• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
অসহিষ্ণু রাজনীতির বলি আবরার

আবরার ফাহাদ

ফাইল ছবি

মতামত

অসহিষ্ণু রাজনীতির বলি আবরার

  • মহিউদ্দিন খান মোহন
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে ঘটে যাওয়া স্মরণকালের বর্বরোচিত ঘটনাটি এখন সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদকে। আবরারকে কীভাবে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে তা এখন সবাই অবগত। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সাধারণ সম্পাদক রাসেলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নিহত আবরারের পিতা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩ জনকে। বাকিদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আবরারকে হত্যার কথা স্বীকারও করেছে। গত ৮ অক্টোবর কুষ্টিয়ায় দাফন করা হয়েছে আবরারের মরদেহ।

চরম এক নৃশংসতায় একটি সম্ভাবনাময় জীবনের অকাল পরিসমাপ্তি ঘটল। মেধাবী আবরার শিক্ষাজীবন শেষে এ দেশকে হয়তো ভালো কিছু দিতে পারত। কিন্তু ঘাতকদের হিংস্রতা তাকে সে পথ পাড়ি দিতে দিল না। এটাও তো সত্যি যে, আবরারকে যারা হত্যা করেছে তারাও মেধাবী ছাত্র। কারণ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তুখোড় মেধাবী ছাড়া সাধারণ মেধার শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে না। ভাবনার বিষয় হলো, সে মেধাবী মুখগুলো কী করে একেকটা হিংস্র দানব হয়ে উঠল! নিজেদের সহপাঠীকে এমন নিষ্ঠুরতায় যারা খুন করতে পারে, তাদের মানবসন্তান বলতে দ্বিধা হওয়া অসঙ্গত নয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের ভূমিকাকে কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। অনেকেই বলছেন, রাত আটটায় আবরারকে যখন একই ভবনের দোতলায় টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, হল কর্তৃপক্ষ কি তখন ঘুমাচ্ছিলেন? তাছাড়া আবরার নিহত হওয়ার খবর দেশ-বিদেশে প্রচারিত হওয়ার পরও বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর ড. সাইফুল ইসলামের নীরবে লুকিয়ে থাকার বিষয়টিও সবাইকে ক্ষুব্ধ করেছে। প্রায় দুদিন পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিনি দেখা দিয়ে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তারই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তাকে বিচলিত বা বিব্রত মনে হয়নি। বরং ছাত্রদের উত্থাপিত দাবিগুলোকে সযত্নে এড়িয়ে যাওয়ার একটি সূক্ষ্ম প্রচেষ্টা লক্ষ করা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে তার এ ভূমিকা ন্যক্কারজনকই বটে।

কী অপরাধ ছিল আবরারের? তার অপরাধ সে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে আমাদের দেশের স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয়ে তার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছিল ফেসবুকে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সে তা করতেই পারে। দেশের সংবিধানই তাকে সে অধিকার দিয়েছে। কিন্তু তাতে ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীদের গাত্রদাহ সৃষ্টি হলো কেন? আবরার যদি দেশবিরোধী বা আইন পরিপন্থী কোনো মন্তব্য করেই থাকে, সেজন্য দেশের প্রচলিত আইন আছে, আছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তারা ব্যবস্থা নিতে পারত। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন বলেই ছাত্রলীগ বিচারের দায়িত্ব নিয়ে অঘোষিত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে এটা কি মেনে নেওয়ার মতো? তা যে একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না তা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন। ৯ অক্টোবরের পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, আবরার হত্যাকাণ্ডে মর্মাহত ও ব্যথিত প্রধানমন্ত্রী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ভিন্নমত থাকতেই পারে। তাই বলে এভাবে পিটিয়ে মানুষ খুন করা হবে? সহপাঠীরা কীভাবে একজন সহপাঠীকে খুন করতে পারে? এরা কি মানুষ? এ কেমন বর্বরতা? এ ধরনের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এর বিচার হবে’ (সমকাল, ৯ অক্টোবর ২০১৯)। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে যেসব প্রশ্ন তুলেছেন, তার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। বরং বলা যায় তিনি একটি চরম সত্যই তুলে ধরেছেন। কতটা হিংস্র হয়ে উঠলে একদল তরুণ প্রতিদিন সকাল-বিকাল দেখা হওয়া একজন সহপাঠীকে পিটিয়ে হত্যার মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত হতে পারে তা অনুমান করা কঠিন নয়। বস্তুত ওরা আকার-আকৃতিতে মানুষ হলেও প্রকৃতিগতভাবে মানুষ নয়, হায়েনা। একদল হায়েনা যেমন একটি হরিণ বা অহিংস্র প্রাণীকে ছিঁড়েখুড়ে খায়, তেমনি ওরা আবরারকে একযোগে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

প্রশ্ন হলো, ওরা কেন এমন হিংস্র হয়ে উঠল? জন্ম থেকে তো ওরা এমন ছিল না। কীভাবে ওরা এমন অসহিষ্ণু ও অমানবিক হয়ে উঠল? এজন্য অনেকেই আমাদের দেশের অসহিষ্ণু রাজনীতিকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, ছাত্র বা যুবসমাজকে যারা পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রণ করেন, তারাই ওদের সহিংস হয়ে ওঠার মদত দিয়ে চলেছেন। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ছাত্র-যুবকদের লাঠিয়াল বাহিনীর মতো ব্যবহার করে থাকে। তাদের অন্যায়-অনাচারকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে হতে ওদের মনেও এ ধারণা জন্মে যে, ওরা সব ধরনের জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে। যা খুশি তা-ই করার অধিকার ওদের আছে। ছাত্র সংগঠনগুলোর কিছু নেতাকর্মীর চলন-বলন কাজকর্মে তা দৃশ্যমান। ছাত্রলীগের অভিভাবক সংগঠন বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, ভিন্নমতের কারণে কাউকে মেরে ফেলা হবে এটা মনে নেওয়া যায় না। এ সম্পর্কে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল একটি দৈনিকে তার বিশেষ নিবন্ধে মন্তব্য করেছেন, ‘এই যে নষ্ট রাজনীতির কারণে যুবসমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ এমন ভয়ানক এবং ঘৃণ্য অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়ছে এবং ভয়ংকরভাবে এর বিস্তৃতি ঘটেই চলেছে, এর দায় কে নেবে? একই নিবন্ধে তিনি আরো মন্তব্য করেছেন, ‘তারা সবাই দাবি করেন তারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর প্রশ্ন জাগে, বঙ্গবন্ধুর কোন আদর্শের পরিচয় রাখছে অপরাধীরা জাতির কাছে (সমকাল, ৯ অক্টোবর ২০১৯)?  সুলতানা কামালের এ প্রশ্নের কী জবাব আওয়ামী লীগ নেতারা দেবেন আমার জানা নেই। তবে এটা প্রতীয়মান যে, এরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারে না। এরা তার আদর্শের কথা বলে ফায়দা লুটলেও কাজকর্মে রয়েছে সে আদর্শ থেকে যোজন যোজন দূরে। মানবদরদী নেতা বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে তা কোনোক্রমেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।

এটা অনস্বীকার্য যে, একদিনে বা হঠাৎ করে রাসেলরা এমন হিংস্র হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘদিনের আস্কারা এবং আশ্রয়-প্রশ্রয় তাদের এমন বেপরোয়া হয়ে উঠতে সাহস জুগিয়েছে। তারা দেখেছে অপরাধ করলে সরকারি দলের জার্সির গুণে সহজেই পার পাওয়া যায়, থানা পুলিশ তাদের কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারে না। অতীতে এমন ঘটনা ঘটিয়ে অনেকেই পার পেয়ে গেছে সে নজিরও রয়েছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্নরকম। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনায় বর্তমানে দুর্নীতি-অপরাধ-সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চলমান। তিনি নিজ ঘর থেকেই এ ক্লিনজিং অভিযান শুরু করেছেন। বেশ কয়েকজন ডাকসাইটে যুবকর্মী এরই মধ্যে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। অপরাধমূলক তৎপরতায় সংশ্লিষ্টতার কারণে সংগঠন থেকে বাদ পড়েছে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। চলমান এ শুদ্ধি অভিযানের মধ্যেই রাসেলরা বুয়েটে ঘটিয়ে ফেলল নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ড। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে সরকারপ্রধান যে বার্তা তার দলের নেতাকর্মীদের দিতে চেয়েছেন, তা কি তাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করেনি? না হলে একজন মানুষকে মেরে ফেলার মতো বর্বরোচিত ঘটনা ওরা ঘটালো কীভাবে?

আবরার হত্যার বিচারসহ আট দফা দাবিতে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে আন্দোলনরত। এ মর্মান্তিক হত্যার খবরে ফুঁসে উঠেছে দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন রাজপথে। শঙ্কার বিষয় হলো, বুয়েট শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন প্রশমিত করা না গেলে তা অচিরেই দেশের সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরিস্থিতি চলে যেতে পারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এদিকে দাবি উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার। বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ দাবি তুলেছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে বুয়েট প্রশাসন সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে বলেও খবর বেরিয়েছে। এখন যদি এ দাবি সর্বত্র উঠতে থাকে তাহলে সৃষ্টি হবে ভিন্নতর পরিস্থিতি। ভাববার বিষয় হলো, যে ছাত্ররাজনীতি এদেশের মানুষের ভাষা, গণতন্ত্র এবং স্বাধিকার অর্জনে দিশারীর ভূমিকা পালন করেছে, সে ছাত্ররাজনীতি আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কেন, সে কথা বলা নিষ্প্রয়োজন। সুলতানা কামালের ভাষায় আমাদের ‘নষ্ট রাজনীতি’র কবলে পড়ে ছাত্ররাজনীতি তার স্বকীয়তা হারিয়েছে। যে ছাত্ররাজনীতি আগে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মশাল জ্বালাতো, সে ছাত্ররাজনীতি আজ নিজেই নির্বাপিত। তার কোনো নিজস্বতা নেই, জৌলুস নেই। আছে ফাদার বা মাদার সংগঠনের কুরুচিপূর্ণ লেজুড়বৃত্তি। ছাত্র সংগঠনগুলো এখন রাজনৈতিক দলগুলোর আজ্ঞাবাহী অনুগামী। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রতিপক্ষ দমনের ঠ্যাঙারে বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে। আর তা করতে গিয়ে তারা ওই ছাত্র নামধারী ক্যাডারদের সব অনৈতিক আবদার হাসিমুখে মেনে নেয়, প্রশ্রয় দেয় সব অপকর্মের। আর রাজনৈতিক দলগুলোর আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়ে ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি অংশ হয়ে ওঠে বেপরোয়। চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

বিগত কয়েক বছর ধরে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর নানা অপকর্মের খবর গণমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশ হয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ডে বিব্রত হতে দেখা গেছে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকেও।  চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, টেন্ডারবাজি, খুন, ধর্ষণসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যেগুলোর সঙ্গে জড়ায়নি ছাত্রলীগ। এ নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও একাধিকবার উষ্মা প্রকাশ এবং হুশিয়ারি উচ্চারণ করতে দেখা গেছে। কিন্তু কোনো ফলোদয় হয়নি। সংগঠনটির নেতাকর্মীদের একটি অংশ এতটাই বেপরোয় যে, শীর্ষনেত্রীর সেসব হুশিয়ারিকে থোড়াই কেয়ার করে তারা যা খুশি তা করে বেড়াচ্ছে।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের করুণ মৃত্যু আমাদের হূদয়কে যেমন ব্যথিত করেছে, তেমনি জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নেরও। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, রাজনীতির সৌন্দর্য যে পরমত সহিষ্ণুতা, তা কি উধাও হয়ে গেছে আমাদের দেশ থেকে? ছাত্র সংগঠনগুলোর অভিভাবক যারা, তারা কি তাদের অনুসারীদের সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেন না? এ বিষয়ে অনেকের মন্তব্য হলো, দায়িত্বশীল রাজনীতিকদের অনেককে যখন বক্তৃতা বিবৃতিতে প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার মতো অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে দেখা যায়, সেখানে তাদের অনুগামী-অনুসারীরা একই পথের পথিক হবে তাতে অবাক হওয়ার কী আছে?  তারা মনে করেন, যতদিন আমাদের রাজনীতিকরা নিজেরা সংযত না হবেন, ছাত্র সংগঠনকে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ না করবেন, ততদিন এ ধরনের সহিংসতা ঘটতেই থাকবে। আর সে অসহিষ্ণু রাজনীতির বলি হতে থাকবে হতভাগ্য আবরাররা।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads