• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
বিশ্ব ঐতিহ্যের অলঙ্কার

ফাইল ছবি

মতামত

৭ মার্চের ভাষণ

বিশ্ব ঐতিহ্যের অলঙ্কার

  • এস এম মুকুল
  • প্রকাশিত ০৭ মার্চ ২০২০

যে ভাষণ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে, লাল-সবুজের একটি মুক্ত পতাকা এবং একটি মানচিত্রের জন্ম দিয়েছে— সেই ভাষণটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অলঙ্কার। বাঙালির গর্ব করার ৭ই মার্চের সেই ভাষণ এখন বর্তমান প্রজন্মের প্রেরণার প্রতীক। কেননা বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভাষণের মাধ্যমে পাক-শাসকদের দুঃসাশনের ভিতকে নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি একটি মহাকাব্যিক ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির চূড়ান্ত বার্তাটি দিয়েছিলেন। কার্যত ৭ই মার্চের সেই ভাষণটিই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীণতার পথনকশা হিসেবে পরিগণিত। এই ভাষণটিই স্বাধীনতার অনন্য ঘোষণাপত্র। গৌরব করার মতো বাঙালি জাতির অনেক ঐতিহাসিক অর্জন ও জাতীয়তার আভিজাত্য থাকলেও বাঙালির জাতীয় জীবনে ৭ই মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন যেমন দুটি বড় অর্জন, জাতির মুক্তির পথনকশা হিসেবে এই ভাষণটিও স্বাধীনতা অর্জনের একটি অন্যতম দলিল।

ভারতের একজন বিচারপতি বঙ্গবন্ধুর ৭০-এর নির্বাচনী ভাষণ ও ৭১-এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে বলেছিলেন— ‘শেখ মুজিবুর রহমান আব্রাহাম লিঙ্কনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন আর লেনিনের বিপ্লবী চেতনার মূর্ত প্রতীক। তাই বিশ্ব স্মরণীয় নেতা লেনিন, মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, চার্চিল, ক্যাস্ট্রো, চে গুয়েভারা, জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং জন কেনেডির মতো রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু অন্যতম। কারণ তিনি বিশ্বের বুকে বিরল ব্যতিক্রম ইতিহাসের জন্মদাতা। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে চিনেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ হিসেবে। লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকা বঙ্গবন্ধুকে মুকুটহীন সম্রাট বলে যথার্থই আখ্যা দিয়েছিল।

১৯৭১ সাল। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বিকেল ৩টা ২০ মিনিট। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য অসাধারণ স্মরণীয় ক্ষণ। সেই রেসকোর্স ময়দান। বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সমবেত জনসমুদ্রে প্রতিবাদী বাঙালির গর্জন। সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহু শতাব্দীর পরাধীনতার গ্লানি মোচনে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। পুরো জাতি প্রতীক্ষায়। কখন আসবেন কবি। বজ্রকণ্ঠে কেঁপে উঠবে আকাশ-বাতাস। সমবেত গর্জনের হুংকারে থমকে যাবে অত্যাচারির স্পর্ধা। চারদিকে মুহুর্মুহু স্লোগান। ভয়, শঙ্কা দুঃশাসকের রাহুগ্রাসের। অবশেষে এলেন কবি। শোধালেন অমর কবিতা— ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধু মঞ্চে উঠলেন। তারপর ১৯ মিনিটের এক অলিখিত ভাষণে পাক-শাসকদের ভিত নাড়িয়ে দিলেন। যেন বাংলার মানুষের বুকের ভেতরের কথাগুলোই উচ্চারিত হলো বঙ্গবন্ধুর মুখ থেকে। দৃপ্তকণ্ঠে তিনি বললেন, ‘...তোমাদের যা কিছু আছে... তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।... ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো।... রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব... এই দেশকে স্বাধীন করে ছাড়বো ইনশা আল্লাহ...।’ এমন কাব্যিক, ঐতিহাসিক, শান্ত-তেজোদীপ্ত ভাষণ পৃথিবীতে বিরল। এ কারণেই বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড কর্মসূচির অধীনে আন্তর্জাতিক তালিকায় (ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার) মোট ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ তালিকায় ৪৮ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণটিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, এই তালিকায় ঠাঁই পেতে হলে পর্যাপ্ত গ্রহণযোগ্যতা ও ঐতিহাসিক প্রভাব থাকতে হয়।

কত সহজ করেই না তিনি একটা দীর্ঘ প্রেক্ষাপটকে মাত্র কয়েকটি বাক্যে বর্ণনা করেছেন। কত কৌশলী ভূমিকা ছিল সেই ভাষণের প্রতিটি শব্দে, বাক্যে। তিনি বলেছেন— ‘আমি বলেছি, কীসের বৈঠকে বসব, কার সঙ্গে বসব? যারা মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে তাদের সঙ্গে বসব?  ২৫ তারিখে অ্যাসেম্ব্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। ওই শহীদের রক্তের ওপর পা দিয়ে কিছুতেই মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না।’ একই সাথে তিনি পাক-শাসকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘...আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকদের এভাবে হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সবকিছু, আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। ৭ কোটি মানুষেরে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।’ আবার তিনি বাঙালিদের প্রস্তুতির বার্তাও দিয়েছেন এই বলে যে, ‘...তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’ একজন মানুষ এত ক্ষমতাধর হয়েও এত সাধারণ হতে পারেন! অথবা এত সাধারণ হয়েও অসাধারণ ক্ষমতার উৎস হতে পারেন— বঙ্গবন্ধু তার অনন্য উদাহরণ। কেমন বড় মাপের নেতা হলে দেশ ও মানুষের ভালোবাসার মায়াজালের মোহে একটা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো জেলে আর রাজপথের মিছিলে মিটিংয়ে কাটাতে পারেন— এমন দৃষ্টান্ত শুধু তিনিই স্থাপন করতে পেরেছেন। কতটা নির্লোভ চিত্তের অধিকারী হলে শাসকের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ তুলে বাঙালি জাতির জন্য মৃত্যু ঝুঁকিকে সাথে করে ঘুরতে পারেন। একজন মানুষ কতটা মহানুভব হলে তার বুকে মুখে লালন করেন পদ্মা মেঘনা যমুনার স্রোতধারা? তার সুরে যেন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন মানচিত্র। এসবই শুধু যেন তার বেলায় সম্ভব। কারণ তিনি বাঙালির অকৃত্রিম বন্ধু— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকবাহিনীর কাছে বন্দিত্ব অবস্থায়ও যিনি নিশ্চিত মৃত্যু জেনে দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিলেন— ‘আমি তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইব না।... আমি বাঙালি, আমি মুজিবুর রহমান... একবার মরে দুইবার মরে না...।’

এমন একটি ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পাওয়াটাই স্বাভাবিক বিষয়। সঙ্গত কারণেই ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা সংস্থাটির ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বিশেষজ্ঞ কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের সম্মতিক্রমে ভাষণটি সংস্থার নির্বাহী কমিটি চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করে। ইউনেস্কোর যে উপদেষ্টা কমিটি এ মনোনয়ন দেয় সেই কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল আর্কাইভসের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আলরাইসি। প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ওই বৈঠকে তিনি ছাড়াও উপদেষ্টা কমিটির আরো ১৪ জন বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞ সদস্য ছিলেন। মূলত বিশ্বজুড়ে যেসব তথ্যভিত্তিক ঐতিহ্য সংরক্ষণযোগ্য এবং পরবর্তী প্রজন্ম যাতে তা থেকে উপকৃত হতে পারে সে লক্ষ্যেই এ তালিকা প্রণয়ন করে ইউনেস্কো। রীতি অনুসারে ইউনেস্কোর  ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্তির জন্য সারা বিশ্ব থেকে আসা প্রস্তাবগুলো দুবছর ধরে নানা পর্যালোচনার পর উপদেষ্টা কমিটি তাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে।

এমন একটি বিশ্বনন্দিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে স্বীকৃতি দিতে পেরে ইউনেস্কো গর্ব প্রকাশ করেছে। প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ইরিনা বুকোভা এই ঘোষণা দিতে গিয়ে বলেন, ‘একদিন এ ভাষণ একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আজ থেকে এই ভাষণ ভবিষ্যৎ-প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে।’ তথ্যমতে ইউনেস্কো কর্তৃক এই ভাষণটিসহ মোট ৭৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথিকে একইসাথে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে ৭ই মার্চের ভাষণসহ এখন পর্যন্ত ৪২৭টি গুরুত্বপুর্ণ নথি সংগৃহীত হয়েছে। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বহু ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত নেতার ভাষণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের তুলনা করা হয়েছে। তাই সব বিচার-বিশ্লেষণে ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি একটি জাতিকে এক করে ফেলেছিলেন। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক প্রতিক্রিয়ায় একে ইতিহাসের প্রতিশোধ হিসেবে তুলনা করেছেন। কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘসময় এই ভাষণের প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। আজ সেই ভাষণটি সারা বিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত।

বঙ্গবন্ধুর এই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী ভাষণটি প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়া এখন আমাদের জাতীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। এই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে পাঠপুস্তকে তুলে ধরা দরকার। একই সঙ্গে এই ভাষণের পুস্তিকা বা বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করে বাংলাদেশ নামের দেশটির স্বাধীনতার মূলমন্ত্রকে প্রজন্মের হূদয়ে গেঁথে দিতে হবে। ভালো খবর হলো, ইউনেস্কো স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক সম্পূর্ণ ভাষণটি রঙিন মলাটের একটি সুদৃশ্য পুস্তিকা হিসেবে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য এক কোটি কপি মুদ্রণ করেছে সামাজিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ ২১-৪১ সোসাইটি’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত এই পুস্তিকা প্রসঙ্গে সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ বাঙালি জাতির গৌরব এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। আমরা মনে করি, এই ভাষণ জাতির মননে বিশেষত নতুন প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেমের প্রেরণা জোগাবে। তাই এই মহতী উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমরা ভাষণটির এক লাখ পুস্তিকা প্রকাশ করেছি। এই পুস্তিকা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এভাবে এই ভাষণের গৌরব ও চেতনাকে প্রজন্মের মননে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের জাগরণ ঘটাতে হবে। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে বলতে চাই, মুজিব বর্ষে বেসরকারি এমন উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতারও প্রয়োজন রয়েছে।

আমরা জানি, বঙ্গবন্ধু খুব সাদামাটাভাবেই বলেছিলেন— ‘আমি প্রতিহিংসা-প্রতিশোধে বিশ্বাসী নই। আমি রবীন্দ্রনাথের মানসে গড়া এক কোমল হূদয়ের বাঙালি। রবীন্দ্রনাথ শিখিয়েছেন, মানুষের প্রতি বিশ্বাস রাখো। আমি সে বিশ্বাস ও ভালোবাসা দিয়ে সব হূদয়কে জয় করতে শিখেছি। আমি আমার মানুষকে ভালোবাসি।’ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু এভাবেই অকপটে বলতেন দেশের মানুষের প্রতি তার অকৃৃত্রিম ভালোবাসা আর অগাধ বিশ্বাসের কথা। উদারতা যার অসংকোচে আঘাত হানে সকল সংকোচতায়— তিনি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ, সোনার বাংলার রূপকার— এক মহাকাব্যিক রাজনীতির পথপ্রদর্শক। জয় বাংলা। জয়তু মুজিববর্ষ-২০২০।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও বিশ্লেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads