• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

মতামত

বাংলাদেশ রেলওয়ে : সমস্যা ও সম্ভাবনা

  • রহিম আবদুর রহিম
  • প্রকাশিত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত ভাগের পর বেঙ্গল-আসাম রেলওয়ে ভারতের মধ্যে বিভক্তি ঘটে। পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তান উত্তরাধিকার সূত্রে পায় ২,৬০৬.৫৯ কিলোমিটার রেললাইন, যা ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (ইবিআর) নামে পরিচিত। এই ইবিআরের আওতায় ৫০০ কিলোমিটার ব্রডগেজ এবং ২ হাজার ১০০ কিলোমিটার গেজ লাইন ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর এদেশের রেলওয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নাম ধারণ করে, যা উত্তরাধিকার সূত্রে ২,৮৫৮.৭৩ কিলোমিটার রেলপথে ৪৬৬টি স্টেশন পায়। ১৯৮২ সালের ৩ জুন রেলওয়ে বোর্ড বিলুপ্ত হয়ে এর কার্যক্রম স্থানান্তরিত হয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এবং এই বিভাগের সচিবকে ডিরেক্টর জেনারেল পদে আসীন করে এই যোগাযোগমাধ্যমটি চলতে থাকে। ১৯৯০ সালে  বাংলাদেশের এই পরিবহন সংস্থাটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়েকে নীতিগত পরামর্শ দেওয়ার জন্য ৯ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে অথরিটি (বিআরএ) গঠন করা হয়। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু সেতু উন্মুক্ত করার ফলে জামতৈল থেকে ইব্রাহিমবাদ ব্রডগেজ রেলপথের মাধ্যমে পূর্ব-পশ্চিম রেল যোগাযোগ শুরু হয়। সর্বশেষ ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর ফলে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ভেঙে নতুন রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করেন। এই মন্ত্রণালয়ের প্রথম মন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, দ্বিতীয়বারের মতো মন্ত্রিত্ব পান মুজিবুল হক। বর্তমানে দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এমপি। এখন রেলপথের দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ৪৮৩ কিলোমিটার। স্টেশন ও জংশন ৪৫৮টি (২০১৬-এর তথ্যানুযায়ী)।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে বড় পরিবহন সংস্থা ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’। এই সংস্থাটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এর একটি যমুনা নদীর পূর্বপাশে পূর্বাঞ্চল এবং যমুনা নদীর পশ্চিম অংশ  রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল হিসেবে পরিচালিত। এই দুই অঞ্চলের রেলওয়ের চারটি বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার কমলাপুর, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, পাবনার পাকশী ও লালমনিরহাট। চারটি বিভাগ পরিচালিত হয় চারজন বিভাগীয় ম্যানেজার দ্বারা। একমাত্র বর্তমান সরকার ছাড়া বৃহৎ সংস্থাটির সংস্কারে কোনো সরকারই আন্তরিক হয়নি। বর্তমান সরকার রেলওয়ে পরিবহন সংস্থাটিকে সংস্কার ও উন্নয়নে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বহু পুরনো বিশ্বখ্যাত যোগাযোগ সংস্থাটির ছোটখাটো অসংখ্য দুর্নীতি, অনিয়ম, অসঙ্গতি, সুষ্ঠু পরিকল্পনা দেখভাল এবং জবাবদিহিতায় স্বচ্ছতা না থাকায় সংস্থাটি একপা এগুচ্ছে তো দু’পা পিছাচ্ছিল। যোগাযোগ ক্ষেত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক রেলওয়ের ডিপার্টমেন্ট দুভাগে বিভক্ত। এর একটি ট্রাফিক, অন্যটি বাণিজ্যিক। এ দুটি বিভাগই পরিচালিত হয় আলাদা আলাদা একজন চিফ অফিসার এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা দ্বারা।

ট্রাফিক বিভাগের প্রধান সমস্যা লোকবল সঙ্কট, একই সঙ্গে রয়েছে সীমাহীন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা। গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার জন্য সরকারকে বদনামের অংশীদার হতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে জনবল সঙ্কট নিরসন জরুরি। বর্তমানে বাংলাদেশে ৪৫৮টি স্টেশন রয়েছে। অথচ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্টেশন মাস্টার না থাকায় ট্রেন চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে। রেল সার্ভিসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে ট্রেন পরিচালক (গার্ড)। একটি আন্তঃনগর ট্রেনে দুজন গার্ড দায়িত্ব পালন করার পরিবর্তে একজন দায়িত্ব পালন করছেন। তাতে যাত্রীসেবা যথাযথ হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ এই পদের লোকবল সঙ্কট চরমে। সরকার সঙ্কট কাটানোর জন্য সাময়িকভাবে চুক্তিভিত্তিক যে নিয়োগ দিচ্ছে, তাতে সমস্যা বেড়েই চলেছে। কারণ যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তারা বয়স্ক এবং শারীরিকভাবে অক্ষম। ফলে তারা যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। ট্রেন কন্ট্রোলার নামের পদস্থদের দায়িত্ব ট্রেন গন্তব্যস্থলে পৌঁছা পর্যন্ত বিভাগীয় কন্ট্রোলার অফিসের মাধ্যমে মনিটর করা। এই শাখায়ও লোকবল সঙ্কট প্রকট। যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্বে অবহেলা এবং জবাবদিহিতার অভাবে ট্রেন চলাচল কচ্ছপ গতিতে পৌঁছেছে। এ ছাড়া ইয়ার্ড মাস্টার, পয়েন্টম্যানসহ অফিস সহকারীদের নজরদারিতে না আনায় এ বিভাগটির অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে।

রেলওয়ে বিভাগের বাণিজ্যিক শাখায় রয়েছে টিটিই, বুকিং সহকারী, মেকানিক্যাল, লোকোশেড, কারখানা, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক, বিদ্যুৎ বিভাগ, সংস্থাপন, মেডিকেল, ভূ-সম্পত্তি এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু প্রতিটি শাখাই অনিয়ম, অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত। রেলের জামাই নামে খ্যাত টিটিইদের (ট্রাভেলিং টিকেট এক্সামিনার) কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় তারা অবাধে অনিয়ম, দুর্নীতি করে যাচ্ছে। এরা একটি ট্রেনে উঠে দু-একটি স্টেশন পার হয়ে নেমে যান। রেলওয়ে আইনের ৫০৯ ও ৫১০ ধারা অনুযায়ী রানিং অ্যালাউন্স এবং স্পেশাল রানিং অ্যালাউন্স একমাত্র লোকমাস্টার (ড্রাইভার) ও ট্রেন পরিচালক (গার্ড) ছাড়া অন্য কোনো কর্মকর্তার বেতনের সঙ্গে পাওয়ার কথা নয়। অথচ এই টিটিইরা রেলওয়ের আইনের ভুল ব্যাখ্যা প্রতিষ্ঠিত করে এই অ্যালাউন্স উত্তোলন করছেন। এতে করে সংস্থাটিকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। রেলওয়ের বুকিং সহকারীর দায়িত্ব অপরিসীম। কিন্তু এরা জনসাধারণের সঙ্গে অবাধে মেলামেশার সুবাদে টিকেট কালোবাজারিতে ষোলোকলা পূর্ণ করছেন। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১২ সালে ই-টিকেট সিস্টেম চালু করে। ই-টিকেট সেবা জনগণের মধ্যে নিশ্চিত করার জন্য পাঁচ বছরের জন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয় যা সিএনএস নামে পরিচিত। একটি ট্রেনের আসনসংখ্যার বিপরীতে শুরুর দিন ৫০ শতাংশ টিকেট কাউন্টারে এবং অনলাইনে ২৫ শতাংশ টিকেট দেওয়ার কথা থাকলেও গড়ে সাধারণ কাউন্টারে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ টিকেট ছাড়া হয়, বাকিগুলো ব্লক করে সিএনএসের কর্মচারীরা রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবাধে টিকেট কালোবাজারি চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ভয়াবহ দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে টোটাল টিকেট সিস্টেম প্রত্যেক রেলওয়ে বিভাগের একজন কর্মকর্তার অধীনে দেওয়া যেতে পারে। এতে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর টিকেটের প্রয়োজন হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে ডিজিটাল কম্পিউটারাইজড সিস্টেমের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহ করা যেতে পারে।

রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগের দুটি শাখা। এই দুটি শাখা দেখভাল করেন এই বিভাগের একজন এডিজি, চিফ এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা। রেলইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা লোকোশেডে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। এই বিভাগের কারখানা শাখা বাংলাদেশে মাত্র দুটি। একটি সৈয়দপুরে, অন্যটি পাহাড়তলিতে। অথচ এই শাখায় কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে, বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের পরিচয়ে তারা দিনের পর দিন কাজ না করেই সরকারি অর্থ লুটপাট করছেন। প্রতি ঈদে কারখানার কর্মকর্তারা বগি রিপিয়ারিং বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাট করছেন। এই শাখাটি ঢেলে সাজাতে না পারলে রেল যোগাযোগের মৌলিক উন্নয়নে চরম ব্যাঘাত ঘটবে। 

রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি, অনিয়মের ফলে রেলওয়ের সুদিন চরম দুর্দিনে পৌঁছে গেছে। ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে এই বিভাগের কর্মকর্তারা এমন কোনো হীন কাজ নেই যা তারা করছেন না। নিম্নমানের কাজ করাই তাদের এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের এই বিভাগটি বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয়ে কাজ করে থাকে। রেলওয়ে বিভাগের দুর্নীতির আখড়া বলে পরিচিত এই বিভাগের কর্মকর্তারা প্রায়ই কমমূল্যের জিনিস অধিকমূল্যে এবং পর্যাপ্ত মালামাল থাকা সত্ত্বেও অপ্রয়োজনীয়ভাবে চাহিদা প্রেরণ করে ঠিকাদারদের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছেন।

রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগে অবৈধ সংযোগের মহোৎসব চলছে সংস্থার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। এক্ষেত্রে প্রিপেইড মিটার স্থাপন এবং অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ উচ্ছেদ করা গেলে রেলওয়ের কোটি কোটি টাকা আয় হওয়া সম্ভব। রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগকে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। রেলওয়ের সংস্থাপন শাখাটি আর সংশ্লিষ্টদের সেবায় নিয়োজিত নয়। অফিস সহকারী থেকে প্রধান অফিস সহকারী পর্যন্ত যেতে গুনতে হয় টাকা। শুধু তা-ই নয়, রেলওয়ে কর্মচারীদের সামান্য পাস ইস্যু করতে টাকা দিতে হয় বড় বাবুদের। এই বিভাগ ডিজিটালাইজড করা গেলে এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধ হতে পারে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন। রেলওয়ের মেডিকেল শাখাটিও নড়বড়ে। হাসপাতাল আছে ডাক্তার নেই, ওষুধ তো আকাশের চাঁদ। কর্মচারী খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। অথচ প্রতি বছর হাসপাতালের সার্বিক ব্যয়ভার বহনে সংস্থাটিকে কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী বিভাগটির অবস্থা আরো শোচনীয়। এই বিভাগটি অনিয়ম, দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। নিজ বাহিনীর কর্মচারীদের ছুটি নিতেও দিতে হয় উৎকোচ। ট্রেনে ডিউটি করলে তাদের টিএ বিল হয়। একটি কমান্ড সার্টিফিকেটে নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে বুকিং দেওয়া হলেও ডিউটি করে দুজন। বাকি তিনজন থেকে টিএ বিলের অর্ধেক টাকা নিয়ে তাদের ইচ্ছামাফিক সুযোগ নিশ্চিত করেন শাখার ঊর্ধ্বতনরা। নিরাপত্তার নামে রেলওয়ের অর্থ হরিলুটের এই নায়করাই প্রবাদের মতো ‘রক্ষক যেখানে ভক্ষক’-এর ভূমিকায়।   

রেলওয়ের পর্যাপ্ত ভূ-সম্পত্তি থাকলেও তা রেল বিভাগের হাতছাড়া হয়েছে অনেক আগেই, যা দখলদাররা দখল করে রাখছে। বর্তমান সরকারের চিন্তা ও চেতনা যেহেতু রেলওয়ের উন্নয়নের দিকে, সেক্ষেত্রে বিশাল ভূ-সম্পত্তির মালিক রেলওয়ে বিভাগের সব সম্পত্তি দখলদারমুক্ত করে এসব জায়গা-জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। যেখানে মার্কেট, আবাসিক ভবন, ব্যাংক ও বীমা এবং বেসরকারি অফিস-আদালতের জন্য ভাড়া দেওয়া যাবে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যে আয় আসবে তা দিয়ে গোটা সংস্থার ব্যয় নির্বাহ সম্ভব বলে অনেকেই মনে করছেন।

রেলওয়ে বিভাগের অনেক সচিব, প্রকৌশলী রেলওয়েকে সাজাতে এবং একে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আন্তরিক রয়েছেন। রেলওয়ে বিভাগের সচিব, প্রকৌশলীরা ঘনঘন বদলি হন। থেকে যায় (পিএ) অথবা প্রধান সহকারীরা। যারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভালো-মন্দ বুঝিয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম জিইয়ে রেখেছে। এসব কর্মচারীকে ঘন ঘন বদলি করলেই এই বিভাগের স্বচ্ছতা ফিরে আসবে বলে মনে করছি। বাংলাদেশ সরকারের বিশাল পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ রেলওয়েকে সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে একটি গবেষণাধর্মী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।  

 

লেখক : শিক্ষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads