• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
৯ মাসে প্রবাসী আয় ১২ হাজার মিলিয়ন ডলার

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি

ছবি : সংগৃহীত

সংসদ

সংসদে বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী

৯ মাসে প্রবাসী আয় ১২ হাজার মিলিয়ন ডলার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর ২০১৮

চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৭৭ দশমিক ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং প্রবাসীদের অর্থ দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মসৃজনের পাশাপাশি বেকারত্ব হ্রাস, দারিদ্র্যবিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। তাই অভিবাসী কর্মীদের সেবা প্রদানের জন্য শ্রম উইংয়ের সংখ্যা ও জনবলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে শ্রম উইংয়ের সংখ্যা ১৬টি থেকে ৩০টিতে উন্নীত করা হয়েছে এবং নতুন করে আরো ১১টি শ্রম উইং চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫টি দেশে বাংলাদেশের কর্মী যাচ্ছে। এরমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি গমন করে থাকে। ২০১৭ সালে দেশটিতে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ২২৩ জন কর্মী দেশটিতে গমন করেছে। নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারি তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা হয়। ২০১৬ সালে সরকার অধিকহারে কর্মী প্রেরণের জন্য বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্তর্ভুক্ত করে মালয়েশিয়ার সঙ্গে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এ প্রক্রিয়ায় সারা দেশ থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৭ জন কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রেরণকৃত কর্মী সরকারের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গমন করেছেন। ইতোপূর্বে সফল শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় দুই লাখ ৬৭ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের বৈধতা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে যে সকল কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েছে তাদের বৈধকরণের বিষয়ে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads