অথবা গ্র্যান্ড মাদার। (সূত্র : বাম রাজনীতির ৬২ বছর)।

গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রায় সব দেশেই আছে ছাত্র সংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ। তবে দেশ ভেদে এর চারিত্র্য-বৈশিষ্ট্যে ব্যবধান রয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকে। কোথাও কোথাও ছাত্র সংগঠনগুলো ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে আন্দোলনও করে। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের কোনো কোনো দেশে ছাত্র সংগঠনগুলো কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের অ্যাফিলিয়েটেড। ওইসব দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত ছাত্রসংসদেরও রাজনৈতিক ভূমিকা থাকে কমবেশি। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ছাত্রদের রাজনৈতিক ভূমিকা অনুপেক্ষণীয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ডাকসু এবং ছাত্রসমাজের অনন্য সাধারণ ভূমিকার কথা নতুন করে বলবার দরকার পড়ে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন এবং পরিচালনার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা অর্জন করেন গণতন্ত্রের প্রায়োগিক শিক্ষা। শিক্ষা লাভ করেন অধিকার সচেতনতার। বিকশিত হয় নেতৃত্বের গুণাবলি। কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে  গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। সর্বশেষ ডাকসুর ভোট হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৬ জুন। ক্যাম্পাসে প্রায় সব ছাত্র সংগঠনই সেবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, যদিও তখন পরিস্থিতি মোটেও শান্ত ছিল না।

আশির দশকের, বলতে গেলে পুরোটা জুড়েই ঢাকাসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রকম্পিত ছিল আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানিতে। রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে অসংখ্য। অনেক শিক্ষার্থীর বুকের রক্তে ভিজেছে ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাস। ছাত্রাবাসে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে অপঘাত মৃত্যুর সংবাদ স্তম্ভিত করেছে দেশবাসীকে। তখন পত্রিকার পাতায় হররোজ খবর বেরুত কোনো না কোনো ক্যাম্পাসে সশস্ত্র সংঘাত ও প্রাণহানির। আশির দশকে ঢাকাসহ বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার করেছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। দুয়েকটি জায়গায় ছাত্রশিবির শক্তি সঞ্চয় করে নিয়েছিল। বামপন্থি; বিশেষ করে পিকিং ঘরানার ছাত্র সংগঠনগুলোর শক্ত অবস্থান ছিল দুয়েকটি জায়গায়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তখন বহুধা বিভক্ত। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নও শক্তিহীন হয়ে পড়ে পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে। এইচএম এরশাদ বিরাশি সালে ক্ষমতায় এলেও অনেক দিন পর্যন্ত সরকার সমর্থক কোনো ছাত্র সংগঠন ছিল না। পরে জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ছাত্রসমাজ আত্মপ্রকাশ করলেও জগন্নাথ কলেজ ছাড়া কোথাও এরা শক্তিশালী ছিল না। তা না থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এরা একাধিকবার হানা দিয়েছে। প্রতিরোধও হয়েছে সশস্ত্র পন্থায়। বস্তুতপক্ষে ছাত্ররাজনীতি তখন পরিগ্রহ করেছিল এক দানবীয় রূপ। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট— কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই তখন সন্ত্রাস-সংঘাতমুক্ত ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। কিছুদিন পরপরই দেখা যেত বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক লাঞ্ছিত করার বহু ঘটনাও ঘটেছে তখন। এই বাস্তবতায় দেশের অন্যতম প্রধান কবি বিশ্ববিদ্যালয়কে ডাকাতের গ্রাম বলে অভিহিত করে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। এরকম পরিস্থিতির মধ্যেও ডাকসু, চাকসু, রাকসু ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়েছে। অতীতের মতো নব্বইয়ের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নির্বাচিত ছাত্রসংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পেরেছিল। তিরাশি সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক শাসনবিরোধী সংগ্রামের সূচনাও কিন্তু করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ ডাকসুর নেতৃত্বে। 

কিন্তু দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার পর ২৮ বছরেও  ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভপর হয়নি। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার সংকল্প ঘোষণা করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সেশনজট নিরসনের জন্য উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটিও করে দেওয়া হয়েছিল। স্মর্তব্য, সন্ত্রাস-সংঘাতের কারণে সময়মতো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই থেকে চার বছর পর্যন্ত সেশনজট সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। কমিটি গঠন করা হলেও বাস্তবে শিক্ষাঙ্গনে পরিস্থিতির  ইতরবিশেষ ঘটতে দেখা যায়নি তখন। ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ সংঘাতে জড়িয়েছে বারবার। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করবার ঘটনাও ঘটেছে। অনভিপ্রেত ঘটনার খবরও বেরিয়েছে অনেক।  মনে পড়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক উপাচার্যকে স্বৈরাচারের দালাল আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে পেটানো হয়েছিল। বলপূর্বক ওই শিক্ষকের নিকট থেকে স্বীকারোক্তিমূলক একটি বিবৃতিও সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তখনকার পত্রিকাগুলোতে এই খবর ছাপা হয়েছে যথারীতি। এভাবে ক্যাম্পাসে ‘সুষ্ঠু পরিবেশ’  ফিরিয়ে আনার সংকল্প মাঠে মারা গিয়েছিল। সেজন্য তথ্যাভিজ্ঞ মহল বিএনপির ছাত্র সংগঠনকেই দায়ী করে থাকে। ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল জিততে পারবে কি না, এই সংশয় থেকে তখন ডাকসু নির্বাচন দেওয়া হয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে রাতারাতি ক্যাম্পাস পরিস্থিতি রিভার্স হয়ে যায়। এই আমলেও ডাকসু নির্বাচন হলো না। পরের টার্মে বিএনপি আবারো ক্ষমতায় এলো। কিন্তু ডাকসু হলো না। ওয়ান ইলেভেনের কেয়ারটেকার সরকারের আমলেও হলো না। পরবর্তী মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ডাকসু ইলেকশন নিয়ে মৃদু জল্পনা-কল্পনা হয়েছে। আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উপাচার্য হয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ডাকসু নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু সে নিশ্চয়তা পাননি বলেই হয়তো তার আমলে  নির্বাচন হয়নি। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি অন্যরকম। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচন চাইছে, সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনেরও কোনো অমত নেই। 

অতঃপর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নেই বলে অন্যান্য সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করলেও আশা করা যায় শেষ পর্যন্ত সবার অংশগ্রহণে মার্চে ডাকসু নির্বাচন হয়ে যাবে। এটা হওয়া দরকারও বটে। আশি ও নব্বই দশকে ক্যাম্পাসে অশান্তি নিদারুণভাবে বৃদ্ধি পেলেও এ কথা অনস্বীকার্য, শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা কমবেশি সব সময়ই ছিল। সহাবস্থান নির্বিঘ্ন ছিল না কখনো। পাকিস্তান আমলে এনএসএফের দৌরাত্ম্য ছিল। তবে তখন আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হতো না। লাঠি, হকিস্টিক, চেইন, চাকু— এসব দেশি অস্ত্র নিয়ে এনএসএফের গুন্ডারা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস করত। শিক্ষাঙ্গনে আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে স্বাধীনতা-উত্তরকালে। সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের এক শ্রেণির কর্মী-সমর্থক ক্যাম্পাসে অশান্তি করেছে। সরকারবিরোধী শিক্ষার্থীদের দমন কিংবা বিতাড়িত করবার চেষ্টা চালিয়েছে। যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, তখন সেই দলের ছাত্র সংগঠনের অনেককেই দেখা গেছে বেপরোয়া হয়ে উঠতে। সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশও ঘটেছে।

অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষাঙ্গনে যারা অস্ত্রবাজি করে তাদের এক বিরাট অংশই বহিরাগত। ধারাবাহিক অশান্তির মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে ছাত্রসংসদের ইলেকশন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে। ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়ানো সরকারি ছাত্র সংগঠনের ভরাডুবির  দৃষ্টান্তও রয়েছে। ১৯৭২ সালে ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি কলেজ ছাত্রসংসদেও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জয় পেয়েছিল। জিয়ার শাসনামলে ডাকসুতে জয় পেয়েছিল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগানধারী ছাত্রলীগ। ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা কোনো শিক্ষার্থী ভোটারকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ারও উল্লেখ করার মতো দৃষ্টান্ত নেই। কাজেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নেই— এরকম কথা বলে কোনো ছাত্র সংগঠন নির্বাচন থেকে পিছিয়ে যাবে বলে মনে হয় না। তবে এ কথা অনস্বীকার্য, ভোটের ফল প্রকাশের আগে ও পরে সন্ত্রাসের দৃষ্টান্ত রয়েছে। ১৯৭৩ সালে ডাকসু নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগেই ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। ফলে ইলেকশন ভণ্ডুল হয়ে যায়।

ছাত্রসংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে এ ধরনের ব্যতিক্রমী ঘটনাকে খুব বড় করে দেখার সুযোগ নেই। প্রায় তিন দশক ছাত্রসংসদ ইলেকশন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন গণতন্ত্র চর্চার অধিকার থেকে। এই কালপর্বে যারা শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেছেন, তারা জানতেই পারেননি, ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার অধিকার তাদের ছিল। শিক্ষাঙ্গন শুধু পুঁথিগত বিদ্যার্জনের জায়গা নয়, নিজস্ব মতামত প্রয়োগের অনুশীলন ক্ষেত্রও বটে। এই অবস্থাটি আর প্রলম্বিত হওয়া উচিত নয়।

 

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

saleheenfa@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads