• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হয় জিপিএ-৫

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

সংরক্ষিত ছবি

সংসদ

সংসদে বিরোধীদলীয় স্বতন্ত্র সদস্যরা

পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হয় জিপিএ-৫

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০১৮

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দের বিরোধিতা করে বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি চলছে। অভিযোগ আছে, আড়াই থেকে পাঁচ লাখ টাকায় জিপিএ-৫ বিক্রি হয়। বিভিন্ন সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে দেখা গেছে। কোচিং ব্যবসা এখনো চলছে। আর এমপিওভুক্ত না করায় সংসদ সদস্যরা প্রায়শই নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন। এ কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ দাবি কমিয়ে এক টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বিরোধী দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যরা আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র মিলে ৯ জন সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে বরাদ্দের বিরোধিতা করে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তারা হলেন— ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আবদুল মুনিম চৌধুরী, রুস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, নুরুল ইসলাম মিলন ও পীর ফজলুর রহমান।

ফখরুল ইমাম বরাদ্দের বিরোধিতা করে বলেন, ‘শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। কিন্তু এ মন্ত্রণালয়ে জিপিএ-৫ কেনাবেচার ঘটনা ঘটে। এগুলো খারাপ কাজ। এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা যতক্ষণ এটা ঠিক না করবে ততক্ষণ টাকা ছাড় করা ঠিক হবে না।’

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য রাস্তায় বসে অনশন করছেন। তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। তবে এসব সমস্যার সমাধান না করে বরাদ্দ বাড়িয়ে কী হবে।’

পীর ফজলুর রহমান তার বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রীর ‘সহনশীল পর্যায়ের ঘুষ খাওয়া’ বিষয়ক বক্তব্যটি তুলে ধরেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী তাদের বক্তব্যের জবাব দেন।

জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। শিক্ষার মান অবশ্যই বৃদ্ধি পেয়েছে। জিপিএ-৫ বিক্রির কথা সঠিক নয়। একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এটা বলা হয়েছে। এই অভিযোগ আসার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে তিনি বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান।

এ সময় মন্ত্রীদের ঘুষ খাওয়া নিয়ে বক্তব্য ইস্যুতে সংসদ সদস্যদের কাছে সহানুভূতি কামনা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যটি গণমাধ্যমে বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছিল। আমি ব্যাখ্যা দিলেও সেটা প্রচার করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার নিয়ে সংসদে আমার সহকর্মীরাও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। বিষয়টির জন্য আমি বার বার বিব্রত হই। আমাকে এভাবে বার বার বিব্রত করবেন না। আপনারা আমার প্রতি সুবিচার করুন। আমি আপনাদের কাছে সহানুভূতি চাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads