স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের শাস্তি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ প্রণয়নের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ওই আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচারকাজ দ্রুত পরিচালনার জন্য সরকারের পৃথক আদালত গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০০৯ সাল থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের তাৎক্ষণিক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনটি ১৯৯০ সালের। এ আইন দিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
নতুন আইনে মাদকাসক্ত শনাক্তের জন্য ডোপ টেস্টের বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবসায় অর্থ লগ্নিকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ আইনের আওতায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন আবির্ভূত কোনো মাদকদ্রব্যকে আইনের আওতায় মাদক হিসেবে ঘোষণার জন্য মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিসা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বিধায় একে মাদকদ্রব্যের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, ২০১৭ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ ও র্যাব ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৩ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩৬টি মামলা দায়ের করেছে। এ সময়ে অন্যান্য মাদকদ্রব্যসহ ৪ কোটি ৭৯ হাজার ৪৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে।
চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ৩১২ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। অভিযানকালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
